ইলিয়াস কাঞ্চনের কমিটি পিকনিক ছাড়া কিছুই করেনি : সোহেল রানা
ফাইল ছবি
ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বাধীন কমিটি দুই বছরে পিকনিক ছাড়া কিছুই করেনি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি সোহেল রানা। সেই সাথে শিল্পী সমিতির পিকনিকে জায়েদ খানকে দাওয়াত না দেওয়ায় অভদ্রতা বলেছেন তিনি।
দেশের একটি অনলাইন গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সোহেল রানা বলেন, ‘শিল্পী সমিতির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আসলে ইলিয়াস কাঞ্চন এই দুই বছরে কিছুই করতে পারেনি। কারণ, পুরো কমিটি নিয়ে একটা মিটিংই করতে পারেনি। এক দল কখনো মিটিংয়ে আসেনি। একা তো ওর পক্ষে কিছু করা সম্ভব না। ওর জীবনের এই একটা পার্ট সেটা ভুলে যেতে চাইবে। এই সময়ে শিল্পী সমিতি একটা পিকনিক ছাড়া কিছুই করতে পারেনি। আগে মিশা-জায়েদ যেভাবে কাজ করত, এ কমিটি আসার পর সেরকম কিছুই দেখিনি আমি। নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ থাকলে কখনো ভালো কিছু করা সম্ভব না। ভালো কিছু করতে হলে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। সে দিক থেকে মিশা-জায়েদ কমিটি অনেক ভালো ছিল। মানুষ জানত একটি কমিটি আছে বিপদে পাশে পাওয়া যায়। সবসময় ঈদে দু-তিনশো মানুষের বাসায় উপহার যেত।’
জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে সোহেল খান বলেন, ‘কি অপরাধে পরপর তিনবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত জায়েদের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে জানি না। তার ভুল থাকতে পারে কিন্তু তাকে শোকজ করা হয়েছে কিনা, নিয়ম অনুযায়ী সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে কিনা বলতে পারছি না। আমার জানা মতে, কারো সদস্যপদ স্থগিত করতে হলে তিনবার শোকজ করতে হয়। তার উত্তর যদি সন্তোষজনক না হয়ে থাকে তাহলে সবাই মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এভাবে হয়েছে কিনা আমার ঠিক জানা নেই। সঠিকভাবে হয়ে থাকলে ঠিক আছে। আর যদি সঠিক নিয়মে না হয়ে থাকে তাহলে নির্বাচনের আগে তাকে বের করে দেওয়া ভালো হয়নি। তাদের মধ্যে যে দূরত্ব ছিল সেটা মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল, সেটাকে আরো উসকে দেওয়া হয়েছে।’
জায়েদ খানকে শিল্পী সমিতির পিকনিকে দাওয়াত না দেয়া প্রসঙ্গে সোহেল রানা বলেন, ‘এটা সাধারণ একটা অভদ্রতা। জায়েদের সদস্যপদ যদি নাও থাকে পূর্বে সমিতির জন্য কয়েক বছর কাজ করেছে, সেজন্য হলেও ওরে দাওয়াত দেওয়া ছিল ভদ্রতা। জায়েদ তো বড় অন্যায়কারী কিংবা ক্রিমিনাল না যে, দাওয়াত দেওয়া যাবে না। শিল্পী না তারপরও অনেককেই তো দাওয়াত করা হয়েছে। নিজের সহকর্মীর প্রতি পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিত। সেখানে দাওয়াত না দেওয়া শোভনীয় মনে হয়নি। জায়েদকে আটকে দেওয়ার জন্যই সদস্যপদ স্থগিত করেছে। ওরাই বেশি কাজ করেছে। সবার নাম আসে না। জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদক যার কারণে বার বার নাম আসে।’