শতভাগ সাক্ষরতা ২০৩০ সালের মধ্যে: জাকির হোসেন

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন করা হবে। মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাধ্যমে দেশের সুবিধাবঞ্চিত নিরক্ষর জনগণকে মৌলিক শিক্ষা দেওয়াসহ দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ব্যুরোর ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলমান। এর মধ্যে ব্যুরোর জনবল কাঠামো শক্তিশালীকরণ, ব্যুরোর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সক্ষমতার আলোকে নিয়মিত কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন ইত্যাদি বিষয় কর্মপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২২ উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাকির হোসেন বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশের বর্তমান সাক্ষরতার হার ৭৫.৬ শতাংশ। তবে এখনও প্রায় ২৪.৪ শতাংশ জনগণ নিরক্ষর। তাদের সাক্ষর করতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার দেশের ৬৪ জেলায় নির্বাচিত ২৪৮টি উপজেলার ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৪৪ লাখ ৬০ হাজার নিরক্ষরকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাধ্যমে 'মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা)' বাস্তবায়ন কার্যক্রম ৩০ জুন ২০২২ তারিখে সম্পন্ন করেছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে ১৩৪টি উপজেলায় ৩৯ হাজার ৩১১টি শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে ২৩ লাখ ৬০ হাজার জন এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬০টি জেলার ১১৪টি উপজেলায় ৩৫ হাজার শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে ২১ লাখ নিরক্ষর নারী-পুরুষকে সাক্ষরতা প্রদান করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব শিশুর জন্য মানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) বাস্তবায়ন করছে। পিইডিপি-৪-এর সাব-কম্পোনেন্ট ২.৫ এর আওতায় ৮ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত বয়সি বিদ্যালয় হতে ঝরে পড়া শিক্ষার্থী এবং যারা কখনো স্কুলে ভর্তি হয়নি এরূপ ১০ লাখ শিশুর মধ্যে ১ লাখ শিশুর শিক্ষাদান (পাইলট কর্মসূচির মাধ্যমে ৬টি জেলায়) সমাপ্ত হয়েছে এবং অবশিষ্ট ৯ লাখ শিশুর শিক্ষা প্রধান কার্যক্রম চলমান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মহিবুর রহমান প্রমুখ।
এনএইচবি/এসএন
