আমরণ অনশনে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
তদন্ত কমিটি চান না আন্দোলনকারীরা
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১ ঘণ্টা ধরে চলছে টানা অনশন। উপাচার্যের অপসারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আচার্য কর্তৃক কোনো তদন্ত কমিটি চান না তারা।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় প্রেস বিফ্রিং করে এমনটিই জানান আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে নাফিসা আঞ্জুম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, 'সেদিনের ঘটনাটি উপাচার্যের মদদেই ঘটেছে। পুলিশ হামলা করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই এসেছে। এর পরে আন্দোলনকারীদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, গুলি ছোঁড়ে।'
উপাচার্যের অপসারণের পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাষ্ট্রপতি কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করুক সেটা তার চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নাফিসা বলেন, 'আমাদের কাছে স্পষ্ট যে, ভিসির মদদেই পুলিশ আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমরা তাই ভিসির অপসারণ চাই। অপসারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা রাষ্ট্রপতি কোনো কমিটি গঠন করুক তা আমরা চাই না।'
এদিকে উপাচার্যের স্বেচ্ছায় পদত্যাগের জন্য দেওয়া আল্টিমেটাম শেষে গতকাল বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ৩টায় আমরণ অনশনে বসেন ২৪ জন শিক্ষার্থী।
২১ ঘণ্টা ধরে চালিয়ে যাওয়া অনশনে একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে বমি করেন এবং কয়েকজনকে ডাক্তারের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে দেখা গেছে।
এর আগে গতকাল বুধবার রাতে আমরণ অনশনে বসা ২৪ জন শিক্ষার্থীসহ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে এসে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা করে ব্যর্থ হন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, সেন্টার অব এক্সিলেন্সের পরিচালক, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও ডিনবৃন্দসহ শতাধিক শিক্ষক।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় ব্যর্থ হয়ে ফেরার পথে কোষাধ্যক্ষ বলেন, ‘কার নির্দেশে পুলিশ এ কাজটি করল তা তদন্ত করে বের করতে হবে। এ কাজটি ভিসির, ট্রেজারার, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক বা প্রক্টর যার নির্দেশে ঘটেছে তাকেই তার দায় নিতে হবে। ভিসির নির্দেশে হয়ে থাকলে আমরা ভিসির পদত্যাগের আন্দোলনে তাদের সঙ্গে একমত পোষণ করব।’
এসইউ/টিটি/