যাদের পরীক্ষা খারাপ হয়েছে, তারাই আন্দোলন করছে: সচিব
ছবি: সংগৃহীত
গত ৮ ডিসেম্বর রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ১২৯ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরীক্ষার শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রশ্নপত্র বাইরে চলে যায় বলেও অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।
ব্যাপক অনিয়ম-জালিয়াতি এবং হরতাল-অবরোধের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ায় ১ লাখ ৫৮ হাজার প্রার্থী অনুপস্থিত দাবি করে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন কিছু প্রার্থী। তারা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত আবেদন এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি করেছেন। পাশাপাশি হাইকোর্টে রিট আবেদনও করেছেন।
তবে তাদের দাবি অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রথম ধাপের পরীক্ষায় প্রার্থী ছিল সাড়ে তিন লাখের বেশি। স্বাভাবিকভাবেই সবার পরীক্ষা ভালো হয়নি। যারা পরীক্ষা ভালো দিতে পারেননি, তারাই বাতিলের দাবি করছেন। এনিয়ে আমাদের কোনো কিছু বলার নেই। শুধু বলবো-এটার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
জালিয়াতি ও অনিয়ম প্রসঙ্গে করা প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘একটা নিয়োগ পরীক্ষা স্বচ্ছ করতে যে যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার ছিল, তার সবই আমরা নিয়েছি। কেউ খারাপ বা অনিয়ম করার চেষ্টা করতে পারে। চেষ্টা যারা করেছেন, তারা ধরা পড়েছেন। তাদের আইনের আওতায় আনছি আমরা।’
পরীক্ষায় ব্যাপক অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘তারা যে সংখ্যাটা বলে বেড়াচ্ছে, সেটা সঠিক নয়। হরতাল-অবরোধ যদি সারাবছর রাজনৈতিক দলগুলো ডেকে বসে থাকে, তাহলে কি পরীক্ষা হবে না? আমরা পরীক্ষা নিয়েছি শুক্রবার। ওইদিন তো কোনো হরতাল-অবরোধও ছিল না।’