বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সিসেম স্ট্রিট্রের এমিলিও দেলগার্দো মারা গিয়েছেন

গার্ডিয়ান ও সিএনএন অবলম্বনে : অভিনেতা ও গায়ক এমিলিও দেলগার্দো, ৪৫ বছর টানা উঞ্চ ও পারিবারিক সদস্যের মতো যিনি শিশুদের টিভি সিরিজ নাটক ‘সিসেম স্ট্রিট’-এ অভিনয় করেছেন, একজন দোকানের মালিক হিসেবে; তার বিখ্যাত সেই দোকানের নাম ‘ফিক্স-আইটি’; তিনি মারা গিয়েছেন গতকাল বৃহস্পতিবার ১০ মার্চ। তার পরের স্ত্রী ক্যারল দেলগার্দো ২০২০ সালে টাইম ম্যাগাজিনকে জানিয়েছিলেন, তিনি রক্তের ক্যান্সার ও অস্থিমজ্জাতে কটি টিউমারে আক্রান্ত হয়েয়েছেন। এই রোগেই তিনি কাল মারা গিয়েছেন বলেছেন জানিয়েছেন ম্যানেজার।

তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন নিউ ইয়র্ক শহরের বাড়িতে ৮১ বছর বয়সে।

এমিলিও দেলগার্দো বিশ্বখ্যাত ম্যাক্সিকান-আমেরিকান। অভিনয় করার সুযোগ লাভ করেছিলেন একজন গড়পড়তা অভিনেতা হিসেবে। বড়দের বা ছোটদের যেকারো নাটকগুলোতে গৎবাঁধা ল্যাটিন-চরিত্রাভিনেতাদের সময়ে এমিলিও দেলগার্দো টিভিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে কাজ শুরু করেন। এই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ২০২১ সালে, গত বছর তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘তখন টিভিতে অভিনেতাদের কোনো ছাপ ছিল না। সত্যিকারের অভিনয়ও নয়’-এই কথাগুলো বলেছেন ‘ফেমাস কাস্ট ওয়াডর্স’ নামের একটি ইউটিউব সিরিজে।


জানিয়েছেন তার জীবনের কথা-“আমি যেসব চরিত্র করতে চাইতাম, দেখতাম-সেগুলোর বেশিরভাগই দলগত ‘দস্যু’রা বা কোনো খারাপ দলের মতো অভিনয়ে ছড়িয়ে থাকা মানুষদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে।”

এই ধারাটি বদলে ফেললো আমেরিকান টিভি সিরিজে ‘সিসেম স্ট্রিট’। সেখানে নানা ধরণের চরিত্রে নানা ধরণের মানুষকে সুযোগ দেওয়া হলো।

নানা ধরণের অভিনেতা, তারা বিভিন্ন জাতি ও বর্ণের, এসে কাজ শুরু করলেন একদল শিশুর সঙ্গে। এই অভিনেতাদের মধ্যে ৩৬ বছর বয়সের এমিলিও দেলগার্দো ছাড়াও ছিলেন বিশ্বখ্যাত মার্কিন পাপেটিয়ান, অ্যানিমেটর জিম হেনসন, তিনি ‌‘বিগ বাড’ ও ‘অস্কার দি গ্রাউচ’ নামের চরিত্রটি তৈরিতেও কাজ করেছেন। শেষের চরিত্রটি তিনি ও জন স্টন মিলে তৈরি করেছেন।

ক্যারল স্পিনি তো ‘অস্কার দি গ্রাউচ’ নামেই বিখ্যাত হয়েছেন। তার নিজের নামটিই হারিয়ে গিয়েছে।

আরো দুটি বিশ্বখ্যাত চরিত্র হলো এই পাপেট সিরিজের ‘এলমো’ ও ‘গ্রোভার’। এগুলো সবই আমেরিকান পাপেট সংস্করণ। তারা ‘মাপেট’ নামে পরিচিত।

