শাবিপ্রবিতে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর মশাল মিছিল
অনশন গড়িয়েছে দুই দিনে। এরই মধ্যে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সাত শিক্ষার্থী। তবু আদায় হয়নি দাবি। এমন অবস্থায় মশাল মিছিল করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মিছিলে অংশ নেন সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাত ১২ টায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে মশাল মিছিল শুরু করেন তারা।
এ সময় শত শত শিক্ষার্থী মিছিলে অংশ নেন। মিছিলে ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জালো’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডায়রেক্ট একশন’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে শুরু হওয়া মশাল মিছিলটি চেতনা একাত্তর প্রদক্ষিণ করে ফের উপাচার্যর বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শুরু হয় অনশন। এ অনশন দুই দিন পার হয়েছে। এর মধ্যে কোনো সমাধান আসেনি।
তবে বুধবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল তিন দফায় অনশনস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের বুঝানোর চেষ্টা করেন।
দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে শিক্ষকরা অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করেন, ‘হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে একটি আন্দোলন হচ্ছিল; কিন্তু সেখানে কী এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল যে, আমাদের উপর গুলি চালাতে হলো?’
তারা আরও বলেন, ‘আপনাদের উপস্থিতিতেই পুলিশ আমাদের উপর হামলা চালায়। চাইলে এর আগেই আপনারা আলোচনা করতে পারতেন। কিন্তু ছোট একটি ঘটনাকে আপনারা বড় করলেন। যে কারণে আজ আমরা ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি। সুতরাং আলোচনার সময় এখন আর নেই। সহমর্মিতাও আমরা চাই না। আগে সংহতি জানান। তারপর কীভাবে উপাচার্যকে হটানো যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হবে।’
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তৃতীয় বারের মতো সমঝোতায় ব্যর্থ হয়ে ফেরার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই, একটি আইনগত জায়গায় আসতে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না। আমরা শিক্ষার্থীদের এটা বুঝানোর চেষ্টা করছি।’
শিক্ষার্থীরা আলোচনায় আসতে চাইছে না। তারা সিদ্ধান্তে অনড়, এখন কী করবেন–এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আশা করছি, শিক্ষার্থীরা আমাদের কথা মানবে।’
এর আগে রোববার (১৬ জানুয়ারি) রাতে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিবর্ষণ, লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রানেড নিক্ষেপের পর শুরু হয় উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলন।
এসএ/