সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সিসেম স্ট্রিট্রের এমিলিও দেলগার্দো মারা গিয়েছেন

গার্ডিয়ান ও সিএনএন অবলম্বনে : অভিনেতা ও গায়ক এমিলিও দেলগার্দো, ৪৫ বছর টানা উঞ্চ ও পারিবারিক সদস্যের মতো যিনি শিশুদের টিভি সিরিজ নাটক ‘সিসেম স্ট্রিট’-এ অভিনয় করেছেন, একজন দোকানের মালিক হিসেবে; তার বিখ্যাত সেই দোকানের নাম ‘ফিক্স-আইটি’; তিনি মারা গিয়েছেন গতকাল বৃহস্পতিবার ১০ মার্চ। তার পরের স্ত্রী ক্যারল দেলগার্দো ২০২০ সালে টাইম ম্যাগাজিনকে জানিয়েছিলেন, তিনি রক্তের ক্যান্সার ও অস্থিমজ্জাতে কটি টিউমারে আক্রান্ত হয়েয়েছেন। এই রোগেই তিনি কাল মারা গিয়েছেন বলেছেন জানিয়েছেন ম্যানেজার।

তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন নিউ ইয়র্ক শহরের বাড়িতে ৮১ বছর বয়সে।

এমিলিও দেলগার্দো বিশ্বখ্যাত ম্যাক্সিকান-আমেরিকান। অভিনয় করার সুযোগ লাভ করেছিলেন একজন গড়পড়তা অভিনেতা হিসেবে। বড়দের বা ছোটদের যেকারো নাটকগুলোতে গৎবাঁধা ল্যাটিন-চরিত্রাভিনেতাদের সময়ে এমিলিও দেলগার্দো টিভিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে কাজ শুরু করেন। এই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ২০২১ সালে, গত বছর তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘তখন টিভিতে অভিনেতাদের কোনো ছাপ ছিল না। সত্যিকারের অভিনয়ও নয়’-এই কথাগুলো বলেছেন ‘ফেমাস কাস্ট ওয়াডর্স’ নামের একটি ইউটিউব সিরিজে।


জানিয়েছেন তার জীবনের কথা-“আমি যেসব চরিত্র করতে চাইতাম, দেখতাম-সেগুলোর বেশিরভাগই দলগত ‘দস্যু’রা বা কোনো খারাপ দলের মতো অভিনয়ে ছড়িয়ে থাকা মানুষদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে।”

এই ধারাটি বদলে ফেললো আমেরিকান টিভি সিরিজে ‘সিসেম স্ট্রিট’। সেখানে নানা ধরণের চরিত্রে নানা ধরণের মানুষকে সুযোগ দেওয়া হলো।

নানা ধরণের অভিনেতা, তারা বিভিন্ন জাতি ও বর্ণের, এসে কাজ শুরু করলেন একদল শিশুর সঙ্গে। এই অভিনেতাদের মধ্যে ৩৬ বছর বয়সের এমিলিও দেলগার্দো ছাড়াও ছিলেন বিশ্বখ্যাত মার্কিন পাপেটিয়ান, অ্যানিমেটর জিম হেনসন, তিনি ‌‘বিগ বাড’ ও ‘অস্কার দি গ্রাউচ’ নামের চরিত্রটি তৈরিতেও কাজ করেছেন। শেষের চরিত্রটি তিনি ও জন স্টন মিলে তৈরি করেছেন।

ক্যারল স্পিনি তো ‘অস্কার দি গ্রাউচ’ নামেই বিখ্যাত হয়েছেন। তার নিজের নামটিই হারিয়ে গিয়েছে।

আরো দুটি বিশ্বখ্যাত চরিত্র হলো এই পাপেট সিরিজের ‘এলমো’ ও ‘গ্রোভার’। এগুলো সবই আমেরিকান পাপেট সংস্করণ। তারা ‘মাপেট’ নামে পরিচিত।