দি সিসেম স্ট্রিটের তৃতীয় ধারাবাহিক সিরিজ প্রচারের সময়, ১৯৭১ সালে সেখানে যোগ দেবার সুযোগ লাভ করেন দেলগার্দো। মনে করে বলেছেন, যখন তিনি তার স্প্যানিশ উচ্চারণের শব্দগুলো, বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কথা হিসেবে ব্যবহার করা হয় সিরিজে; নানাভাবে চিত্রনাট্যগুলোতে ছড়িয়ে দেবার পরামর্শ দেওয়ার পর প্রযোজকরা বিরক্ত হয়েছিলেন। “প্রথম যখন আমি দেখলাম যে, ‘বিগ বাড’ হাঁটছে, আমার তখন সংলাপ ছিল-‘বিগ বার্ড’। তিনি ২০২১ সালের ইউটিউব সাক্ষাৎকারটিতে আরো বলেছেন-‘‘আমি কিন্তু বিগ বার্ড বলিনি, বলেছি, ‘পাহাড়ো’।’’ ইংরেজিতে এটি ‘পাজারো’। একটি বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের গাড়ির নাম। এই হলো ভাষা ও তার পরে বদলে যাবার ইতিহাস। সেজন্যই কী তিনি তার নিজের ভাষাকে ধরে রাখতে চেয়েছিলেন সিসেম স্ট্রিটের মতো নামকরা ও বিশ্বখ্যাত টিভি শিশু সিরিজে?

মানুষটি কিন্তু আমেরিকাতে জন্মেছেন, ১৯৪০ সালে। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের কালেক্সিকো শহরে। তাদের দেশ মেক্সিকোর পাশের আমেরিকান সীমান্ত পেরুলে এই শহর। তিনি অভিবাসী মা-বাবার ছেলে। বড় হয়েছেন মেক্সিকোর মেক্সিকালি শহরের মোটে কয়েক মাইল দূরের কালেক্সিকোতে। তাতে মেক্সিকোর ভাষা ও জীবনযাপন ভালোভাবেই তার মধ্যে ছিল। আর ছোট থেকে অন্যরকম ছিলেন। রাতে তিনি ঘুমাতেন গান শুনে। বলেছেন, “আমাদের আঞ্চলিক গান ‘মারিয়াচিস’ শুনতে, শুনতে ঘুমিয়ে পড়তাম।’

এমিলিও দেলগার্দোর অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল মঞ্চে। তরুণ বয়সে চলে এলেন লস অ্যাঞ্জেলসে। শখ অভিনেতা হবেন। তবে ভাগ্য তাকে সামান্যই তখন সাহায্য করলো। কেননা, তিনি একজন ল্যাটিন। তবে ভাগ্য ফিরলো যখন একদিন তাকে চমকে দিয়ে নিউ ইয়র্ক থেকে সিসেম স্ট্রিটের প্রযোজকদের একজন ফোন করলেন।

তার সাক্ষাৎকার নিলেন ‘জন আর্থার স্টোন’। সিসেম স্ট্রিটের প্রথম দিকের কলাকুশলীদের একজন। তিনি ‘কুকি মনস্টার’, ‘অস্কার দি গ্রাউচ’ ও ‘বিগ বার্ড’ চরিত্রগুলো সৃস্টি এবং পরিচালনাতে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছেন। ছিলেন জনপ্রিয়তম এই টিভি সিরিজের অন্যতম প্রযাজক। ‘তিনি কথা বললেন ঠিকই, তবে তাকে কোনো ধরণের অডিশন দিতে বলেননি, কাজটি দিয়ে দিলেন’-সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে বলেছেন ম্যাক্সিকান-আমেরিকান অভিনেতা সিসেম স্ট্রিটের এমিলিও দেলগার্দো। জানিয়েছেন জীবনের শেষ বেলায়, গত বছর ২০২১ সালে, ‘তিনি অভিনেতা চাননি, আমাদের মতো সত্যিকারের মানুষদের চেয়েছেন। যারা কাজগুলো করতে পারবেন ও ভালোবাসবেন।’

এরপর টানা ৪৫টি বছর তিনি অভিনয় করেছেন সিসেম স্ট্রিটে একজন দোকানদার ‘ফিক্স-আইটি শপ’র মালিক হিসেবে। তবে ২০১৬ সালে নতুন শিক্ষামূলক বিনোদন উপকরণগুলো যুক্ত করতে আর চুক্তি নবায়ন করতে না চাইলেও সিসেম স্ট্রিট তার অবদানকে বড় করে দেখেছে, তাকে বিভিন্ন আয়োজনে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে গিয়েছে। সেখানে শিশুদের উদ্দীপনা ও ভালো দিকে নিয়ে যেতে কাজ করতে পেরেছেন তিনি।

