রাসেলের জন্য গাছ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
আজ চিরকালের মতো হারিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের মহানায়ক ও রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবের ছোট্ট ছেলে রাসেলের ৫৯। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ভাইবোনরা সবাই চিরকালের জন্য মারা যান বুলেটে। এই দিনে তাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন স্মৃতির ভুবনে রাসেল।
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্বিবিদ্যালয় মঙ্গলবার আজ ১৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে নয়টায় তার নামে প্রতিষ্ঠিত বোনের হল ‘শেখ রাসেল হল’র সামনে তাঁর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।
এসময় তার সাথে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ. এম. আলী হাসান, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন, প্রভোস্ট কাউন্সিল সভাপতি অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন। সব হল প্রভোস্ট, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শাপলা ফোরাম ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা। তারা তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
রাসেলের জন্মদিনের কেক কেটেছেন উপাচার্য। তারা সবাই ছিলেন।
শেখ রাসেল হলের টিভি রুমে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা হয়েছে। আলোচনা সভায় বক্তারা শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধু, তার কীর্তি এবং ১৯৭১ নিয়ে আলোচনা করেছেন। ১৯৭৫ নিয়ে তাদের বিস্তর আলোচনা হয়েছে।
শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে বিতর্ক ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা হয়েছে।
‘শেখ রাসেল স্মৃতি বিতর্ক প্রতিযোগিতা’য় চ্যাম্পিয়ন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, রানার-আপ খালেদা জিয়া হল।
কৃতি বিতার্কিকদের হাতে ট্রফি তুলে দেন উপাচার্য । অন্য সবাইকে সার্টিফিকেট।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং আশপাশের বিদ্যালয়গুলোর ছাত্র, ছাত্রীদের নিয়ে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন তিনি। বাকিদের সার্টিফিকেট।
সকালে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা, কর্মীরা দিনটি উপলক্ষে হলগুলো থেকে র্যালি করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়েছে। তারাও জন্মদিন পালন করেছেন। তারা শেখ রাসেল বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালন করেছেন।
দিবসের অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আরফিন, অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. সাজ্জাদ হোসেন, শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত, সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়, সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনিসহ সাধারণ ছেলেমেয়েরা।
ওএফএস।
