কানাডার নাগরিকত্ব ছাড়ছেন অক্ষয়
নব্বইয়ের দশকে পর পর ১৫টি ফ্লপ ছবিই নিজেকে কানাডার নাগরিকত্বের আবেদনের দিকে ঠেলে দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ভারতের অন্যতম সুপারস্টার অভিনেতা অক্ষয় কুমার। ভারতের অন্যতম সেরা পুরস্কার ‘পদ্মশ্রী’ জয় করা অক্ষয়কে প্রায়ই তার কানাডিয়ান নাগরিকত্বের জন্য সমালোচনা সইতে হয়। তবে ৩০ বছরের বেশি অভিনয় জীবনের এই তারকা নায়ক এবার জানিয়েছেন, মাতৃভূমি ভারত তাকে সবই দিয়েছে ও এর মধ্যেই তিনি তার পাসপোর্ট পরিত্যাগের জন্য আবেদন করেছেন।
সিধি বাত এর নতুন সেশনের প্রথম এপিসোডে তার সাক্ষাৎকারের সময় অক্ষয় বলেছেন, তার খারাপ লাগে যখন লোকেরা কেন তিনি কানাডার নাগরিকত্ব নিয়েছেন সেটির পেছনের কারণগুলো না জেনেই তার সম্পর্কে নানা কিছু বলে।
‘আমি যা কিছুই আয় করেছি ও যা কিছু লাভ করেছি এখান থেকেই। সৌভাগ্যবান যে ফিরিয়ে দেওয়ার একটি সুযোগ আমি লাভ করেছি। আপনারও খারাপ লাগবে যখন কোনোকিছুই না জেনে লোকেরা নানা কিছু বলবে।’
৫৫ বছরের বলিউডের এই তারকা অভিনেতা তার ‘হেরা ফেরি’, ‘নামাস্তে লন্ডন’, ‘টয়লেট : এক প্রেম কথা’ ও ‘পদ্মম’ নামের ছবিগুলোর জন্য অত্যন্ত বিখ্যাত।
অক্ষয় বলেন 'আমি মনে করেছিলাম ও ভেবেছি যে, আমার ছবিগুলো কোনোভাবেই আর কাজ করছে না ও এমন একজনকে কাজ করতেই হবে। আমি সেখানে কাজ করে খাওয়ার জন্যই গিয়েছিলাম, অভিনয় নয়। এর আগে আমার বন্ধু ছিল কানাডাতে, সে বলেছে, ‘এখানে চলে এসো।’ আমি আবেদন করেছিলাম ও পেয়েছি।'
‘তখন আমার কেবল দুটি ছবি রিলিজ হওয়া বাকি। তবে আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান এবং এছাড়া আর কোনো শব্দই ব্যবহার করব না। আমার এই শেষ দুটি ছবিই সুপারহিট করেছে। ফলে আমার বন্ধু বললো, ‘ফিরে যাও এবং আবার তোমার কাজ শুরু কর।’ আমি আমার বলিউডে ফিরে এলাম ও আরো অনেক বেশি ছবি পেতে শুরু করলাম। আরো কাজ করা আমি ধরে রেখেছি। কাজ ও হিট করতে, করতে ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমার এই পাসপোর্টটি আছে। ছবিগুলো দেখলেই বুঝবেন। আমার কখনো মনেও হয়নি, একজন ভারতীয় অভিনেতা হিসেবে এই পাসপোর্ট বদলাতে হবে কিন্তু এখন, হ্যাঁ, আমি আমার পাসপোর্টটির জন্য আবেদন করে ফেলেছি ও যখনই গ্রহণ করা হবে, আমি কানাডার পাসপোর্ট পরিত্যাগ করব।”
২০১৯ সালের এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচনগুলোর ঠিক আগে খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে অক্ষয় কুমারের সাক্ষাতের পর কানাডার নাগরিকত্ব নিয়ে তার ভক্ত ও অন্যদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়ে যায় ও তোপের মুখে পড়েন তিনি।
ওএফএস/এএস