মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ছাত্র আন্দোলনে নিশ্চুপ থাকা জয়া বন্যা ইস্যুতে তোপের মুখে

অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে গণহত্যার সময় মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে কথা বলা তো দূরে থাক- গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করেননি তিনি। ফেসবুকে সব সময় সক্রিয় থাকা এই অভিনেত্রী আন্দোলন চলাকালীন ছিলেন নিশ্চুপ; কিন্তু সরকার পতনের ১৭ দিন পর দেশের চলমান বন্যা ইস্যুতে মুখ খুলতেই তোপের মুখে পড়েন জয়া।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে অভিনেত্রী জয়া আহসান লেখেন, কোনো পূর্বাভাস না দিয়ে প্রলয়ের মতো কী এক বন্যা এসে দেশের পূর্বদিক একেবারে ভাসিয়ে নিয়ে গেল। মানুষের অসহায়তার ছবি দেখে মনটা ভারি হয়ে আছে। মানুষই এর উপশম দিতে পারে। মানুষ এক হলে কেমন অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটাতে পারে, সেটা আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিস্মিত হয়ে দেখেছি। একটা ভয়াবহ রাজনৈতিক বিপর্যয় থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি।

তিনি আরও লিখেন, এখন তো আমাদের দেশটা গড়ার নতুন সময়, এখন তো হাতে হাত রেখে কাজ করার জন্য আমরা সবাই প্রস্তুত হচ্ছিলাম, রিবিল্ড, রিফর্ম বাংলাদেশের স্বপ্ন আমাদের, সবার জন্য নিরাপদ বাংলাদেশের স্বপ্ন। আবার এক হলে এ বিপদ থেকেও মানুষকে উদ্ধার করতে পারব। ঢাকা থেকে যে কোনো সাহায্যের জন্য আমি প্রস্তুত, আপনাদের কাছে আমার প্রার্থনা- যতটা পারি আমরা সবাই এগিয়ে এলে অনেক জীবন বেঁচে যাবে।

 

তবে জয়ার এই স্ট্যাটাসে খুশি নন নেটিজেনরা। কারণ রক্তাক্ত জুলাই-আগস্ট নিয়ে চুপ থাকায় অভিনেত্রীর সমালোচনা করেছেন তারা। রক্তের বন্যা যখন বইছিল তখন আপনার মানবতা কোথায় ছিল-এমন প্রশ্নও তুলেছেন অনেকেই।

আরিফুল ইসলাম লিখেছেন, আপনার প্রিয় ভারত এটা করেছে। একবারও তো বললেন না। বলবেনও না।

 

অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

কেএইচ রাতুল লিখেছেন, আপনার মতো নারী দেশকে নিয়ে চিন্তা না করলেও হবে, আমার সোনার বাংলা ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবে। আপনারা যে ভারতের দালাল, এটা বাংলার মানুষ ভালো করে জানে। নাটক কম করো প্রিয়।

ইথার নামে একজন লিখেছেন, বাংলাদেশের মানুষ এবং ছাত্রদের কাছে আগে ক্ষমা চেয়ে নেন, পরে এগুলো করতে আইসেন প্লিজ। আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবেই পরামর্শটা দিলাম, ক্ষমা চান করজোড়ে।

সাদিয়া আফরিন নামে এক তরুণী বলেছেন- ‘উজান থেকে পানি আসছে বলবেন না, বলুন ভারতের ছেড়ে দেওয়া পানি, ভারত থেকে আসা পানি। ভারত কী আপনার ভাসুর যে তার নাম মুখে নিতে পারছেন না’?

প্রিন্স তুহিন লিখেছেন, ‘আপা আপনি ভারতে গিয়ে আরও ছবি করেন, গান করেন, নাচ করেন। দেশ নিয়ে না ভাবলেও চলবে। আপনারা এ দেশে জন্ম নিয়ে সারাজীবন এ দেশের বিরুদ্ধে গেছেন, রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে গেছেন। তাই আপনাকে এ সময়ে প্রয়োজন নেই’।

 

অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

রাকিব হাসান লিখেছেন, ‘আপনি না বললেও এ দেশর মানুষ এ দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াবে। আপনি গর্তে ছিলেন, গর্তেই থাকেন’।

কেএইচ রাতুল লিখেছেন, ‘আপনার মতো নারী দেশকে নিয়ে চিন্তা না করলেও হবে, আমার সোনার বাংলা ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবে। আপনারা যে ভারতের দালাল, এটা বাংলার মানুষ ভালো করে জানে। নাটক কম করো প্রিয়।’ জাবিন তাসনিম খান লিখেছেন, এখন বিজ্ঞাপন দিতে আসছে, এখানেও টাকা কামানোর ধান্ধা।

