রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৪ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিয়ে না করেই মা হতে চান দক্ষিণী সিনেমার নায়িকা সামান্থা

ছবি সংগৃহিত

ভারতীয় দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা সামান্থা রুথ প্রভু। এই অভিনেত্রীর সঙ্গে আরেক অভিনেতা নাগ চৈতন্য জুটি বেঁধে কাজ করেছেন। কাজের সুবাদে দুজনের মাঝে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়। অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতেও বসেছিলেন তারা। কিন্তু তাদের সংসার টিকেনি বেশি দিন। ২০২১ সালে এ জুটির সংসার ভাঙার গুঞ্জন শোনা যায়। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সেই বছরের ২ অক্টোবর যৌথ এক বিবৃতিতে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন এই তারকা যুগল।

বিয়েবিচ্ছেদের পর সামান্থা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। এরই মাঝে মায়োসাইটিস নামে এক জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, এখনো সুস্থ নন। এদিকে গুঞ্জন উঠেছে বিয়ে না করেও মা হওয়ার পরিকল্পনা করেছেন সামান্থা।

টলিউড ডটনেট এক প্রতিবেদন জানিয়েছে, সামান্থার বর্তমান বয়স ৩৬ বছর। দ্রুত তার বিয়ে করা প্রয়োজন। কারণ সময় যত যাবে, সামান্থার মা হতে আরো জটিলতা বৃদ্ধি পাবে। এসব কারণে সামান্থার বাবা-মা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছেন। কিন্তু সামান্থার বিয়ে করার কোনো পরিকল্পনা নেই। বাকি জীবনটা একাই কাটাতে চান। আর এসময়টা অভিনয় এবং সামাজিক কল্যাণমূলক কাজ করে কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন। তবে মা হওয়ার ইচ্ছাপূরণ করবেন সন্তান দত্তক নিয়ে। তিনি দুটো সন্তান দত্তক নিতে চান।

প্রসঙ্গত, সামান্থা অভিনীত তেলুগু সিনেমা ‘কুশি’ মুক্তি পেয়েছে ১লা সেপ্টেম্বর। বিজয় দেবরাকোন্ডার বিপরীতে এ সিনেমায় ভালোই চমক দেখিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এ মুহূর্তে কুশির সাফল্য উদ্‌যাপন করছেন অভিনেত্রী। সিটাডেলের শুটিং শেষ করে ছয় মাসের বিরতির ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছিলেন আগামী ছয় মাস কোনো শুটিং করবেন না।

তেলেগু ভাষার ‘ইয়ে মায়া চেসাভ’ নামের সিনেমার সেটে প্রথম পরিচয় নাগা-সামান্থার। তারপরই প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তারা। এরপর লুকিয়ে দীর্ঘদিন প্রেম করেন এই জুটি। তাদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা-কল্পনাও কম হয়নি। সব কিছুর অবসান ঘটিয়ে ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার একটি রিসোর্টে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন আলোচিত নাগা ও সামান্থা।

 

Header Ad

আত্মসমর্পণের পর কারাগারে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান

আত্মসমর্পণের পর কারাগারে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় দণ্ডিত দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে এ মামলায় আত্মসমর্পণ করতে আদালতে আসেন তিনি। এসময় তার পক্ষে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন আইনজীবীরা।

শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে তাকে কারাগারে ডিভিশন দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এরপর বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে তাকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারের দিকে নেওয়া হয়। জানা গেছে, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ ৫ জনের পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন- জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুইয়া।

আসামিদের দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় (অপহরণ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও একমাসের কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া একই আইনে ১২০-খ ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।

