"হিউম্যানিটারিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড" পেলেন নায়ক জায়েদ খান
সম্মাননা হাতে জায়েদ খান
নিউ ইয়র্কের "ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসি ও ডিপ্লোম্যাসি রিসার্চ" থেকে বাংলাদেশী চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে 'হিউম্যানিটারিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড' প্রদান করা হয়েছে। একই সাথে তিনি বাংলাদেশের গ্লোবাল শান্তিদূত নিযুক্ত হয়েছেন।
বিশ্বের ৪০ ব্যক্তির মধ্যে জায়েদ খানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানবিক অবদানের জন্য 'হিউম্যানিটারিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড' প্রদান করা হয়েছে। এই পুরস্কার অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের জাতিসংঘের সদর দপ্তরে আয়োজিত হয়।
অনুষ্ঠানে জায়েদ খানকে সনদ এবং সম্মাননা স্মারক সম্প্রদান করা হয়েছে। যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষ থেকে পাঠানো শুভেচ্ছা বক্তব্য পাঠ করা হয় বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।
"ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসি ও ডিপ্লোম্যাসি রিসার্চ" তাদের ওয়েবসাইটেও সম্মাননা প্রাপ্তদের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করেছে। জায়েদ খানের নামের বর্ণনা করে তাঁর ফিল্মি কর্মকাণ্ড এবং সম্মাননা প্রদানের কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
জায়েদ খান এই অনুষ্ঠানে সম্মানিত হওয়ার প্রতি আবেগ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, "কভিড সময়কালে আমার কর্মকাণ্ড ও মানবিকতা তাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কেননা তারা আমার নিকট পূর্বে আমার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মেইল চেয়েছে, আমি পাঠিয়েছি। আমার চলচ্চিত্রের কাজ জানতে চেয়েছে। এছাড়াও আমি একজন চিত্রতারকা, তাই তারা আমাকে মনোনীত করেছে।"
এই অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রদান এবং সম্মাননা অনুষ্ঠানে নৈশভোজ আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রাপ্ত ৪০ জন ছাড়াও অনেক দূর্লভ অবদানকারী উপস্থিত ছিলেন।
জায়েদ খান প্রাপ্ত সম্মাননা স্মারকে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, "এটি একটি দুর্লভ সম্মান। আমি সত্যিই এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না। আমার এই অর্জন আমার দেশের জন্য।"