শিক্ষার্থী অপহরণ সামান্য ঘটনা: বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টর
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনাকে সামান্য ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান।
এ ঘটনায় হাসপাতালে প্রক্টরসহ প্রশাসনিক কারো উপস্থিতি না থাকার ব্যাপারে জানতে প্রক্টরকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করে এসেছি। তুমি কি রাত ১১ টায় আমাকে কল দিতে পারো? এ সময় তিনি তুমি আর কখনও সন্ধ্যার পর কল দিবে না’ বলে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শেখ শাকিল নামে এক শিক্ষার্থীকে টিউশনি প্রদানের আশ্বাস দিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার মল্লিকের মাঠ নামক এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থীকে মারধরসহ বিভিন্ন রকমের মানসিক চাপ দিয়ে বাড়িতে যোগাযোগ করতে বাধ্য করা হয়। এমনকি অপহরণকারীরা তার মা-বাবাকে বলে, ‘তোর একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে হলে ৩০,০০০ টাকা দিতে হবে। অন্যথায় তাকে হত্যা করা হবে। তার পারিবারিক অবস্থা খারাপ বলে তার খালাতো ভাই বিকাশের মাধ্যমে দুই ধাপে টাকা পাঠালে তাকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে এক অটোযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে পৌঁছালে শিক্ষার্থীদের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স ড্রারাইভারকে কল দিলে তিনি শহরে অবস্থান করছেন বলে জানান।
অ্যাম্বুলেন্স সময় মতো পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আহসান ইমন বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্স সময়মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পায় না। এটি নতুন কিছু নয়। ইতোপূর্বে ওই বিভাগের এক শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলেও এম্বুলেন্স সময়মতো পায়নি। শুধু এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে নয়, যে কোনো বিভাগের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হলেও অ্যাম্বুলেন্স পায় না বলে অভিযোগ আছে।’
পরবর্তীতে প্রশাসনিক চাপের কারণে রাত ১২টা ৩০ মিনিটে প্রক্টরের একটি দল গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে আহত শিক্ষার্থীর সঙ্গে দেখা করে তার চিকিৎসা খরচ এবং অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন ৷
/এএন