প্রাথমিকে বৃত্তি পেয়েছে ৮২ হাজার ৩৮৩ শিক্ষার্থী

প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় সারা দেশের ৮২ হাজার ৩৮৩ শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে ৩৩ হাজার। যা আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে ছিল ২২ হাজার। আর এবার সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে সাড়ে ৪৯ হাজার ৩৮৩ শিক্ষার্থী। ২০১৯ সালে পেয়েছিল ৩৩ হাজার।
ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ গ্রেডে ২২৫ টাকা করে বৃত্তি পাবে। এ ছাড়া উভয় গ্রেডের শিক্ষাথী বই কেনার জন্য এককালীন ২২৫ টাকা পাবেন।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফল ঘোষণা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ও এবং মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এবং স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে জানা যাবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, এবারের বৃত্তি পরীক্ষায় ৫ লাখ ৩৯২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ৪ লাখ ৮২ হাজার ১০৪ জন শিক্ষার্থী।
২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিড-১৯ পরস্থিতিরি কারণে প্রাথমকি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ায় প্রাথমিক বৃত্তি প্রদান করা সম্ভব হয়নি। ২৮ নভম্বের ২০২২ তারিখে প্রাথমিক ও গণশক্ষিা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠতি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ২০২২ সাল থেকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ওই সিদ্ধান্তের আলোকে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে একযোগে ২০২২ সালে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়ে ২০২২ সালে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
২০২২ সালে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত সংশোধিত নীতিমালা (২০১৬) অনুসরণে অনুষ্ঠিত হয় এবং বৃত্তি বণ্টন প্রক্রিয়াতেও উক্ত নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।
২০২২ সালে বাংলা, প্রাথমিক গণিত, ইংরেজি ও প্রাথমিক বিজ্ঞান এ চারটি বিষয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এনএইচবি/