২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে তুরস্ক থেকে দেশে ফেরেন মাহমুদুর রহমান। দেশে ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই আমলে আমার ৫ মাস কারাগারে থাকতে আপত্তি নেই। হ্যাঁ আমার বয়স হয়েছে, আমি বুড়ো হয়ে গেছি, কিন্তু জেলে থাকার মতো মানসিক এবং শারীরিক শক্তি এখনও আমার আছে। কাজেই আপনারা এটা নিয়ে একদম বিচলিত হবেন না। একদম উদ্বিগ্ন হবেন না। আইনকে তার রাস্তায় যেতে দিন। আমাকে আমার মতো করে লড়াই করতে দিন।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন গত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদি সরকারের বিরুদ্ধে আমি আমার মতো করে ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে লড়াই করে গেছি। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতো করে লড়াই করেছে, আর আমি লড়াই করেছি আমার মতো করে।’

প্রতি কেজি ইলিশ ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

প্রতি কেজি ইলিশ ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশের জনগণের জন্য প্রতি কেজি ইলিশ মাছের খুচরা বিক্রয় মূল্য সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা কেজি নির্ধারণ চেয়ে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রককে বিবাদী করা হয়েছে।

নোটিশে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ইলিশ মাছের পাইকারি ও খুচরা বাজার মনিটরিং করা, ইলিশ মাছ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচাররোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার বিষয়ে লিখিতভাবে ভারতকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া। এছাড়া ভবিষ্যতে যেকোনো দেশে ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে যেন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ মূলত বঙ্গোপসাগরের মাছ। মহান আল্লাহ প্রদত্ত এই ইলিশ মাছ বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের চেয়ে ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা অনেক বেশি বিস্তৃত। ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমায় প্রচুর ইলিশ মাছ উৎপাদন হয়। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন নদীতেও ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। এই ইলিশ মাছ সাগরের মাছ হলেও ডিম পাড়ার জন্য যখন ইলিশ পদ্মা নদীতে আসে, তখন ইলিশ মাছ পদ্মার বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে পরিপুষ্ট হয় এবং প্রাকৃতিকভাবে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে উঠে। মূলত পদ্মা নদীর ইলিশ মাছই স্বাদে ও গন্ধে উৎকৃষ্ট। ফলে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ যখন রান্না করা হয় তখন এর সুঘ্রাণ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু ইলিশ মাছ সাগরের মাছ তাই এই মাছ পুকুরে বা অন্য কোনো স্থানে চাষ করতে হয় না। ফলে ইলিশের কোনো ধরনের উৎপাদন খরচ নেই। এটি শতভাগ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছ। বাংলাদেশে রুই, কাতলাসহ যেসব মাছ চাষ করা হয় তা বাজারে কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ৫শ টাকাতে খুচরা বিক্রয় করা হয়। বাংলাদেশে ভারতীয় এজেন্টরা ও মাছ রপ্তানিকারকরা সারা বছর পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ মজুদ করে রাখে। বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করে এবং ক্ষেত্রবিশেষে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার করে। বাংলাদেশের পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি ও পাচার হওয়ার কারণে বাংলাদেশের জনগণ জাতীয় মাছ হওয়া সত্ত্বে বাজারে গিয়ে পদ্মা নদীর ইলিশ পায় না। ফলে বাংলাদেশের জনগণকে সামুদ্রিক ইলিশ খেতে হয়, যা পদ্মার ইলিশ মাছের মতো সুস্বাদু নয়।

বাংলাদেশে ইলিশ সুরক্ষায় তিন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা থাকে। এর মধ্যে অক্টোবরে ২২ দিন। এ সময় মা মাছের ডিম ছাড়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর বাচ্চা হলে তার সুরক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাস নিষেধাজ্ঞা থাকে। মাছের বাড়ানোর জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই আবার এক দফায় সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকে। অন্যদিকে ভারতে নিষেধাজ্ঞা থাকে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত। ১৫ জুন শুরু হয় তাদের মাছ ধরা। বাংলাদেশে ইলিশ মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার সুবিধা পাচ্ছেন ভারতের মৎস্যজীবীরা। এক মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে চলা নিষেধাজ্ঞার সময় ভারতে ব্যাপকভাবে ইলিশ মাছ ধরা হয়। এতে বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে বেশি ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা তাই অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এই বিষয় নিয়ে এখনো ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বাংলাদেশ। নোটিশ প্রাপকদের দায়িত্বে অবহেলার ফলে বাংলাদেশের জনগণ কম দামে বড় আকারের সুস্বাদু পদ্মার ইলিশ মাছ তথা জাতীয় মাছ খাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমগুলোতে জাতীয় মাছ ইলিশের দাম বাংলাদেশের জনগণের ক্রয়সীমার বাইরে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারিত হওয়ার পর ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার কারওয়ান বাজারে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে অভিযান পরিচালনা করে। সেই সময় হঠাৎ করেই অভিযান পরিচালনার স্থানে দাম কমে যায় ইলিশ মাছের। অথচ জাতীয় মাছ ইলিশ নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশ করে এক শ্রেণির মৎস্য ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে মনোপলি কর্মকাণ্ড করলেও নোটিশ প্রাপকরা প্রতি কেজি ইলিশের সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে বাংলাদেশের জনগণকে সুলভে জাতীয় মাছ ইলিশ খাওয়ানোর ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি।