দি সিসেম স্ট্রিটের তৃতীয় ধারাবাহিক সিরিজ প্রচারের সময়, ১৯৭১ সালে সেখানে যোগ দেবার সুযোগ লাভ করেন দেলগার্দো। মনে করে বলেছেন, যখন তিনি তার স্প্যানিশ উচ্চারণের শব্দগুলো, বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কথা হিসেবে ব্যবহার করা হয় সিরিজে; নানাভাবে চিত্রনাট্যগুলোতে ছড়িয়ে দেবার পরামর্শ দেওয়ার পর প্রযোজকরা বিরক্ত হয়েছিলেন। “প্রথম যখন আমি দেখলাম যে, ‘বিগ বাড’ হাঁটছে, আমার তখন সংলাপ ছিল-‘বিগ বার্ড’। তিনি ২০২১ সালের ইউটিউব সাক্ষাৎকারটিতে আরো বলেছেন-‘‘আমি কিন্তু বিগ বার্ড বলিনি, বলেছি, ‘পাহাড়ো’।’’ ইংরেজিতে এটি ‘পাজারো’। একটি বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের গাড়ির নাম। এই হলো ভাষা ও তার পরে বদলে যাবার ইতিহাস। সেজন্যই কী তিনি তার নিজের ভাষাকে ধরে রাখতে চেয়েছিলেন সিসেম স্ট্রিটের মতো নামকরা ও বিশ্বখ্যাত টিভি শিশু সিরিজে?

মানুষটি কিন্তু আমেরিকাতে জন্মেছেন, ১৯৪০ সালে। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের কালেক্সিকো শহরে। তাদের দেশ মেক্সিকোর পাশের আমেরিকান সীমান্ত পেরুলে এই শহর। তিনি অভিবাসী মা-বাবার ছেলে। বড় হয়েছেন মেক্সিকোর মেক্সিকালি শহরের মোটে কয়েক মাইল দূরের কালেক্সিকোতে। তাতে মেক্সিকোর ভাষা ও জীবনযাপন ভালোভাবেই তার মধ্যে ছিল। আর ছোট থেকে অন্যরকম ছিলেন। রাতে তিনি ঘুমাতেন গান শুনে। বলেছেন, “আমাদের আঞ্চলিক গান ‘মারিয়াচিস’ শুনতে, শুনতে ঘুমিয়ে পড়তাম।’

এমিলিও দেলগার্দোর অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল মঞ্চে। তরুণ বয়সে চলে এলেন লস অ্যাঞ্জেলসে। শখ অভিনেতা হবেন। তবে ভাগ্য তাকে সামান্যই তখন সাহায্য করলো। কেননা, তিনি একজন ল্যাটিন। তবে ভাগ্য ফিরলো যখন একদিন তাকে চমকে দিয়ে নিউ ইয়র্ক থেকে সিসেম স্ট্রিটের প্রযোজকদের একজন ফোন করলেন।

তার সাক্ষাৎকার নিলেন ‘জন আর্থার স্টোন’। সিসেম স্ট্রিটের প্রথম দিকের কলাকুশলীদের একজন। তিনি ‘কুকি মনস্টার’, ‘অস্কার দি গ্রাউচ’ ও ‘বিগ বার্ড’ চরিত্রগুলো সৃস্টি এবং পরিচালনাতে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছেন। ছিলেন জনপ্রিয়তম এই টিভি সিরিজের অন্যতম প্রযাজক। ‘তিনি কথা বললেন ঠিকই, তবে তাকে কোনো ধরণের অডিশন দিতে বলেননি, কাজটি দিয়ে দিলেন’-সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে বলেছেন ম্যাক্সিকান-আমেরিকান অভিনেতা সিসেম স্ট্রিটের এমিলিও দেলগার্দো। জানিয়েছেন জীবনের শেষ বেলায়, গত বছর ২০২১ সালে, ‘তিনি অভিনেতা চাননি, আমাদের মতো সত্যিকারের মানুষদের চেয়েছেন। যারা কাজগুলো করতে পারবেন ও ভালোবাসবেন।’

এরপর টানা ৪৫টি বছর তিনি অভিনয় করেছেন সিসেম স্ট্রিটে একজন দোকানদার ‘ফিক্স-আইটি শপ’র মালিক হিসেবে। তবে ২০১৬ সালে নতুন শিক্ষামূলক বিনোদন উপকরণগুলো যুক্ত করতে আর চুক্তি নবায়ন করতে না চাইলেও সিসেম স্ট্রিট তার অবদানকে বড় করে দেখেছে, তাকে বিভিন্ন আয়োজনে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে গিয়েছে। সেখানে শিশুদের উদ্দীপনা ও ভালো দিকে নিয়ে যেতে কাজ করতে পেরেছেন তিনি।