তারেক মাহমুদ লিখেছেন, ‘আপনার প্রিয় ভারতের কারণে এ বিপর্যয়। এটা বলার সাহস নেই অথচ দরদ কুড়ানো মার্কা পোস্ট দিচ্ছেন’। নজরুল ইসলাম বাবু লিখেছেন, ‘তারপরও তো ভারত গিয়েই নিজেকে বিলিয়ে দেন’। শাকিল আলম অরন্য বলেন, ‘তারপরও ভারতের দালালি করো তোমরা’।

আকিব ইফরান বলেন, ‘বন্যাকে ঢাল বানিয়ে দীর্ঘদিন গর্তে থাকা অমানুষেরা বের হচ্ছে, কুমিরের কান্না শুরু’!

ইথার নামে একজন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ এবং ছাত্রদের কাছে আগে ক্ষমা চেয়ে নেন, পরে এগুলো করতে আইসেন প্লিজ। আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবেই পরামর্শটা দিলাম, ক্ষমা চান করজোড়ে।’

হাসান মাহমুদ লিখেছেন, ‘কত টাকা খাইছেন এসব ফাউন্ডেশন বিজনেসকে প্রমোট করতে? আপনারা টাকা ছাড়া কিছু করেন এখন আর বিশ্বাস হয় না। আমার দুই চাচা এইখানকার দুই কোম্পানিতে আছে, খোঁজ নিতে বেশি টাইম লাগবে না’।

প্রিয়া সেন বলেছেন, ‘এতদিন আইডি ডি-অ্যাক্টিভ রেখে সময় ও সুযোগ বুঝে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে গেছেন কতিপয় কোম্পানির! সুযোগের সদ্ব্যবহার! সেই তো আবার আমাদের কলকাতায় এসে পড়ে থাকবেন। দেখলেন হাসিনার দালালি করে লাভ হলো না। শেষ স্ট্যাটাস ডিলিট করলেন কেন? মানুষের গালি শুনে? এ আন্দোলনে আপনার ভূমিকা কী? কোনো স্ট্যাটাস প্রসব করেননি বা উপস্থিত হননি। এখন বন্যার্ত যারা আছেন তাদের আপনি না বললেও সবাই স্বতঃস্ফূর্ত সাহায্য করছেন। সুবিধাবাদী অভিনেত্রী কুমিরের ক্রন্দন করতে এসেছেন’।

কাইফ হাসান লিখেছেন, ‘আপনার বিবেক জাগ্রত হয়েছে তাতেই আমরা খুশি। এতগুলো প্রাণ ঝরে গেল, তখন আপনাদের বিবেক মৃত ছিল সেটাই আমাদের দুঃখের জায়গা। আপনারা ছিলেন অবৈধ খুনি হাসিনার ভোট চুরির ব্র্যান্ড প্রমোটার। আপনাদের আমরা ভালোবেসে প্রতারিত হয়েছি। আপনাদের কাছে কুকুরের জীবনের মূল্য যতটা, মানুষের মূল্য ঠিক ততটাই নগন্য। আপনাদের এ দেশের মানুষ ভালোবাসে আর আপনারা একটা দলের হয়ে ব্র্যান্ড প্রমোটিং করেন। অথচ আপনাদের হওয়ার কথা ছিল প্রতিটা মানুষের ভালোবাসার পাত্রী। হয় তো জনগণ আপনাদের এই ধোঁকা ধরতে পেরেছে। তাই আপনাদের এত সহজে ক্ষমা করবে না। লিখেছেন সবকিছুই ঠিক আছে কিন্তু ভারত এ পানিটা দেশে ছেড়ে মানুষগুলোকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে সেই কথাটা বলেননি। আসলে আপনারা জন্মগতভাবেই বৈষম্য তৈরি করে রেখেছেন। সত্যিই আপনাকে ভালোবাসি কিন্তু আপনি জঘন্য কাজ জাতির সঙ্গে করেছেন এতে ভালোবাসাটা ক্ষীণ হয়ে আসছে। আশা করি, কমেন্ট এবার ডিলিট করবেন না। জাতির জানা উচিত আপনারা কতটা আওয়ামী লীগ ছিলেন।

এসএ আখতার লিখেছেন, প্রথমত আপনি এবং চঞ্চল চৌধুরী ভারতীয় দালাল গোলাম, বাংলাদেশের শত্রু, আপনি শেখ হাসিনার দালাল।

শায়ের রহমান লিখেছেন, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, জয়া এবং চঞ্চলকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হোক।

