দেশের বাইরে শতাধিক সিনেমা হলে ‘পাপ পুণ্য’
গিয়াস উদ্দিন সেলিমের পরিচালনায় সিনেমা ‘পাপ পুণ্য’। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় এতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ ছাড়াও আফসানা মিমি, শাহনাজ সুমি, ফজলুর রহমান বাবু, মামুনুর রশিদ, গাউসুল আলম শাওন, ফারজানা চুমকি, মনির খান শিমুল প্রমুখ।
এবার দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের শতাধিক সিনেমা হলে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘পাপ পুণ্য’। এই খবর নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশি সিনেমার বিশ্ব পরিবেশক কানাডা-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ অলিউল্লাহ সজীব।
এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসে বাংলাদেশের সিনেমার জন্য সুখবর জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ঈদের পর সম্ভাব্য ২০ মে ২০২২ বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে উত্তর আমেরিকার ১০০ এর বেশি মাল্টিপ্লেক্সে এই সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন ‘স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো’। এটিই বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা হতে যাচ্ছে, যা বিদেশে ১০০ সিনেমা হলে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এর আগের রেকর্ডটি ছিল ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ সিনেমার, যা ১৬টি আন্তর্জাতিক থিয়েটারে একসাথে মুক্তি পেয়েছিল।
স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ অলিউল্লাহ সজীব বলেন, ‘এটাই সেই স্বপ্ন যা এতদিন অবিশ্বাস্য ছিল, অবশেষে বাস্তব হচ্ছে। আমাদের পরিবেশনায় ১৬ নম্বর সিনেমাতেই আমরা একযোগে ১০০ থিয়েটারে বাংলাদেশের সিনেমা মুক্তি দেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করছি। এ বছরের শুরুতে আমরা ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলাম, ২০২২ এ আমাদের মুক্তি দেওয়া প্রতিটি সিনেমা ১০০ এর বেশি উত্তর আমেরিকান সিনেমা হলে একসাথে মুক্তি পাবে। অবশেষে ‘পাপ পুণ্য’ মুক্তির মাধ্যমে এটি শুরু হচ্ছে। এখন থেকে উত্তর আমেরিকায় বসবাস করা মোটামুটি প্রায় সব বাংলাদেশি সিনেমার দর্শক তাদের পাশের কোন একটি থিয়েটাওে গিয়ে বাংলাদেশের সিনেমা উপভোগ করতে পারবেন। এটা শুধু আমাদের জন্য নয় উত্তর আমেরিকার বাংলাদেশি তথা সকল বাংলাদেশিদের জন্য দারুণ গৌরবের।’
সম্প্রতি ‘পাপ পুণ্য’ এর উত্তর আমেরিকা পরিবেশনা নিয়ে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন বিক্রয় ও বিপনন বিভাগের পরিচালক ইবনে হাসান খান এবং ‘স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো বাংলাদেশ’ এর প্র্রধান নির্বাহী সৈকত সালাহউদ্দিন।
এদিকে স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো সূত্রে জানা গেছে, সব ঠিক থাকলে ২০ মে ‘পাপ পুণ্য’ কানাডার ৫টি প্রভিন্সের ৭টি শহরের থিয়েটারে এবং আমেরিকার ২৫টি স্টেটের ১০০টি শহরের থিয়েটারে একযোগে মুক্তি পাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘আমি কিছুই জানিনা। সিনেমা মুক্তির দায়িত্ব প্রযোজকের। এটি চ্যানেল আইয়ের সিনেমা, তারা ভালো বলতে পারবে। আমি নতুন প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত আছি। যা বলছেন যদি এমনটা হয় তাহলে অবশ্যই তা খুশির ব্যাপার।’
এএম/এমএমএ/