কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের ২০ বছরপূর্তি উৎসব
বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হলো কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘ঘরে ফেরার আনন্দ উৎসব’। আয়োজন করা হয় দুই দিনের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা। শেষ দিন রবিবার (২ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয় শিক্ষক-অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী উৎসব।
কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের হিকমান ক্যাম্পাসে সকালে আয়োজিত সংবর্ধনা ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরেণ্য কথাসাহিত্যিক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের ছাত্রদের শিক্ষা ও ক্রীড়ায় সাফল্যের কথা আগেই শুনেছি। আজ তাদের সরাসরি দেখে সত্যি আনন্দে ও গর্বে বুক ভরে গেল। আমাদের দেশ পারবে, এগিয়ে যাবে; তোমাদের দেখলে তা আরো একবার বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয়।’ দেশের দূরতম একটি অঞ্চলে জ্ঞান ও ধ্যানের এমন একটি স্কুল গড়ে তোলার জন্যে তিনি কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শহীদ আল বোখারী মহাজাতককে ধন্যবাদ জানান।
দুই দিনের আয়োজনের মধ্যে ছিল কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের শিক্ষা ও ক্রীড়ায় সাফল্যের মেডেল ও স্মারক নিয়ে সংগ্রহশালায় ‘হল অব গ্রাটিচ্যুড’ প্রদর্শনী, শোভাযাত্রা, ডিসপ্লে, স্মৃতিচারণ, সম্মাননা-সংবর্ধনা ও উপহার বিতরণী অনুষ্ঠান।
কোয়ান্টামের লামা সেন্টারেও মেলা আয়োজন করা হয়।
উৎসবের প্রথম দিন শনিবার সন্ধ্যার পর নবনির্মিত ‘কোয়ান্টা মঞ্চে’ সংগীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী এস আই টুটুল ও তার ব্যান্ড দল ধ্রুবতারা। সহস্রাধিক অতিথিকে ব্যান্ড সঙ্গীতের সুরমূর্চ্ছনায় মাতিয়ে তুলে এই ব্যান্ড দল।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে এই স্কুলটি যাত্রা শুরু করে মাত্র সাত জন শিক্ষার্থী নিয়ে। তখন প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল কোয়ান্টাম শিশুকানন। ২০ বছরের পরিক্রমায় শিশুকানন এখন কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ। বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় আড়াই সহস্রাধিক।
এপি/