জাকারিয়া মাসুদ মুন্না লিখেছেন- একজন ভারতীয় এজেন্ট যিনি সর্বদা বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের চেয়ে ভারতীয় রাস্তার কুকুর নিয়ে বেশি চিন্তিত। এখন বন্যা দুর্গতদের মানবতা দেখানোর চেষ্টা করছেন। এটা কতটা হাস্যকর।

Header Ad

আরও ২৯ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি) সম্প্রতি আরও ২৯ জন সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট পেশার ব্যক্তির প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। রোববার (৩ নভেম্বর) পিআইডির প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামুল কবীর স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

আদেশে বলা হয়, প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন নীতিমালা অনুযায়ী এই সাংবাদিকদের স্থায়ী এবং অস্থায়ী অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া কার্ডধারীদের মধ্যে আছেন বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যমের সম্পাদক, সংবাদ প্রধান এবং বিশেষ প্রতিনিধি।

কার্ড বাতিল হওয়া সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন টিভি টুডের প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, নিউজ২৪-এর হেড অব নিউজ রাহুল রাহা, এটিএন নিউজের বার্তা প্রধান নুরুল আমিন প্রভাষ, দৈনিক ডেসটিনির উপ-সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, সময় টিভির সিইও আহমেদ জোবায়ের, দৈনিক জাগরণের সম্পাদক আবেদ খান, এবং নিউজ২৪-এর সিনিয়র রিপোর্টার জয়দেব চন্দ্র দাস।

এছাড়া, নাগরিক টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক দীপ আজাদ, এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী জ.ই. মামুন, বাসসের উপপ্রধান বার্তা সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি হোসনে আরা মমতা ইসলাম সোমা, দৈনিক কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি হায়দার আলী, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি, দৈনিক পূর্বকোণের ঢাকা ব্যুরো প্রধান কুদ্দুস আফ্রাদ, বৈশাখী টিভির প্রধান সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ডিবিসি নিউজের অ্যাসাইমেন্ট এডিটর নাজনীন নাহার মুন্নী, ফ্রিল্যান্সার নাদিম কাদির, বাসসের নগর সম্পাদক মধুসূদন মন্ডল, এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক আশিষ ঘোষ সৈকত।

তালিকায় আরও আছেন দৈনিক বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জাফরউল্লাহ শরাফত, দৈনিক আনন্দ বাজারের বিশেষ প্রতিনিধি কিশোর কুমার সরকার, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিনের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, আরটিভির সিইও আশিকুর রহমান, একুশে টিভির হেড অব ইনপুট অখিল কুমার পোদ্দার, গাজী টিভির এডিটর রিসার্চ অঞ্জন রায় এবং দৈনিক ভোরের কাগজের বার্তা সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন।

এই সাংবাদিকদের কার্ড বাতিলের সিদ্ধান্তের পর গণমাধ্যমজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

Header Ad

কৃষক বাবাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে পুলিশের এএসপি হন শতকোটি টাকার মালিক হারুন

সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের। ২০তম বিসিএসে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় পুলিশে যোগ দিলেও তার বাবা মো. হাসিদ ভূঁইয়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তার বাবার নাম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা পরে হারুনের পুলিশের চাকরির ক্ষেত্রে সহায়তা করে।

২০১১ সালের ৬ জুলাই সংসদ ভবনের সামনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বিএনপি নেতা জয়নুল আবদীন ফারুককে মারধর করে আলোচনায় আসেন হারুন। এ ঘটনার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থা অর্জন করেন তিনি এবং তার পর থেকেই একের পর এক পদোন্নতির মাধ্যমে পুলিশের অন্যতম প্রভাবশালী কর্মকর্তায় পরিণত হন।

হারুন অর রশীদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাতারাতি সম্পদের পাহাড় গড়েন। বলা হয়, সাধারণত হেলিকপ্টার ছাড়া তিনি বাড়িতে আসতেন না। তার বিরুদ্ধে দেশ ও বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচারের অভিযোগও ওঠে। মিঠামইনে নিজ গ্রামের বাড়িতে শতকোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলেন বিলাসবহুল 'প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট', যেখানে রয়েছে হেলিপ্যাড এবং অত্যাধুনিক সুইমিং পুল।

