শিক্ষকদের সহমর্মিতা নয়, সংহতি চান শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

'সহমর্মিতা চাই না। আসুন, সংহতি জানান। তার পর আমরা বসে আলোচনা করবো কীভাবে উপাচার্যকে সরানো যায়।' শিক্ষকদের এমন আহ্বান জানালেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দলোনরত শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) আমরণ অনশনের ঠিক ২৪ ঘন্টার মাথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে শিক্ষকরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এলে শিক্ষার্থীরা এ আহ্বান জানান।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে একটি আন্দোলন হচ্ছিল। কিন্তু সেখানে কি এমন পরিস্থিতি ছিল যে আমাদের উপর গুলি চালাতে হলো? আপনাদের উপস্থিতিতে তখন পুলিশ আমাদের উপর হামলা করে। কিন্তু চাইলে এর আগে আপনারা আলোচনা করতে পারতেন। ছোট একটা ঘটনা আপনারা বড় করলেন। যে কারণে আজ আমরা ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি। সুতরাং আলোচনার সময় এখন আর নাই। সহমর্মিতাও আমরা চাই না। সংহতি জানান স্যার। তারপর আলোচনা হবে কীভাবে উপাচার্যকে হঠানো যায়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা কোষাধ্যক্ষের কাছে জানতে চান উপাচার্যের নির্দেশে পুলিশ গুলি চালিয়েছে এটা স্বীকার করেন কি-না।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তৃতীয়বারের মতো সমঝোতায় ব্যর্থ হয়ে ফেরার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই একটি আইনগত জায়গায় আসতে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না। আমরা শিক্ষার্থীদের এটা বুঝানোর চেষ্টা করছি।’
শিক্ষার্থীরা আলোচনায় আসতে চাইছে না। তারা সিদ্ধান্তে অনড়, তাহলে কি করবেন-এমন প্রশ্নে অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আশা করছি শিক্ষার্থীরা আমাদের কথা মানবেন।’
অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন চার শিক্ষার্থী। এর মধ্যে কাজল দাস নামের এক শিক্ষার্থীকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হিয়েছে। এছাড়া অসুস্থ হয়ে অনশনস্থলেই চিকিতাৎসাধীন অবস্থায় আছেন জান্নাতুল নাইম নিশাত, জান্নাতুল ফাহমিদা, হামিদা আক্তার।
এর আগে বুধবার বিকাল ৩টায় উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। অনশনে অংশ নেন ২৪ জন শিক্ষার্থী। এ অনশন এখন ২৪ ঘণ্টায় গড়ায়। এর আগে গত রবিবার রাতে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধারকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিবর্ষণ, লাঠিচার্জ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের পর শুরু হয় উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলন।
এসইউ/এএন
