বঙ্গবন্ধু আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি ইভেন্টে যেতে দাবী ‘ইবি’র

লেখা ও ছবি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
‘বঙ্গবন্ধু আন্ত: বিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২’র সবগুলো বিভাগে অংশগ্রহণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড.মোহাম্মাদ সোহেল বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন আগ্রহী যোগ্য খেলোয়াড়রা। তাতে কোনো কাজ না হওয়ায় গতকাল সোমবার ৫ সেপ্টেম্বর দুপুর প্রায় ১টায় শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মাদ সোহেলকে তার রুমে তালা মেরে আটকে দিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সবচেয়ে বড় এই আসরে ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, বাস্কেটবল, সাঁতারসহ ১১টি খেলায় অংশগ্রহণের সক্ষমতা থাকলেও বাজেট স্বল্পতা ও থাকা-খাওয়ার সঙ্কট দেখিয়ে মাত্র ৪টি খেলায় অংশগ্রহণের জন্য দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দলগুলোর খেলোয়াড়রা প্রতিটি খেলায় অংশগ্রহণের করার দাবি জানিয়েছেন।
তারা তাদের বাজেট, আবাসনসহ সকল সুযোগ- সুবিধার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই দাবীগুলোতেই ক্রীড়া বিভাগে তালা দিয়েছেন ও ভেতরে রেখে দিয়েছেন পরিচালক ড. মোহাম্মাদ সোহেলকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা।
তারা সেখানে বসে আন্দোলন করেছেন।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের একমাত্র শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালককে অবরুদ্ধ রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বাংলোর সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন আন্দোলনকারীরা।
এ সময় তারা ‘হৈ-হৈ রৈ-রৈ, ইবির বাজেট গেলো কই’, ‘বঙ্গবন্ধুর নামে টুর্ণামেন্টে, বাজেট নেই কেন?’, ‘জবাব চাই, দিতে হবে’সহ বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন।
তখন আন্দোলনকারীরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নামে টুর্ণামেন্ট হবে আর আমরা অংশগ্রহণ করব না-এ হতে পারে না। আমরা সবসময় এই প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন টুর্ণামেন্টে অসাধারণ কৃতিত্ব দেখিয়েছি। তারপরও প্রশাসন কেন সবাইকে সবখানে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে চায় না? টুর্ণামেন্টে যদি আমাদের অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া হয় তাহলে আন্দোলন চালিয়ে যাব।
তারা আরও বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর কোটায় খেলোয়াড় বেশি ভর্তি করানো হয়। তাদের যদি সুযোগ না দেওয়া হয় তাহলে কোটায় ভর্তি হয়ে কী লাভ?
তারা জানিয়েছেন, আমরা টুনামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য প্রায় ২০ দিন ধরে অনুশীলন করছি। সুযোগ না দিয়ে প্র্যাকটিস করানো হলো কেন?
পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম আলোচনার আশ্বাস দিলে তারা আজকের মতো আন্দোলন স্থগিত করেন।
তবে দাবি আদায় না হলে আবারও আন্দোলন করার যাওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন।
এ বিষয়ে অবরুদ্ধ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘আমরা মাত্র দুইটি কক্ষ বরাদ্দ পেয়েছি। অল্প জায়গায় আমাদের এত খেলোয়াড় অবস্থান করা সম্ভব না। তাছাড়া বাজেটও খুব বেশি নয়। তাই যে ইভেন্টে আমরা ভালো কিছু অর্জন করতে পারব, সেই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করব বলে সিদ্ধান্ত ছিল।’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেছেন, ‘আমি নিজেও খেলাপ্রিয় মানুষ। আমি তোমাদের জন্য আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব। কোষাধ্যক্ষকে বাজেট নির্ধারণের জন্য আবার দায়িত্ব দিয়েছি। আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাব।’
ওএফএস।