এই মানুষটির সাড়ে চার দশকের অবিচ্ছেদ্য অভিনয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মগুলো মার্কিন তো বটেই, নানা দেশের শিশুদের শৈশবের অপরিহার্য হয়েছে। তিনি ছিলেন সিরিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের ল্যাটিন শিশুদের জন্য তিনি ছিলেন বিশেষ কিছু। মেক্সিকো, ভেনেজুয়েলা, বলিভিয়া, পেরু ইত্যাদি আমেরিকার উত্তর অংশের দেশগুলোকে ল্যাটিন আমেরিকা বলা হয়।

সেই জগতের শিশুরা সত্যিকারের তাদের একজন মানুষকে পেল। যিনি বড় হয়েও ছোট, তাদের দেশের মানুষ। চেনা, খুব চেনা। দেখতে তো বটেই। এজন্যই তিনি তার সংলাপগুলোকে ল্যাটিন ভাষায় নিয়ে আসতে বলেছিলেন। পরে তারা রাজি হয়ে কাজ করেছেন।

এই সিরিজটি তার জীবনে এতই প্রভাব ফেলেছে যে, আরেকজন উল্লেখযোগ্য ল্যাটিন অভিনেত্রী সোনিয়া মানচানোকে তিনি বিয়ে করেছেন। তাদের বিয়ে হয়েছে সিসেম স্ট্রিটের একটি উৎসবে, ১৯৮৮ সালে। তার স্ত্রী মারিয়া ফিগেরোয়া চরিত্রে অভিনয় করতেন।

‘তারাই প্রথম ল্যাটিন জুটি যাদের আমি টিভিতে নাটক করতে দেখলাম’, বলেছেন রোসি করদেরো নামের একজন ডেডলাইন ম্যাগাজিন ও অনলাইনের রিপোর্টার টুইটারে তার মৃত্যুর পর শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে। আরো জানিয়েছেন এই যুবতী রিপোর্টার, ‘তারা অমার পরিবারের একটি বিরাট অংশ জুড়ে ছিলেন। আমাদের ছেলেবেলা কেটেছে তার মতো ল্যাটিন মানুষদের নিয়ে। আমাদের মতো অভিবাসী এবং মার্কিন শিশুদের জন্য তারা ছিলেন আর্শীবাদ। এই দুজনে তাদের পথ পাকা করে নিয়েছিলেন।’

তিনি একজন আগ্রহী থিয়েটার অভিনেতাও ছিলেন। তাদের ম্যাক্সিকান ভাষার (ভাষাটি এখন স্প্যানিশ, ম্যাক্সিকানরা স্পেনের রাজার অনুগত ছিলেন আমেরিকানদের হাতে বন্দী ও স্বাধীনতার আগে) কিসতে নয়ভো নামের বিখ্যাত দন কিসতে বা ডন কহোতি বা দন বা ডন কিহোতো নাসের উপন্যাসটির মঞ্চ নাটকে অভিনয় করে খ্যাতি লাভ করেছিলেন করোনাভাইরাসের আক্রমণে কভিড ১৯ মহামারিটি ছড়িয়ে যাবার আগে। তাতে খুব নাম করেছেন। মেক্সিকানদের নিজেদের ভাষা আছে। পরে তারা স্প্যানিশে চলে আসেন অনেকটাই। ১৬০২ থেকে ১৬০৫ সালের মধ্যে লেখা এই উপন্যাসটি বিশ্ব সাহিত্যের অনন্য সম্পদ। দুই খন্ডে লিখেছেন অমর সাহিত্যিক মিগেল দে সেরবান্তেস। তাকে এই উপন্যাসের দৌলতেই মূলত স্প্যানিশ সাহিত্যের চিরকালের সেরা লেখক মনে করা হয়।

এমিলিও দেলগাদোর ব্যাপক ও বিস্তৃত মঞ্চজীবনের মধ্যে আছে, তিনি আটিস্টিক ডিরেক্টর বা শিল্প পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন ব্যারিও থিয়েটারে। সেটির পুরো নাম হলো ‘দি ব্যারিও থিয়েটার অ্যানসেম্বল অব ইস্ট লস অ্যাঞ্জেলস’। মঞ্চ দলটি লস অ্যাঞ্জেলসের পূবে, যুক্তরাষ্ট্রে আছে।