নোটিশে আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার আরও বলেছেন, বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রতি কেজি ইলিশ ১০ মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ১৮০ টাকা দরে রপ্তানি শুরু হয়েছে। ভারতে যেই দামে ইলিশ মাছ রপ্তানি হচ্ছে, তার চেয়ে প্রতি কেজিতে কমপক্ষে ৯শ টাকা বেশি খরচ করতে হচ্ছে বাংলাদেশের ভোক্তাদের। ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগে তৈরি করা। এছাড়া বাংলাদেশের রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী, ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রপ্তানিযোগ্য কোনো পণ্য নয়। এই মাছ রপ্তানি করতে চাইলে যথাযথ শর্ত পূরণ করতে হবে। তাই ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশীয় বাজারদরের চেয়ে বেশি মূল্যে রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা উচিত ছিল। বাংলাদেশের জনগণ যেখানে প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ১৯০০-২৪০০ টাকায় খুচরা বাজারে কিনছে সেখানে ভারতে রপ্তানি মূল্য কীভাবে ১১৮০ টাকা হতে পারে? এর ফলে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই ক্ষেত্রেও নোটিশ প্রাপকরা চরম দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে রাষ্ট্র ও জনগণের ক্ষতিসাধন করেছেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

ফাইল ছবি

কমিটির গঠনের ২ মাসের মাথায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, শিগগিরই ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।

এর আগে, ৭ জুলাই জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরবকে আহ্বায়ক ও বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ফুটবলার আমিনুল হককে সদস্যসচিব করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করেন তারেক রহমান।

চলতি বছরের ৭ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক করা হয় সাইফুল ইসলাম নিরবকে। তিনি জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি ছিলেন। দলটির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হককে করা হয়েছিল সদস্য সচিব।

সর্বশেষ সংবাদ

আত্মসমর্পণের পর কারাগারে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান
প্রতি কেজি ইলিশ ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে ‘টাইগার রবি’কে, হতে পারেন নিষিদ্ধ
কুষ্টিয়ায় কোরআন পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে প্রাণ গেল ৩ স্কুলছাত্রীর
নেপালে ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধসে ১১২ জনের মৃত্যু
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ
দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
খুলনায় বিএনপির ৪ নেতাকে বহিষ্কার
শেখ হাসিনা ক্ষমতার লোভে সুস্পষ্ট গণহত্যা চালিয়েছে: মাসুদ সাঈদী
দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা
সব পর্যায়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে হবে: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
দর্শনা যৌথবাহিনীর হাতে ফেন্সিডিলসহ জামাই-শাশুড়ি আটক
পাকিস্তানকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নির্বাচিত সরকারই কেবল দেশে উন্নয়নের নতুন ধারা সৃষ্টি করতে পারে: তারেক রহমান
শেখ হাসিনার জন্মদিনে ঢাবি টিএসসিতে গণ জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি
গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনে পুলিশের বাধা, দৌড়ে পালালো ছাত্রলীগ
ভারতে মহানবী (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ মিছিল
ডেঙ্গুতে আরো ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৬০
কোনো অবস্থাতেই ডিম আমদানি করতে চাই না: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা