শিমের আবাদে মাটির উর্বরতা বাড়ে
লেখা ও ছবি : সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিনিধি।
সিলেটের কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার মহাবিদ্যালয় ‘সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’র ‘উদ্যানতত্ব বিভাগ’ কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ)’র সহায়তায় গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে দিনব্যাপী ‘সিলেটাঞ্চলে শিমজাতীয় ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি’ কর্মশালা করেছে।
বিশেষ কর্মশালাটির উদ্বোধন করেছেন প্রধান অতিথি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার।
তার ‘সিলেট এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সিস্টেম (সাউরেস)’র পরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ সভাপতি ছিলেন।
উদ্যানতত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ দেবনাথ উপস্থাপনা করেছেন।
প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বক্তব্য দিয়েছেন কেজিএফের নির্বাহী পরিচালক ড. জীবনকৃষ্ণ বিশ্বাস।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেটাঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক দীলিপকুমার অধিকারী ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আসাদ-উদ-দৌলা।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন ‘সিলেটাঞ্চলে শিম জাতীয় ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি’ প্রকল্পের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম।
গবেষক, অধ্যাপকরা তাদের আলোচনায় সিলেট বিভাগে খারাপ ও রবি মৌসুমে পতিত জমিতে শিমজাতীয় ফসল আবাদের মাধ্যমে মাটির গুণাবলী বৃদ্ধি, প্রান্তিক কৃষকদের যথেষ্ট আয় বৃদ্ধি ঘটে বলে জানিয়েছেন।
তারা বলেছেন, সিলেট অঞ্চলের উপযোগী হলো ‘সিকৃবি শিম-১’, ‘সিকৃবি শিম-২’, ‘বারি শিম-১’, ‘গোয়ালগাবদা শিম’, ‘ফরাস বিচি, ‘বরবটি’। এই শিমগুলো দেশের অন্য যেকোনো এলাকায় চাষের উপযোগী।
শিমগুলোর আগাম চাষের মাধ্যমে কৃষকরা তাদের জীবনমান উন্নয়নও করতে পারবেন।
শিম জাতীয় ফসল চাষ করে ৫০ থেকে ৫৫ দিনের মধ্যে ঘরে ফলন তোলা সম্ভব।
নিরাপদ সবজি উৎপাদনের গবেষণা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান তারা।
কর্মশালায় সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, নবীগঞ্জের সফল কৃষক এমরান হোসেন ও গোয়াইনঘাটের সফল কৃষক মো. রুহুল আমীন শিমের আগাম চাষ পরামর্শ এবং তাদের অভিজ্ঞতার কথা আলোচনা করেন।
কর্মশালায় বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, এনজিও কর্মী, প্রান্তিক কৃষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেছেন।
ছবি : প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
ওএস।