রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

শাকিব ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পুরুষকে ভাবতে পারি না : বুবলী

ফাইল ছবি

ঈদ উপলক্ষে নাগরিক টেলিভিশনের পর্দায় এসেছিলেন বর্তমান সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী শবনম বুবলী। এরই মধ্যে প্রথম পর্ব সম্প্রচারিত হয়েছে টেলিভিশনটি। সেখানে নিজের, শাকিব খান-অপু বিশ্বাস এবং দুই ভাই বীর ও জয়কে নিয়ে নানা ধরনের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন নায়িকা।

মঙ্গলবার প্রচারিত হয়েছে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব। টেলিভিশনের অনুষ্ঠানপ্রধান কামরুজ্জামান বাবুর সঞ্চালনায় ‘বলা না-বলা’ অনুষ্ঠানে নানা ধরনের বিতর্কিত প্রশ্নের সোজাসাপ্টা জবাব দিয়েছেন বুবলী।

অভিনেত্রী শবনম বুবলী ও নাগরিক টেলিভিশনের অনুষ্ঠানপ্রধান কামরুজ্জামান বাবু । ছবি-সংগৃহীত
 
 

অনুষ্ঠানে বুবলীর ‘মায়া’ এবং ‘দেয়ালের দেশ’ নিয়ে কথা বলেন সঞ্চালক। ‘দেয়ালের দেশ’-এর পোস্টার, ট্রেলারে চমকপ্রদ দৃশ্যায়ন এবং রহস্য নিয়ে জানতে চাওয়া হয় অভিনেত্রীর কাছে। উত্তরে বুবলী বলেন, ‘পুরো সিনেমাতেই খুব ভিন্নভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। আমরা চাই, দর্শক সিনেমা হলে গিয়েই গল্পটা জানুক। এই থ্রিল, রোমান্স হাহাকার—সব মিলেমিশে একাকার হয়েছে “দেয়ালের দেশ”-এ। আর লাশঘরের আলোচিত সেই দৃশ্য নিয়ে সবাই খুব আবেগপ্রবণ। আমার বোনেরা বলেছে, তারা এই দৃশ্য নিতে পারছে না। অন্যদিকে “মায়া” সম্পূর্ণ ভিন্নধারার একটি সিনেমা।’

শাকিব খানের ‘রাজকুমার’ এবং ‘দেয়ালের দেশ’-এর মধ্যে প্রতিযোগিতা প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, ‘প্রথমত বলতে চাই, এখানে কোনো প্রতিযোগিতা হচ্ছে না। আর শাকিব খানের মতো নায়কের সিনেমা হল বেশি পাবে, সেটাই স্বাভাবিক। আমার মনে হয়, সবাই সব কটি সিনেমাই দেখুক।’ ‘প্রিয়তমা’ আর ‘রাজকুমার’-এর মধ্যে শাকিবের কোন লুক পছন্দ, প্রশ্নের জবাবে বুবলী বলেন, ‘আমার কাছে ‘প্রিয়তমা’র লুকই বেশি পছন্দ হয়েছিল। তাকে দাড়িতে খুব ভালো লাগে। আমি অনেকবার বলেছি।’

শাকিব খানকে বুবলী ভালোবাসেন কি না, প্রশ্নের উত্তরে বুবলী বলেন, ‘আগের মতো ভালোবাসা আছে কি না, জানি না। তবে তাঁকে ভালোবাসি। মায়াটা আগের মতোই আছে। কিছু কিছু অভিমান থাকে। দুজনের মধ্যে আলোচনা হয় না বলেই অনেক ভুল-বোঝাবুঝি হয়। বাইরের মানুষের কথা শুনে আপন মানুষের সঙ্গে আলোচনা না করেই প্রতিক্রিয়া দেখান তিনি।’

