সংরক্ষিত আসনেও নায়িকাদের ভরাডুবি
ঢাকাপ্রকাশ ফাইল ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন বিনোদন জগতের ১৫ জন তারকা। নতুনদের মধ্যে শুধু নায়ক ফেরদৌস আহমেদই মনোনয়ন পান। ঢাকা-১০ আসনে নৌকা প্রতীকে লড়ে এমপিও হয়েছেন তিনি। সেই মনোনয়ন তালিকায় স্থান পাননি আর কোন তারকা। সম্প্রতি সংরক্ষিত নারী আসনেও শিল্পীদের মনোনয়নপত্র কেনার ক্ষেত্রে বেশ আগ্রহ দেখা গেছে অনেকের।
আর আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে নিজেদের মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। সেই তালিকায়ও নেই নতুন কোনো অভিনেত্রীর নাম।
দলটির তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন সুজাতা বেগম, লাকী ইনাম, সুবর্ণা মুস্তাফা, শমী কায়সার, রোকেয়া প্রাচী, তারিন জাহান, শিমলা, মেহের আফরোজ শাওন, তানভীন সুইটি, অপু বিশ্বাস, নিপুণ, শামীমা তুষ্টি, শাহনূর, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সোহানা সাবা, নুসরাত ফারিয়া প্রমুখ। তবে বাংলাদেশের প্রাচীনতম দলটি তাঁদের কারও ওপর এবার আস্থা রাখেনি।
সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনীতরা হলেন
রেজিয়া ইসলাম (পঞ্চগড়), দ্রোপদী দেবি আগরওয়াল (ঠাকুরগাঁও), আশিকা সুলতানা (নীলফামারী), রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট) আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য সম্পাদক, কোহেরী কুদ্দুস মুক্তি (নাটোর), জারা জেবিন মাহবুব (চাপাইনবাবগঞ্জ), রুনু রেজা (খুলনা), ফরিদা আক্তার বানু (বাগেরহাট), ফারজানা সুমি (বরগুনা), খালেদা বাহার বিউটি (ভোলা), নাজনীন নাহার রোশা (পটুয়াখালী) ফরিদা ইয়াসমিন (নরসিংদী), উম্মে ফারজানা সাত্তার (ময়মনসিংহ), নাদিরা বিনতে আমির (নেত্রকোনা), মাহফুজা সুলতানা মলি (জয়পুরহাট), পারভীন জামান কল্পনা (ঝিনাইদহ) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, আরমা দত্ত (কুমিল্লা), লায়লা পারভীন (সাতক্ষীরা), মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা) সদ্য সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী, বেদৌড়া আহমেদ সালাম (গোপালগঞ্জ), শবনম জাহান (ঢাকা), পারুল আক্তার (ঢাকা), সাবেরা বেগম (ঢাকা), শাম্মী আহমেদ (বরিশাল) আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক, নাহিদ ইজহার খান (ঢাকা), ঝর্ণা আহসান (ফরিদপুর), ফজিলাতুন নেছা (মুন্সীগঞ্জ) সদ্য সাবেক মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী, সাহেদা তারেক দিপ্তী (ঢাকা), অনিমা মুক্তি গোমেজ (ঢাকা), শেখ আনার কলি পুতুল (ঢাকা), মাসুদা সিদ্দিক রোজি (নরসিংদী) তারানা হালিম (টাঙ্গাইল) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, শামসুন নাহার (টাঙ্গাইল) আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক, মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর) নির্বাচনের পরাজিত হয়েছিলেন, অপরাজিতা হক (টাঙ্গাইল) হাসিনা বারী চৌধুরী (ঢাকা), নাজমা আক্তার (গোপালগঞ্জ), রুমা চক্রবর্তী (সিলেট), ফরিদুন্নাহার লাইলী( লক্ষ্মীপুর) আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক, আশরাফুন নেছা (লক্ষ্মীপুর), কানন আরা বেগম (নোয়াখালী), শামীমা হারুন লুবনা (চট্টগ্রাম), ফরিদা খানম (নোয়াখালী), দিলারা ইউসুফ (চট্টগ্রাম), ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম) আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক, ডরথি তঞ্চঙ্গা (রাঙামাটি), সানজিদা খানম (ঢাকা) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন, নাছিমা জামান ববি (রংপুর)।
কানন আরা বেগমের নামটা স্বতন্ত্র থেকে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের থেকে বিবেচনা করা হয়েছে। তিনি গণতন্ত্রী পার্টির।