বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানিয়েই নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করলেন মাহি
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত। ছবি: সংগৃহীত
নানা ঘটনা ও নাটকীয়তার পর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির। ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আর কোনো বাধা রইল না তার।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত করে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছেন এই চিত্রনায়িকা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাহি নিজেই।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং মোনাজাত করে আমার নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করলাম। সকলের কাছে আমার জন্য দোয়া চাই, আমি যেন আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণের সেবা করতে পারি।’
এর আগে গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহি। ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের আপিল শুনানিতে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মাহি বলেন, ‘টেনশনে ছিলাম যে আমি ন্যায়বিচার পাব কি না। কারণ, আমি আমার জায়গা থেকে সৎ ছিলাম। আজকে সেটারই প্রতিদান পেয়েছি আসলে। আমি শতভাগ বিশ্বাস করতে শুরু করেছি যে এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হতে যাচ্ছে।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে যাচ্ছে। কারণ সেখানে আমার জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। আমার এলাকার লোকজনই আমাকে মোটামুটি জোর করে বলেছে যে “আপনাকে নির্বাচন করতে হবে”। কারণ তারা জানে আমি মাঝি, যদিও আমি নৌকা পাইনি। তারা আমাকে নৌকার মাঝি হিসেবেই দেখতে চান। আমি যাতে বিপুল ভোটে জিতে নৌকার মাঝি হই। এটা তারা আমাকে খুব করে চান।’
স্বাক্ষরের গড়মিল ও সমর্থকের তথ্য ভুল থাকায় গত ৩ ডিসেম্বর মাহির মনোনয়নটি বাতিল করা হয়েছিল। তখনই তিনি আপিল করবেন বলে জানিয়েছিলেন। এরপর যাচাই-বাছাই করে গতকাল ১১ ডিসেম্বর মাহির প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।
এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন মাহিয়া মাহি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পাননি। এরপর তিনি তার নানাবাড়ির আসনে (রাজশাহী-১) স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।