এই মানুষটির সাড়ে চার দশকের অবিচ্ছেদ্য অভিনয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মগুলো মার্কিন তো বটেই, নানা দেশের শিশুদের শৈশবের অপরিহার্য হয়েছে। তিনি ছিলেন সিরিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের ল্যাটিন শিশুদের জন্য তিনি ছিলেন বিশেষ কিছু। মেক্সিকো, ভেনেজুয়েলা, বলিভিয়া, পেরু ইত্যাদি আমেরিকার উত্তর অংশের দেশগুলোকে ল্যাটিন আমেরিকা বলা হয়।

সেই জগতের শিশুরা সত্যিকারের তাদের একজন মানুষকে পেল। যিনি বড় হয়েও ছোট, তাদের দেশের মানুষ। চেনা, খুব চেনা। দেখতে তো বটেই। এজন্যই তিনি তার সংলাপগুলোকে ল্যাটিন ভাষায় নিয়ে আসতে বলেছিলেন। পরে তারা রাজি হয়ে কাজ করেছেন।

এই সিরিজটি তার জীবনে এতই প্রভাব ফেলেছে যে, আরেকজন উল্লেখযোগ্য ল্যাটিন অভিনেত্রী সোনিয়া মানচানোকে তিনি বিয়ে করেছেন। তাদের বিয়ে হয়েছে সিসেম স্ট্রিটের একটি উৎসবে, ১৯৮৮ সালে। তার স্ত্রী মারিয়া ফিগেরোয়া চরিত্রে অভিনয় করতেন।

‘তারাই প্রথম ল্যাটিন জুটি যাদের আমি টিভিতে নাটক করতে দেখলাম’, বলেছেন রোসি করদেরো নামের একজন ডেডলাইন ম্যাগাজিন ও অনলাইনের রিপোর্টার টুইটারে তার মৃত্যুর পর শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে। আরো জানিয়েছেন এই যুবতী রিপোর্টার, ‘তারা অমার পরিবারের একটি বিরাট অংশ জুড়ে ছিলেন। আমাদের ছেলেবেলা কেটেছে তার মতো ল্যাটিন মানুষদের নিয়ে। আমাদের মতো অভিবাসী এবং মার্কিন শিশুদের জন্য তারা ছিলেন আর্শীবাদ। এই দুজনে তাদের পথ পাকা করে নিয়েছিলেন।’

তিনি একজন আগ্রহী থিয়েটার অভিনেতাও ছিলেন। তাদের ম্যাক্সিকান ভাষার (ভাষাটি এখন স্প্যানিশ, ম্যাক্সিকানরা স্পেনের রাজার অনুগত ছিলেন আমেরিকানদের হাতে বন্দী ও স্বাধীনতার আগে) কিসতে নয়ভো নামের বিখ্যাত দন কিসতে বা ডন কহোতি বা দন বা ডন কিহোতো নাসের উপন্যাসটির মঞ্চ নাটকে অভিনয় করে খ্যাতি লাভ করেছিলেন করোনাভাইরাসের আক্রমণে কভিড ১৯ মহামারিটি ছড়িয়ে যাবার আগে। তাতে খুব নাম করেছেন। মেক্সিকানদের নিজেদের ভাষা আছে। পরে তারা স্প্যানিশে চলে আসেন অনেকটাই। ১৬০২ থেকে ১৬০৫ সালের মধ্যে লেখা এই উপন্যাসটি বিশ্ব সাহিত্যের অনন্য সম্পদ। দুই খন্ডে লিখেছেন অমর সাহিত্যিক মিগেল দে সেরবান্তেস। তাকে এই উপন্যাসের দৌলতেই মূলত স্প্যানিশ সাহিত্যের চিরকালের সেরা লেখক মনে করা হয়।

এমিলিও দেলগাদোর ব্যাপক ও বিস্তৃত মঞ্চজীবনের মধ্যে আছে, তিনি আটিস্টিক ডিরেক্টর বা শিল্প পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন ব্যারিও থিয়েটারে। সেটির পুরো নাম হলো ‘দি ব্যারিও থিয়েটার অ্যানসেম্বল অব ইস্ট লস অ্যাঞ্জেলস’। মঞ্চ দলটি লস অ্যাঞ্জেলসের পূবে, যুক্তরাষ্ট্রে আছে।

তবে এই জীবনের চেয়ে তাকে বেশি খ্যাতি এনে দিয়েছে, সবার মনে রেখেছে জনপ্রিয় এই শিশুদের অনুষ্ঠানটি। সিসেম স্ট্রিট তাদের দীর্ঘদিনের অন্যতম সাফল্যের কারিগরকে শ্রদ্ধা জানাতে ভোলেননি, ‘তার উঞ্চতা ও ভালো ব্যবহার শিশুদের একটি বন্ধুত্ব ও বন্ধুত্বের জগত গড়ে তুলতে বছরের পর বছর ধরে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তিনি প্রজন্মগুলোতে প্রতিধ্বনি করে গিয়েছেন। তিনি ম্যাক্সিকান-আমেরিকান হিসেবে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কোনো একটি সিরিজ, তাও আবার সিসেম স্ট্রিটে, অভিনয়ের বিশ্বরেকর্ডের মালিক। আমরা তার মেধাগুলোকে আমাদের কাজে ব্যবহার ও সহযোগী হিসেবে গ্রহণ করতে পারায় অত্যন্ত কৃতজ্ঞতা বোধ করি। আমরা মনে করি, বিশ্বও তাই মনে করে’, বলেছেন সিসেম স্ট্রিট কর্তৃপক্ষ একটি শ্রদ্ধাঞ্জলীতে।

ওএস।

Header Ad
Header Ad

বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া

বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল আবারও উঠে এসেছেন আলোচনার কেন্দ্রে। তবে এবার কোনো সিনেমা বা গ্ল্যামার নিয়ে নয়, বরং ব্যক্তিগত জীবনের একটি রহস্যজনক ইঙ্গিত নিয়েই সরব নেটিজেনরা। ৪৯ বছর বয়সেও তার স্টাইল ও সৌন্দর্যে মোহিত ভক্তরা, কিন্তু সম্প্রতি দুবাইতে ছুটি কাটাতে গিয়ে পোস্ট করা একটি ছবিতে তাকে ঘিরে শুরু হয়েছে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার জল্পনা।

সবুজ মনোকিনিতে একটি ম্যাঙ্গো আইসক্রিম হাতে, খোলা চুল, চোখে সানগ্লাস আর মাথায় স্টাইলিশ টুপি পরে ক্যামেরার দিকে পোজ দিয়েছেন আমিশা। সাধারণত এমন ছবিতে ভক্তরা প্রশংসায় ভরিয়ে দেন কমেন্ট বক্স। তবে এবার নজর কাড়ে তার পেট। নেটিজেনদের একাংশ মনে করছেন, ছবিতে ‘বেবি বাম্প’ স্পষ্ট। আর সেখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে— “তিনি কি অন্তঃসত্ত্বা?” কেউ লিখেছেন, “বিয়ের আগেই বেবি?” আবার কেউ লিখেছেন, “হে ভগবান, এটা কি সত্যি?”

 

বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। ছবি: সংগৃহীত

এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি আমিশা। তবে এর আগে ১৯ বছরের ছোট নির্বাণ বিড়লার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চাউর হয়। একটি ছবি ঘিরে তখনো নেটদুনিয়ায় বেশ আলোচনা হয়েছিল, যেখানে নির্বাণকে ‘ডার্লিং’ বলে সম্বোধন করেন আমিশা, আর নির্বাণও তেমনি প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন।

বর্তমানে আমিশার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। এটি নিছক গুজব, আলো ছড়ানো একটি ছবি, না কি সত্যিই জীবনের নতুন অধ্যায়—তা সময়ই বলে দেবে। তবে একথা নিশ্চিত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় থাকতে অভিনেত্রী ভালোই জানেন কীভাবে দর্শকদের কৌতূহলী করে তুলতে হয়।

Header Ad
Header Ad

পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বনানীতে ছুরিকাঘাতে নিহত প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ছাত্রদল কর্মী পারভেজের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ছেলে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন। কাঁদছে স্বজন ও গ্রামের মানুষ।

তুচ্ছ ঘটনায় প্রকাশ্যে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডে হতবাক সবাই। ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি স্বজন ও এলাকাবাসির। রাত ৯টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে পারভেজের লাশ।

