তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গত কয়েক দিন সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সময়সূচিতে পাঠদান চলছিল। গরম কমে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় বিদ্যালয়ও ফিরেছে স্বাভাবিক সময়সূচিতে।
মঙ্গলবার থেকে শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী আগের সময়সূচিতে পুরোদমে চালু হয়েছে ক্লাস।
সোমবার বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারে শ্রেণি কার্যক্রমসহ সব কার্যক্রম ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে।
প্রায় দুই কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় চট্টগ্রামে অবস্থিত রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান কার্যালয় সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিংয়ে (সিআরবি) বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে প্রায় ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল গুরুত্বপূর্ণ এই অফিসটি।
রোববার (১৯ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে দ্রুত বিল পরিশোধের আশ্বাসে ফের সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ দক্ষিণাঞ্চল জানায়, দীর্ঘদিন ধরে রেল পূর্বাঞ্চল অফিস ২ কোটি টাকার বেশি বিল পরিশোধ করছে না। বারবার এ বিষয়ে বলা হলেও, তারা টাকার সংকটের অজুহাত দিয়ে বিল পরিশোধ করেনি। এ জন্য রোববার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের প্রকৌশলীরা গিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লাইন কেটে দেন। শিগগিরই বিল পরিশোধের নিশ্চয়তা পাওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুনঃসংযোগ দেওয়া হয়।
বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, শুধু আমাদের ইউনিট রেলওয়ে থেকে এক কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাবে। আমরা এ বিষয়ে বারবার চিঠি দিলেও, তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সে জন্য লাইন কেটে দেওয়া হয়। পরে বিল পরিশোধের নিশ্চয়তা দেওয়ার পর আবার সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রেল পূর্বাঞ্চলের প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ বিলের বাজেট আমরা পাইনি, সে জন্য বিল পরিশোধ করতে পারিনি। সামনের বাজেটে বিল পরিশোধ করব আমরা।
রাজধানীতে অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনে ফের রাস্তায় নেমে অবরোধ করেছেন চালকরা। সোমবার (২০ মে) সকাল পৌনে ১০টার দিকে রামপুরা বেটার লাইফ হাসপাতালের সামনে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দ্বিতীয় দিনের মতো অটোরিকশা চালানোর দাবিতে রাস্তায় নামেন চালকরা। এখন পর্যন্ত তারা সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে, রবিবার রাজধানীর মিরপুর-১০ ও কালশীতে দিনভর সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে অটোরিকশাচালকরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়াও হয়।
এদিকে, গত ১৫ মে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ঢাকায় কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো যাবে না। এ বিষয়ে শুধু নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়, এগুলো চলতে যাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
কাদের আরও বলেন, ঢাকা শহরে যে ধরনের লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি চলে, তা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে দেখা যায় না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শহরে আধুনিক গণপরিবহণ চলাচল করে। কিন্তু ঢাকায় লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি চলে। এগুলো দেখতেও তো খারাপ লাগে। এর চেয়ে ঢাকার বাইরে মফস্সল এলাকাগুলোয় উন্নতমানের গণপরিবহন চলে।
ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ।
নিখোঁজ সংসদ সদস্যের ভারতীয় নম্বরের লোকেশন বিহারের মুজাফফরাবাদের দিকে শনাক্ত করা গেছে। প্রতিনিয়ত ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ডিবি পুলিশ। ভারতীয় পুলিশ যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।
রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ।
তিনি বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ১২ মে দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে কলকাতা যান। কলকাতায় তার পরিচিত গোপাল নামে একজনের বাসায় ওঠেন। পরদিন সকালে নাস্তা করে ওই বাসা থেকে বেরিয়ে যান। সেদিন সন্ধ্যায় কলকাতায় গোপালের বাসায় যাওয়ার কথা থাকলেও সেখানে আর যাননি তিনি।
তখন থেকেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার এপিএস ও মেয়ে মোবাইলে যোগাযোগের করে ব্যর্থ হন। সংসদ সদস্যের মোবাইল থেকে হোয়াটসঅ্যাপে যে মেসেজগুলো এসেছে, ‘তিনি দিল্লীতে আছেন, ওমুক-তমুকের সঙ্গে দেখা হবে।’ কিন্তু এই মেসেজগুলো আনারের পরিবার বিশ্বাস করছে না।
হারুন-অর-রশীদ বলেন, আমি বিষয়টি দুইদিন আগেই জানতে পারি। ভারতীয় একজন ভদ্রলোক সংসদ সদস্যেরও পরিচিত তিনি আমাকে টেলিফোন করে সংসদ সদস্যকে খুঁজে না পাওয়ার বিষয়টি জানান। বিষয়টি জানার পর, ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা এসটিএফের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ভারতীয় থানা পুলিশসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।
ডিবি প্রধান বলেন, সংসদ সদস্যের একটি বাংলাদেশি ও আরেকটি ভারতীয় নম্বর ছিল। ১৬ মে সকাল ৭টার দিকে সংসদ সদস্যের নম্বর থেকে দুটি ফোন আসে। একটি আসে সংসদ সদস্যের এপিএসের নম্বরে, আরেকটি ফোনকল আসে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর নম্বরে। কিন্তু তখন দুজনের কেউই টেলিফোন ধরতে পারেনি।
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে এসেছে আমাদের কাছে। এমপির নম্বরটি মাঝেমধ্যে খুলছে, আবার বন্ধ হচ্ছে। কারা কাজটি করছেন। তিনি কোনো ব্ল্যাক মেইলের শিকার হয়েছেন কি-না সবকিছুই গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ভারতীয় পুলিশ যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।