প্রেসিডেন্ট রিসোর্টটি একসময় ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রিসোর্টের জৌলুসও কমে যায় এবং অবশেষে রিসোর্টের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এখন সেখানে জনমানবহীন ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, হারুনের রিসোর্টটির জন্য এলাকার সংখ্যালঘু ও অন্যান্য ভূমি মালিকদের ভয় দেখিয়ে জমি দখল করা হয়েছিল এবং অধিকাংশ মালিক এখনো তাদের জমির মূল্য পাননি। স্থানীয় সংখ্যালঘু প্রতিনিধি দীলিপ চৌধুরী জানান, তার কোটি টাকার মূল্যমানের জমি হারুন ভয় দেখিয়ে দখল করেছেন, কিন্তু টাকা পরিশোধ করেননি। একইভাবে মানিক মিয়া নামে আরেক ব্যক্তি তার ৫ একর জমির কোনো মূল্যই পাননি।

স্থানীয়রা বলছেন, ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করা হারুন পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাতারাতি বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন।

Header Ad

হত্যা মামলার আসামি হয়েও পাসপোর্ট পেতে যাচ্ছেন শিরীন শারমিন চৌধুরী

সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী-এমপিদের লাল পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এর ধারাবাহিকতায় বাতিল করা হয়েছে সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কূটনৈতিক পাসপোর্টও। রংপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন শ্রমিক নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলার আসামি শিরীন শারমিন আত্মগোপনে রয়েছেন এবং গ্রেপ্তার এড়াতে ঢাকায় সাধারণ ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে।

৩ অক্টোবর, তিনি এবং তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন সাধারণ ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। অভিযোগ রয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত না হয়ে তারা বাসায় বসেই আঙুলের ছাপ ও আইরিশ স্ক্যান জমা দেন। অথচ নিয়ম অনুসারে, এসব তথ্য পাসপোর্ট অফিসে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জমা দিতে হয়।

এ প্রসঙ্গে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র জানায়, শিরীন শারমিন চৌধুরী ও তার স্বামী অনৈতিক সুবিধা নিয়ে পাসপোর্ট প্রক্রিয়ায় বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন এবং এর জন্য মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করছেন। যদিও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন জানান, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের পাসপোর্ট পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তবে আইনের সীমার মধ্যে থেকে পাসপোর্ট অধিদপ্তর কাজ করে।

সাবেক এ স্পিকারের বাসার ঠিকানা হিসেবে ধানমণ্ডির একটি বাসার উল্লেখ থাকলেও সেই ঠিকানায় তাদের পাওয়া যায়নি বলে জানান রক্ষণাবেক্ষণকারী কর্মচারী শাহাবুদ্দীন। তিনি জানান, শিরীন শারমিন এ বাসায় থাকেন না এবং এখানে তার উপস্থিতি গত কয়েক মাসে দেখা যায়নি।

পাসপোর্ট বিষয়ক এই বিতর্কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এই সময়ে হত্যা মামলার আসামিদের পাসপোর্ট প্রক্রিয়া সহজ করা সন্দেহজনক। এতে বিচার প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফিরোজ সরকার এ ধরনের সুবিধা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং জানান, নিয়মের বাইরে কেউ এভাবে সুবিধা নিতে পারেন না। এদিকে মামলার তদন্তকারী রংপুর মহানগর পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, শিরীন শারমিন চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের জন্য খোঁজা হচ্ছে এবং তার সন্ধান পাওয়া মাত্রই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আরও ২৯ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল
কৃষক বাবাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে পুলিশের এএসপি হন শতকোটি টাকার মালিক হারুন
হত্যা মামলার আসামি হয়েও পাসপোর্ট পেতে যাচ্ছেন শিরীন শারমিন চৌধুরী
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্রদলের দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
শেখ হাসিনা কীভাবে ভারতে আছেন, জানতে চাইলেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী
মানুষ আগেও ভোটারবিহীন সরকারকে মানেনি, এখনও মানবে না: মির্জা আব্বাস
মাওলানা সাদকে দেশে আসতে দিলে অন্তর্বর্তী সরকারের পতন
সরকারি অনুষ্ঠানে স্লোগান ও জয়ধ্বনি থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা
বেনাপোল স্থলবন্দরে ভোক্তা অধিকারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গুম কমিশনে জমা পড়েছে ১৬০০ অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি র‌্যাবের বিরুদ্ধে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থেকে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার, মানবপাচার চক্র আটক
১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম কমলো ১ টাকা
বিডিআর হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে হাইকোর্টের জাতীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন নয়
বাংলাদেশে ইজতেমা একবারই হবে, দুবার নয়: মহাসম্মেলনে বক্তারা
এক মাস পর খাগড়াছড়ি ও সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত
মার্কিন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৬ প্রার্থী
শাকিব খানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন পূজা চেরি
মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা রেখেই ঢাবির ভর্তি কার্যক্রম শুরু
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলায় ব্যালট পেপার