তবে এই জীবনের চেয়ে তাকে বেশি খ্যাতি এনে দিয়েছে, সবার মনে রেখেছে জনপ্রিয় এই শিশুদের অনুষ্ঠানটি। সিসেম স্ট্রিট তাদের দীর্ঘদিনের অন্যতম সাফল্যের কারিগরকে শ্রদ্ধা জানাতে ভোলেননি, ‘তার উঞ্চতা ও ভালো ব্যবহার শিশুদের একটি বন্ধুত্ব ও বন্ধুত্বের জগত গড়ে তুলতে বছরের পর বছর ধরে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তিনি প্রজন্মগুলোতে প্রতিধ্বনি করে গিয়েছেন। তিনি ম্যাক্সিকান-আমেরিকান হিসেবে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কোনো একটি সিরিজ, তাও আবার সিসেম স্ট্রিটে, অভিনয়ের বিশ্বরেকর্ডের মালিক। আমরা তার মেধাগুলোকে আমাদের কাজে ব্যবহার ও সহযোগী হিসেবে গ্রহণ করতে পারায় অত্যন্ত কৃতজ্ঞতা বোধ করি। আমরা মনে করি, বিশ্বও তাই মনে করে’, বলেছেন সিসেম স্ট্রিট কর্তৃপক্ষ একটি শ্রদ্ধাঞ্জলীতে।

ওএস।

Header Ad

চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে তারেক রহমানের অব্যাহতি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ঠিকাদারি কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড থেকে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদাবাজি ও ২৬ লাখ টাকা কর ফাঁকির পৃথক দুই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১০ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম ও অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ পৃথকভাবে এই আদেশ দেন।

এর মধ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলার পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতি দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ। অব্যাহতি পাওয়া অন্যরা হলেন, তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ওবায়দুল্লা খন্দকার, কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শোয়েব বাশুরী ওরফে হাবলু, আজিজুল করিম তারেক ও মনিজুর রহমান ওরফে মানিক।

২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল ঠিকাদারি কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড থেকে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলাটি হয়েছিল।

এর আগে ৫ নভেম্বর তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন। পরে আদালত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ঠিক করেন।

পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদী আব্দুল মোনেম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল বাশার ২০০৭ সালের ৩০ জুন এজাহারে বর্ণিত চাঁদার পরিমাণ ভুল উল্লেখ করে তা সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। পরে ২০০৯ সালের ৭ মে বাদী নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য একটি হলফনামা সম্পাদন করেন।

হলফনামায় বাদী বলেছিলেন, তিনি ‘বিশেষ মহলের’ চাপে বাধ্য হয়ে মামলাটি করতে বাধ্য হয়েছিলেন। আসামিদের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই, তিনি মামলা পরিচালনা করতে অনিচ্ছুক।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল, ১৯৯৭ সালে বাদীর কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড যমুনা সেতু সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় ২৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার কাজ পায়। কাজটি দুই ভাগে সম্পন্ন করা হয়। ২০০১ সালে ওই কাজের কার্যাদেশ পাওয়ার চেষ্টাকালে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যরা তাদের কাছে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।

তদন্তে এবং সাক্ষ্য প্রমাণে মামলার ঘটনাটি দণ্ডবিধি আইনের ৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭ ধারামতে তথ্যগত ভুল প্রমাণিত হয়। সব আসামিকে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতির জন্য প্রার্থনা করা হলো।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, অপরদিকে ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালে ২৬ লাখ টাকার কর ফাঁকির অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক। সেই মামলাতেও আজ তাকে খালাস দেন বিশেষ জজ আদালত ১০ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম। আজ এ মামলাটিতে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ধার্য ছিল। তবে মামলার বাদীর আনা অভিযোগ কাল্পনিক ও সৃজনকৃত উল্লেখ করেন বিচারক। পরে এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

Header Ad

পাবনার আটঘরিয়ায় দিনে-দুপুরে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট

বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট (ইনসটে: প্রধান অভিযুক্ত মনোয়ারুল ইসলাম আলম)। ছবি: সংগৃহীত

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার বয়রা গ্রামের আব্দুল মান্নানের বাড়িতে দিনে দুপুরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গত ২০ নভেম্বর দুপুরে এই হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী মান্নানের দাবি আটঘরিয়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব মনোয়ারুল ইসলাম আলমের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আব্দুল মান্নান জানান, আলমের নেতৃত্বে ২০-২৫টি মোটরসাইকেল এবং তিনটি সিএনজিতে করে প্রায় অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এসময় তাদের সাথে ৩ টি আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠি এবং বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ছিল। তারা আমার বাড়ির সব জানালা, দরজা ভেঙে ফেলেছে। প্রথমে তারা বাড়ির পেছনের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে, এরপর আমার ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় আমার ঘর থেকে ড্রয়ারে থাকা প্রায় ৮৫ হাজার টাকা এবং আমার শ্যালিকার কিছু গহনা রাখা ছিল সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, শুধু আমার ঘরেই না পাশে আমার মেয়ের ঘরেও ভাঙচুর করে তার ঘরে থাকা আলমারি ও ড্রয়ার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং কিছু স্বর্ণালংকার ছিল সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসী বাহিনী। এসময় বেশ কয়েকটা ফাঁকা গুলিও ছুড়েছেন বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় বাসায় আমার স্ত্রী এবং আমার দুই নাতি ছিল, তাদের একজনের বয়স ৬ ও আরেকজনের ৫ বছর। দুর্বৃত্তরা তাণ্ডব চালানোর সময় ওরা দুজন ভয়ে খাটের নিচে গিয়ে লুকিয়ে ছিল। আমার স্ত্রী রান্নাঘরে রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিল সেখানেই তাকে আটকে রাখা হয়।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মনোয়ারুল ইসলাম আলমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ঘটনায় পারভেজ আহম্মেদ পলাশ বাদি হয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মনোয়ার হোসেন আলমকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মনোয়ার ছাড়াও আরও ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনকে আমসামি করা হয়েছে।

Header Ad

যে পেশায় মানুষের জায়গা নিতে পারবে না এআই

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সময়ে এআই মানুষের জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। সব কাজেই এআই আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। সে হোক রান্নার রেসিপি কিংবা চাকরির সিভি সবই লিখে দিতে পারবে এআই। এআই ইন্টেলিজেন্সি রোবট দিয়ে এখন কত কিছুই না করা হচ্ছে পৃথিবীতে। নিউজ প্রেজেন্টার থেকে শুরু করে স্কুলে পড়ানো, অফিসের কাজ সবই।

তবে অনেকেই আশঙ্কা করছেন দিন দিন যেন এআই মানুষের জায়গা নিয়ে নিচ্ছে। পেশা হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। একটা সময় বিশ্বে বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়ার কারণ হবে এআই। তবে গুগল বলছে, এআই সব জায়গায় মানুষের বিকল্প হতে পারবে না। যেমন: কোডিং। এখন পর্যন্ত এআই সেই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেনি।

সম্প্রতি টেক জায়ান্ট সংস্থার নিউ ইয়র্কের অফিসে বসে এক সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় মাতিয়াস বলেন, সবাই কোডিং শিখতে হবে। তিনি আরও বলেন, শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে শেখাটা বরাবরের মতোই এখনো গুরুত্বপূর্ণ। এআই নির্দিষ্ট কাজে সাহায্য করতেই পারে। তবে তা প্রাথমিক স্তরে। কিন্তু সমগ্র কোডিং প্রক্রিয়াকে দখল করতে তার এখনো অনেক সময় লাগবে।

তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এআই তো এরই মধ্যে কোড লেখার কাজ শুরু করে দিয়েছে। এর উত্তরও দিয়েছেন মাতিয়াস। জানিয়েছেন, এআই কোড লিখলেও তা খতিয়ে দেখার ভার মানুষদেরই। সুতরাং কোডিংয়ের চূড়ান্ত রূপ দেওয়া বিষয়টি এখনও এআইয়ের নাগালের বাইরে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে জুনিয়র ডেভেলপাররা যে চাপে পড়েছেন তাও মানছেন মাতিয়াস।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে তারেক রহমানের অব্যাহতি
পাবনার আটঘরিয়ায় দিনে-দুপুরে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট
যে পেশায় মানুষের জায়গা নিতে পারবে না এআই
প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ
সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ
নায়ক নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্ত্রীর
মুন্সি সমিতির অফিসে আগুন দিলো আইনজীবীরা
মৃত্যুর ৬ বছর পর প্রকাশ পাচ্ছে আইয়ুব বাচ্চুর নতুন গান
তানজিম সাকিবের দারুণ বোলিং, জয়ে শুরু গায়ানার
ভিসার জন্য দুপুরে আমেরিকান দূতাবাসে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ইসকন নিষিদ্ধে সরকারের অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট
নারী যুগ্মসচিবের ধমক খেয়ে অজ্ঞান কর্মকর্তা, সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ
জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
আইনজীবী সাইফুল হত্যায় আটক ৩০
বিচ্ছেদের পর সামান্থাকে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ শুনতে হয়
ইসকনের হামলার নিন্দা ও বিচারের দাবি শিবিরের
ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল
ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার
লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২