নওগাঁ ও ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে
সরকার নওগাঁ ও ঠাকুরগাঁওয়ে দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছে। ‘বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নওগাঁ’ এবং ‘ঠাকুরগাঁও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে দুটি পৃথক আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে আইন এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
এ নিয়ে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যা হলো ৫২টি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা হচ্ছে ১০৮টি।
এ ছাড়াও মন্ত্রিসভা বিমসটেক সনদ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে। একই সঙ্গে ‘আইএলও কনভেনশন-১৩৮’ অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন এবং রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এর খসড়াও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি মন্ত্রিসভা বৈঠকে যোগ দেন। অপরপ্রান্তে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনে মন্ত্রিসভা কক্ষ থেকে যোগ দেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিং-এ মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নতুন দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন আগের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আইনের মতই।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ আইন ২০২২’ এ ৫৬ড ধারা আছে। এখানে রাষ্ট্রপতি চার বছরের জন্য উপাচার্য নিয়োগ দেবেন। একইভাবে দুজন উপ-উপাচার্য ও একজন ট্রেজারার। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিধ্যালয়ের মতই এখানেও রেজিস্ট্রার অফিস থাকবে। তারা রেজিস্ট্রেশনের কাজ করবে। ৩৮ ও ৩৯ ধারা অনুযায়ি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বা শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিধি, প্রোবিধি করবে। এই বিধি-প্রোবিধি দিয়ে সবকিছু পরিচালিত হবে।
তিনি বলেন, একইভাবে ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০২২ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ঠাকরগাঁও সফরকালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ওই এলাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, দেশে এ নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যা হলো ৫২টি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা হচ্ছে ১০৮টি।
বিমসটেক সনদ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগামী ৩০ মার্চ কলম্বোয় পঞ্চম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই এই সনদ সই করতে হবে। এই সনদে ১১টি অধ্যায় ও ৩৬টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। বাংলাদেশ বিমসটেক এর সেক্রেটারিয়েট সহায়তা দেবে এবং সেক্রেটারিয়েট হবে ঢাকাতে। এ জন্য বিমসটেক সনদটা অনুমোদন দেওয়া প্রয়োজন ছিল। আইন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খসড়াটি দেখে দিয়েছে।
তিনি বলেন, বিমসটেক সনদ স্বাক্ষরের ফলে বিমসটেক এ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে একটা মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গঠন করা সম্ভব হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থারও একটা বড় উন্নয়ন সাধন হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মন্ত্রিসভা আইএলও কনভেনশন-১৩৮ এ স্বক্ষর করেছে। এটা অত্যন্ত গুরুত্ত্ববহন করে। এই কনভেনশনের গুরুত্ত্বপূর্ণ দিক হল, যেহেতু বেসিক শিক্ষা গ্রহণ করতে ১৫ বছর লাগে। সুতরাং ১৫ বছরের আগে কোন বাচ্চাকে কাজে লাগানো যাবে না। কোন দেশে যদি আর্থ সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে বা অন্যান্য প্রয়োজনে যদি কোন দেশ এই বয়সসীমা কমাতে চায় তাহলে এটি ১৪ বছর পর্যন্ত কমাতে পারবে।
তিনি বলেন, ১৪ বা ১৫ যাই হোক এসব শিশুদেও কোন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে লাগানো যাবে না। অর্থাৎ যেসব কাজে দুর্ঘটনা ঘটে বা জীবনহানি হয় সেসব কাজে কোনভাবেই শিশুদের নেওয়া যাবে না। এবং এই যে ১৪ বছর বয়সে তাকে কাজে লাগানো হল সেটাকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না, অর্থাৎ সে সাবালক হয়েছে, বিয়ের বয়স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। এটা যদি করা হয় তাহলে শিশু অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হবে।
এনএইচবি/এমএমএ/