এভাবেই কি কাটিয়ে দেবেন সারা জীবন? বুবলীর উত্তর, ‘একদমই! আর কোনো প্রেম, সম্পর্ক আমার ধারেকাছে কোনো দিনই ভিড়তে পারবে না; অর্থাৎ বিয়ে-প্রেম—এসব নিয়ে আর কখনোই আমি ভাবতে পারব না। শুধু আমি আমার কাজ, সন্তানকে গুরুত্ব দিচ্ছি। ভবিষ্যতে এই সিদ্ধান্ত কোনো দিনই বদল হবে না। শাকিব খান ছাড়া দ্বিতীয় পুরুষ হিসেবে কাউকে কখনোই ভাবতে পারি না। এখন সন্তানের জন্য অনেক কিছুই মানিয়ে নিচ্ছি।’

বুবলী শাকিবের স্ত্রী, এটার কোনো প্রমাণ নেই, সমালোচকদের এই মন্তব্যের জবাবে নায়িকা বলেন, ‘আমাদের বিয়ে পুবাইলে শাকিব খানের বাড়িতেই হয়েছে। কাজি ছিলেন। আমাদের বিয়ের বয়স ৬-৭ বছর। পুবাইলে আমাদের সংসার ছিল। ওখানকার সবাই জানেন। কাছের ডিরেক্টর-প্রোডিউসার সবাই জানেন। আর যা ছড়ানো হচ্ছে, তার আসলে কোনো ভিত্তি নেই। সবটাই গুজব।’

মোহরানার প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, বিয়ের কিছুদিন পরই মোহরানা শোধ করে দিয়েছেন শাকিব। বিয়ের পর তাজমহল-আজমির শরিফ যাওয়া হয়েছে। আমরা যেহেতু ব্যস্ত থাকি, সেহেতু যখন একসঙ্গে বসে খাবার খেতাম, সেই ক্ষণটিও আমাদের জন্য অনেক সুন্দর সময় হয়ে যেত।’
অনুষ্ঠানে আসে পরীমনির প্রসঙ্গও। বুবলী বলেন, ‘একজন মায়ের আবেগ, সন্তানকে নিয়ে সংগ্রামের গল্প যদি কারও সঙ্গে মিলে যায়, আর সেটা নিয়ে যদি কেউ কটাক্ষ করেন, সেটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার।’

 

Header Ad
Header Ad

আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে তাদের চিকিৎসা বন্ধ রাখতে ও ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনই এক প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পূর্বনির্ধারিত শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, "আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) পরিদর্শনে গিয়ে জানতে পারি, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখন তিনি চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’—অর্থাৎ আহতদের চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দেন।"

তিনি আরও বলেন, "এই নির্দেশের কথা আহত রোগী, তাদের স্বজন এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরাও আমাদের জানিয়েছেন। আমরা এর তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি এবং আদালতে তা উপস্থাপন করেছি।"

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর জানান, "জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের মৃতদেহ সুরতহাল করতে দেওয়া হয়নি, ডেথ সার্টিফিকেটেও গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য লুকানো হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা জ্বরের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি আন্দোলনে শহীদদের লাশ দাফন করতে গেলে পুলিশের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের পরিবারকে।"

তিনি বলেন, "আদালত জানতে চেয়েছেন, শহীদদের সুরতহাল প্রতিবেদন বা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট কেন নেই। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, সে সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, দ্রুত লাশ দাফনে বাধ্য করা হয়েছিল। ফলে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব হয়নি।"

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্মমতার এসব প্রমাণ যাচাই-বাছাই ও ফরেনসিক বিশ্লেষণের পর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার প্রমাণ হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।"

এই মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ চলমান রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রসিকিউটর।

Header Ad
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক আদালতে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন, যা শুনানি শেষে মঞ্জুর করা হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশ-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

এছাড়া, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে এসব সম্পদ স্থানান্তর হয়ে গেলে তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং সরকারের অনুকূলে রাখার স্বার্থে শেয়ারগুলোর পাশাপাশি সেগুলো থেকে উদ্ভূত মুনাফা, আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

থাকবে না সরকারি ছুটি

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা

পিলখানা হত্যাকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে আজই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এ বছর থেকে দিবসটি পালন করা হবে। তবে এ দিনে থাকবে না সরকারি ছুটি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এমন বক্তব্যের কিছু সময় পরই ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল