ঈদের দিন বিটিভিতে পিতা-কন্যার ‘ও বাবা-আলী বাবা’
বাংলাদেশের নাটক ও সিনেমার শক্তিমান অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। অভিনয় দক্ষতা, অভিনয়ের প্রতি প্রেম ও ভালোবাসার কারণে সর্বোপরি দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন বাবু।
‘মনপুরা’ বাংলাদেশের সিনেমার একটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। সিনেমাটিতে পিতা ও কন্যার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ফজলুর রহমান বাবু ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী ফারহানা মিলি। পরবর্তীতে আরও বহু নাটকে তারা দুজন পিতা-কন্যার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
আগামী ঈদেও বাবু ও মিলিকে বাবা এবং মেয়ের ভূমিকায় দেখা যাবে। হারুন রশীদ রচিত ও মো. মাহফুজার রহমান রিপন প্রযোজিত-পরিচালিত ঈদের বিশেষ নাটক ‘ও বাবা আলী বাবা’ নাটকে।
আগামী ঈদের দিন রাত ৯টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে নাটকটি প্রচার হবে।
এতে অভিনয় প্রসঙ্গে বাবু বলেন, ‘ঈদের নাটকের প্রতি দর্শকের যে ধরনের আকাঙ্ক্ষা থাকে, হাসির নাটক হবে, মজার নাটক হবে, বিষয়গুলো এ নাটকে আছে। এর পাশাপাশি এতে শিক্ষামূলক বিষয়ও উঠে এসেছে। আর মিলি তো আমার মেয়েই। শিশুকাল থেকেই মিলি আমার সঙ্গে অভিনয় করছে। তার সঙ্গে বাবা মেয়ের ক্যামিস্ট্রি চমৎকার। তাকে দেখলে আমার মেয়েই মনে হয়। আরেকটি মজার বিষয় বলি, তা হলো আমার বিপরীতে অর্থাৎ আমার স্ত্রীর চরিত্রে অনেক সিনিয়র-জুনিয়র শিল্পী অভিনয় করেছেন। মিলিকে অনেক পরিচালকই আমার বিপরীতে বা আমাকে তার বিপরীতে অভিনয়ের অনেকবার প্রস্তাব দিয়েছেন, অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে। কিন্তু আমি সবসময়ই বলে এসেছি তাকে দেখলে আমার মেয়েই মনে হয়। সেক্ষেত্রে না হয় আমাকে বাদ দিয়ে দেন।’
ফারহানা মিলি বলেন,‘সত্যি বলতে কী বাবু ভাইকে বাবার মতোই শ্রদ্ধা করি। আমাদের জুটি করে কয়েকজন পরিচালক নাটক নির্মাণের কথা বলেছিলেন। কিন্তু আমরা উভয়ই না করে দিয়েছি। তবে অনেকদিন পর মাহফুজার রহমান ভাইয়ের পরিচালনায় ঈদ নাটকে কাজ করেছি। ভীষণ ভালো লেগেছে এবং চমৎকার সময়ও কেটেছে।’
বাবু জানান, ঈদে তাকে শ্রাবণী ফেরদৌস, হাসান শিকদার, জামাল মল্লিক, লিটু করিমসহ বেশ কয়েকজনের ঈদ নাটকে অভিনয় করেছেন।
অন্যদিকে মিলি কাজ করেছেন নিয়াজ মাহবুবের পরিচালনায় ‘পিকচার ম্যান’ নাটকে।
এএম/এসএন