অদিতি রাওকে নিয়ে আসছেন ধর্মেন্দ্র ও নাসিরউদ্দিন শাহ
সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটপর্ম ‘জি ৫’র নতুন সিরিজ-‘তাজ: ডিভাইডেড বাই ব্লাড’। এতে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন বলিউডের কিংবদন্তী দুই অভিনেতা ধর্মেন্দ্র ও নাসিরউদ্দিন শাহ।
১০ পর্বের এই সিরিজটির মুক্তি পাবে ৩ মার্চ। এটির প্রযোজক কন্টিলো ডিজিটাল। একটি বিশেষ সময়কালের কাহিনী উঠে আসবে সিরিজটিতে।
এই গল্পে ধর্মেন্দ্র অভিনয় করছেন শেখ সেলিম চিশতির ভূমিকায়। মোঘল সম্রাটদের আমলে চিশতি সুফি ধর্মতত্বের একজন বিখ্যাত সাধক। তার কাছে মোঘল সম্রাট আকবর তার সিংহাসনের উত্তরাধিকার হিসেবে একটি ছেলে চেয়েছিলেন। তিনি দোয়া করেছেন দ্রুতই আকবরের তিনটি ছেলে হয়েছে। চিশতিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আকবর তার বড় ছেলের নাম রেখেছেন সেলিম (সম্রাট জাহাঙ্গীর)। আকবরের আমলে তার বড় ধরনের প্রভাব ছিল।
এই রাজত্বের নাটকীয় উত্থান এবং পতন, রাজপ্রজন্মগুলোর অনুসরণেও বাক্সবন্দী করেছে এই মহান রাজবংশের বিশেষ সময়কালের সৌন্দর্য্য ও হিংস্রতোকে। আরও এসেছে শিল্পকলার নানা দিকের প্রতি তাদের প্রবল অনুরাগ, তাদের অনন্য স্থাপত্যশৈলী এবং একই সঙ্গে নিজেদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি রক্ত ঝরানোর ইতিহাস। এর সবই তাদের ক্ষমতার অনুসন্ধান ও নাটকীয়তায়।
‘তাজ : ডিভাইডেড বাই ব্লাড’ সিরিজে আনারকলি চরিত্রে ‘অদিতি রাও হায়দারি’। যুবরাজ সেলিম ও সম্রাট জাহাঙ্গীর চরিত্রে ‘অসীম গুলাতি’, যুবরাজ মুরাদের (আকবর বাদশাহর ছেলে) চরিত্রে ‘তাহা’, প্রিন্স দানিয়েলের চরিত্রে ‘সুভ্যাম কুমার’, রানি যোধা বাঈয়ের চরিত্রে ‘সন্ধ্যায়া মৃদুল’, মেহের উন নিসা চরিত্রে ‘সুরেশ্বেনী মিত্রা’ এবং মীর্জা হাকিম করেছেন ‘রাহুল বোস’।
এটি পরিচালনা করেছেন রোনাল্ড স্কেলপেলো। এ সম্পর্কে নাসিরউদ্দিন শাহ বলেছেন, ‘এটি হলো একটি গল্প যুদ্ধ, ক্ষমতা ও উত্তরাধিকারের; যেগুলো মোঘল রাজত্বকালের পেছনে রয়েছে। অনেকে যখন মোঘল ইতিহাস পুনর্নির্মাণ করেছেন, তখন ‘তাজ-ডিভাইডেড বাই ব্লাড’ নেওয়া হয়েছে অনাবিষ্কৃত একটি কাহিনী থেকে। তাদের মানচিত্রে নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত একটি সময়কাল থেকে। নতুন ও পুরোনো দর্শকদের উপযোগী করে বানানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সিরিজকে জীবনে নিয়ে এসেছেন পুরো বিশ্বের নানা জায়গার মেধাবী একটি দল। আমি যতটুকু দেখেছি, আপনাদের বলতে পারি যে, এই বছরের অন্যতম সর্বস্থানে দারুণ সিরিজ হতে যাচ্ছে।’
অদিতি রাও হায়দারি বলেছেন, তিনি সবসময় ইতিহাসের গল্প বলা সিরিজগুলো উপভোগ করেছেন, যেগুলোর অনেকগুলোই পাঠ্যবইগুলোর বাইরের।
এরপর জানিয়েছেন, যখন আমাকে ‘আনারকলি’ করতে ডাকা হলো, আমি যতটা উত্তেজনা বোধ করেছি, তার চেয়ে অনেক বেশি ভয় পেয়েছি। কেননা আনারকলি হলো মোঘল ইতিহাসের একটি প্রতিমার মতো চরিত্র, তার সৌন্দর্য্য ও লাবণ্যকে বিবেচনা করা হতো কারও সঙ্গেই তুলনীয় নয়, অত্যন্ত অকর্ষণীয় এই নারী যে কারও কল্পনাতীত। আমি প্রথমে আতঙ্কিত হয়ে গিয়েছিলাম এবং ভয় পেয়েছিলাম।
‘মোঘল-ই-আজম’ ছবিতে কত মনোমুগ্ধভাবে ‘মধুবালা’ আনারকলি হয়েছেন।’ ভারতীয় ইতিহাসের একজন উৎসুক অনুসরণকারী হিসেবে পরিচালক রোনাল্ড স্কেলপেলো নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন, পরম আনন্দে ভারতের ইতিহাসের এই বিশেষ অংশের অংশ হয়েছেন।
ওএফএস/