সন্তান হারানো শোকে আজোড়ে কাঁদছেন আর বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা পারভীন আক্তার। বাবা জসিম উদ্দিন যেন শোকে পাথর। এলাকার প্রিয়মুখ পারভেজের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে কাঁদছে গ্রামের মানুষ।

মৃত্যুর আগের রাতে মায়ের সাথে শেষ কথা হয় পারভেজের। শেষবারের মতো ভিডিও কলে দেখেন ছেলের মুখ।

ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে কুয়েত প্রবাসী বাবা জসিম উদ্দিন বাড়ি এসেছেন রোববার ভোরে। একমাত্র ছেলের এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। সন্তান হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা বাবা জসিম উদ্দিন।

মা পারভীন আক্তার বলেন, 'যারা আমার ছেলেরে মারছে তাদের আমার সামনে আনো। আমি জিগাইতাম কেরে আমার ছেলের মারছে।'

বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, 'আমার আর বাইচ্চা থাইক্যা কি অইবো। আমার ছেলেই তো নাই। হাত-পা ভাইঙ্গা রাখতো, সারাজীবন পালতাম, খালি বাবা ডাকটা শুনতাম। যারা আমার ছেলে মারছে তাদের প্রকাশ্যে ফাঁসি চাই।'

বাবা বিদেশে থাকায় নিজের গ্রামের বাড়িতে নতুন একতলা বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন পারভেজ। কিন্তু সে বাড়িতে আর থাকা হলো না তার। ফিরেছে লাশ হয়ে। রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ আসে গ্রামের বাড়ি ভালুকার বিরুনীয়া ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে। লাশ আসার পর সৃষ্টি হয় হৃদয় বিধারক পরিবেশ। পাগল প্রায় মা-বাবা-বোনের আহাজারিতে কান্নার রোল পড়ে।

পারভেজের মৃত্যুর খবরে ভালুকার বিরুনীয়া ইউনিয়নের কাইচান গ্রামে ভিড় করেছেন এলাকার মানুষ। এলাকায় স্বজন, ও ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত পারভেজ ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত বলে জানান স্বজন ও এলাকার মানুষেরা। তাদের পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত। ভিডিও ফুটেজে চিহ্নিত পারভেজের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসি দাবি জানান স্থানীয়রা।

পারভেজের পিতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানান, পারভেজের বাবা বিরুনীয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক নেতা। তাদের পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। পারভেজ এলাকায় আসলে বিএনপি ও ছাত্রদলের কর্মসূচি ও মিছিলে সবসময় অগ্রভাগে থাকতো।

এদিকে ছাত্রদল কর্মী পারভেজ হত্যার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে রোববার বিকেলে ভালুকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল ও স্থানীয়রা। এসময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক আধা ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য গত শনিবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিল পারভেজ। এ ঘটনায় আটজনের নামসহ অজ্ঞাত আসামি করে বনানি থানায় মামলা করেছে নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল

বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসী ফুটবলারদের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তির ধারা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। ইংল্যান্ডের ক্লাব সান্ডারল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলে খেলা ১৯ বছর বয়সী মাঝমাঠের খেলোয়াড় কিউবা মিচেল বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কিউবাকে গতকাল একটি ই-মেইল পাঠানো হয়েছিল। আজ বিকেলে সেই ই-মেইলের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে তিনি আগ্রহী এবং পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য প্রস্তুত আছেন।

জন্মসূত্রে ইংল্যান্ডের হলেও কিউবার মা বাংলাদেশের এবং বাবা জ্যামাইকান। ইতোমধ্যে সান্ডারল্যান্ডের হয়ে ৮টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তার ফুটবল যাত্রা শুরু হয়েছিল বার্মিংহাম সিটির যুব দলে।

এর আগে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব কাভালরির ফুটবলার সামিত সোমও বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে তার জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে এবং পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়াধীন।

ডেনমার্কপ্রবাসী মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়ার পথ ধরে প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশ দলে খেলার এই ধারা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। হামজা চৌধুরীর অভিষেকের পর থেকেই বিষয়টি ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহও বেড়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া
পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর
২০২৫ শেষ হওয়ার আগেই ৫০ সেঞ্চুরিতে দেশের প্রথম এনামুল হক
ভিসা বাতিল করায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভারতীয় ও চীনা শিক্ষার্থীদের মামলা
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যুবলীগ কর্মী মিঠু গ্রেফতার
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী