‘ছুটির ঘণ্টা’র নির্মাতা শায়িত হবেন বগুড়ায়, দেশে আসছে মরদেহ

চিরদিনের ছুটি নিয়ে পরলোকে পাড়ি জমিয়েছেন কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘ছুটির ঘন্টা’র পরিচালক আজিজুর রহমান। ১৪মার্চ বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে কানাডায় একটি হাতপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
কানাডা থেকে বিন্দি রহমান জানান, তার বাবার মরদেহ এখন বাংলাদেশে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আজ রাতে কিংবা আগামীকাল (১৫মার্চ) সকালে দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন তারা।
তিনি আরও জানান, বগুড়ার সান্তাহারে অবস্থিত পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে আজিজুর রহমানকে।
আজিজুর রহমান প্রায় একযুগ ধরে তার দুই সন্তানের সঙ্গে কানাডায় বসবাস করতেন। সেখানেই চলছিলো তার চিকিৎসা। ফুসফুসের সমস্যা থাকায় কয়েক দফা তাকে টরন্টোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই দেশে ফিরতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছিলেন এই পরিচালক। শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাকে দেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু এবার দেশে আসছেন একেবারে নিথর হয়ে।
আজিজুর রহমান ১৯৩৯ সালের ১০ অক্টোবর বগুড়ার সান্তাহারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রূপচাঁন প্রামাণিক। তিনি স্থানীয় আহসানউল্লাহ ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি ও ঢাকা সিটি নাইট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। চারুকলা আর্ট ইনস্টিটিউটে কমার্সিয়াল আর্টে ডিপ্লোমা করেন তিনি।
সফল চলচ্চিত্রের পরিচালক আজিজুর রহমান। ১৯৫৮ সালে ‘এ দেশ তোমার আমার’ চলচ্চিত্রে এহতেশামের সহকারী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ময়মনসিংহের লোককথা নিয়ে ‘সাইফুল মূলক বদিউজ্জামান’ মুক্তি পায় ১৯৬৭ সালে। জীবদ্দশায় তিনি ৫৪টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘অশিক্ষিত’, ‘মাটির ঘর’, ‘জনতা এক্সপ্রেস’, ‘সাম্পানওয়ালা’, ‘ডাক্তার বাড়ি’, ‘গরমিল’ ও ‘সমাধান’ ইত্যাদি।
এএম/এএস
