গ্রামীণ ট্রাস্টের মালিকানায় আসছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়
ছবি: সংগৃহীত
নতুন আরও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালু হতে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির মালিকানায় থাকছে গ্রামীণ ট্রাস্ট। রাজধানীর উত্তরায় বেসরকারি গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাস হবে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে। সম্প্রতি ইউজিসির প্রতিনিধিদল ক্যাম্পাসটি পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে প্রতিনিধিদল বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা ঘুরে দেখেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
ইউজিসি সূত্র জানায়, পরিদর্শন করার পর ইউজিসি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদন দেওয়া সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর সেখান থেকে নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদন দেওয়া হবে।
ইউজিসির নীতিমালা অনুযায়ী, বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় কমপক্ষে এক একর এবং অন্যান্য এলাকায় দুই একর জমি থাকার বিধান রয়েছে। তবে রাজধানীর উত্তরা-উত্তর এলাকায় অবস্থিত অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২৫ একর জমি রয়েছে।
জানতে চাইলে ইউজিসির পরিদর্শন টিমের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, সম্প্রতি আমরা গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেছি। প্রতিনিধিদল এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শনে গিয়ে খুবই ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে।
তিনি বলেন, সাধারণত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য ঢাকা শহরে এক একর জায়গার প্রয়োজন হয়, সেখানে এ বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৫ একর মতো জায়গা রয়েছে। এখন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদনের বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেখবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইউজিসিতে জমা দেওয়া আবেদনপত্রে প্রস্তাবিত গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য হিসেবে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন আশরাফুল হাসান। আবেদনপত্রে প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্টের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
ট্রাস্টি বোর্ডে অন্যদের মধ্যে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ছোট ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহিম, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ।
বর্তমানে দেশে ইউজিসির অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১১৫টি। এরমধ্যে ১০৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বাকি ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানান জটিলতায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ। এসব বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে সতর্কতা দিয়েছে ইউজিসি।