ডিগ্রির শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তি প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
ডিগ্রি কলেজের পাস কোর্সের প্রভাষক ও কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আবেদনের সুযোগ দেওয়া এবং এমপিও দেওয়ার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (৫ ডিসেম্বর) এই রুল জারি করেন। ২৯১ জন প্রভাষক ও কর্মচারীর দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে এই রুল দেন আদালত। রুলে স্নাতক (পাস) কলেজ এমপিওভুক্তির জন্য ন্যূনতম ২টি বিভাগ থাকতে হবে, এমন শর্ত আরোপ করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
শিক্ষাসচিব (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
মামলাসূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১, পরিশিষ্ট খ. এর পাদটিকায় ‘স্নাতক (পাস) কলেজ এমপিওভুক্তির জন্য ন্যূনতম ২টি বিভাগ থাকতে হবে’- এমন শর্ত উল্লেখ আছে।
ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিগ্রি কলেজের (পাস) কোর্সে কর্মরত প্রভাষক ও কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আবেদনের ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ প্রণয়ন করে। ওই নীতিমালার পরিশিষ্ট খ এর পাদটিকা অনুসারে স্নাতক (পাস) কলেজ এমপিওভুক্তির জন্য ন্যূনতম ২টি বিভাগ চলমান থাকতে হবে। যেহেতু রিটকারীদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি বিভাগ চালু রয়েছে তাই তারা দীর্ঘদিন কর্মরত থাকার পরও এমপিওভুক্তির আবেদন করতে পারেননি।
আইনজীবী বলেন, এমপিওভুক্তির আবেদন করা রিটকারীদের আইনগত অধিকার। কিন্তু উপরোক্ত শর্তের কারণে তারা ওই অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যা মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, আগের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৩ ও ২০১৮ তে এই নিষেধাজ্ঞা ছিল না। ফলে ডিগ্রি কলেজের পাস কোর্সে কর্মরত (রিটকারীদের মতো) প্রভাষক ও কর্মচারীরা এমপিও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে সব সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছেন। কিন্তু রিটকারীদের এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাই বিভিন্ন জেলার ২৯১ জন শিক্ষক এই রিট করেন।
এমএ/এমএমএ/