ফারুকী ভাই উপযুক্ত ব্যক্তি: তমা মির্জা
তমা মির্জা ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পদে যোগ দিয়েছেন পরিচালক-প্রযোজক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এরপর থেকেই আশার সঞ্চার হয়েছে, বাংলা ছবির জন্য নতুন কোনো সুসংবাদ আসতে পারে। তবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তাকে নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে কথা চালাচালি হচ্ছে। তার অতীতের বিভিন্ন ফেসবুক পোস্ট ঘেঁটে তাকে বিভিন্ন ‘ট্যাগ’ দিচ্ছেন একশ্রেণির মানুষ।
আবার জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় সামাজিক মাধ্যমে তার প্রতিবাদী ভূমিকার কারণে ফারুকীর পক্ষেও দাঁড়াচ্ছেন কেউ কেউ। এই যখন পরিস্থিতি তখন নিজের ‘ভোটটা’ এই নির্মাতাকেই দিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তমা মির্জা।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুকীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তমা। জীবনের নতুন অধ্যায়েও যাতে প্রযোজক-পরিচালক একই রকম সফল হন সেই কামনা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি রাজনীতি বুঝি না। বিষয়টি থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করি। তার পরেও মনে হয়, বিনোদন দুনিয়ার কোনো ব্যক্তি যদি বিষয়টি বোঝেন, তা হলে তিনি যোগ দিতেই পারেন। সেই জায়গা থেকে ফারুকী ভাই উপযুক্ত ব্যক্তি।”
তমা আরও জানান, ফারুকী রাজনীতির পাশাপাশি ছবির জগতকেও সমান ভালোবাসেন। এ রকম কোনো মানুষ শাসনকার্যে যুক্ত হলে অবশ্যই তার থেকে বিনোদন দুনিয়ার বাকিদের প্রচ্ছন্ন প্রত্যাশা তৈরি হয়। সরকারের কাছে তিনি তাদের ভালো-মন্দ তুলে ধরবেন, এমনই আশা করেন অভিনেত্রী। তিনি একইভাবে তিনি আশা করছেন, দুই বাংলার জন্য হয়ত ভাল কিছু খবর আসতে চলেছে।
ছাত্র আন্দোলন, শেখ হাসিনার পতন এবং নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন- একের পর এক ঘটনায় ভারত-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান থমকে গিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসে কাজ করা বা এ দেশ থেকে বাংলাদেশ যাওয়ার জন্য ভিসা পেতে সমস্যা হচ্ছে। অভিনেতা বা পরিচালক, প্রযোজকদের সমস্যা হচ্ছে। সেই সমস্যা যেমন ঢাকার তেমনই টলিউডেরও। ফারুকী কী সত্যিই উদ্যোগী হবেন এ বিষয়ে?
সমস্যার বিষয়টি অস্বীকার করেননি অভিনেত্রী তমা মির্জা। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ভিসা জটিলতায় আমি নিজেও ভুগছি। সব সময় কাজের জন্যই যে পড়শি দেশে যেতে হবে, এমন কথা নেই। পড়শি ভারতেও অনেক বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন। ইচ্ছে করে, তারা আসুন বা আমরা তাদের কাছে যাই। এই জায়গাটা অনেক দিন ধরেই বন্ধ।
তমা আরও জানান, যোগাযোগের এই মাধ্যমের যাবতীয় জট কাটিয়ে যেন দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। যাতে দুই বাংলার মানুষ আবার আগের মতো কাজের পাশাপাশি বন্ধুত্বের কারণেও দুই দেশে যাতায়াত করতে পারেন।