'উন্নয়নমূলক কাজে কারিগরি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বেশি'
কারিগরি শিক্ষার্থীরা এখন সর্বত্র কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও কারিগরি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণই সবচেয়ে বেশি বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খান। তিনি বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীরা যেকোনো জায়গায় কাজ করার মানসিকতা রাখে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাজধানীর সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার ট্রাস্ট আয়োজিত শ্যামলী আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আলী আকবর খান বলেন, উন্নত বিশ্বে প্রথম কাজই হচ্ছে সবাইকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। যদি হাতে কলমে কাজ না জানি তাহলে অনেকটা পিছিয়ে পড়তে হয়। কারিগরি শিক্ষা অর্জন করেও বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যায়। দেশের জনগণকে কারিগরি শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আরও চারটি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করতে যাচ্ছেন। কলেজের জমিও অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে এবং পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষাও গ্রহণ করতে পারবে। এদেশের উন্নয়নমূলক কাজে কিন্তু কারিগরি শিক্ষার্থীদেরই অংশগ্রহণ সবচেয়ে বেশি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল স্তরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দাম অনেক বেশি। কারণ তারা হাতে কলমে কাজ শিখে এসেছে। একজন ছাত্র বুয়েট, চুয়েট থেকে পাস করে সহজে যেকোনো জায়গায় কাজ করতে চায় না। আমাদের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষার্থীরা যেকোনো জায়গায় কাজ করার মানসিকতা রাখে। যারা কাজে দক্ষ হয় তাদের কাজের অভাব হয় না। আমাদেরকে কাজ শিখতে হবে।
শ্যামলী আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার বলেন, যারা কর্মমুখী শিক্ষা গ্রহণ করে তাদের কেউই বেকার থাকে না। আমাদের দেশে বর্তমানে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা প্রচলিত। এরসঙ্গে কারিগরি, প্রকৌশলী, ডাক্তারি, ভোকেশনাল ইত্যাদি কর্মমুখী শিক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে কর্মমুখী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটাতে হবে। দেশের প্রচলিত পন্থায় কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিয়েও লাখ লাখ যুবক বেকারত্বের অভিশাপে দুশ্চিন্তা ও হতাশাগ্রস্ত। অথচ উন্নত দেশগুলোর শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগই কারিগরি, বৃত্তিমূলক ও পেশাভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষিত। এমনকি এশিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা ইত্যাদি দ্রুত উন্নয়নশীল দেশে কর্মমুখী শিক্ষা যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে কারগরি শিক্ষাহার ২০ শতাংশে উন্নীত করার অঙ্গীকার করেছিল কিন্তু বর্তমানে মাত্র ১৬ শতাংশে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছে। আশা করছি আগামী নির্বাচনের আগেই সরকারের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।
শ্যামলী আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে ইন্সটিটিউটের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
এসএম/এসজি/