শাটল ট্রেনে চবি ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা
চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয়ের (চবি) তৃতীয় বর্ষের অর্থনীতি বিভাগের এক ছাত্রীকে শাটল ট্রেনে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটলেও প্রথমে জানা যায়নি। পরে ঘটনার বিবরণ দিয়ে ওই ছাত্রীর দেওয়া ফেসবুক পোষ্টের মাধ্যমে বিষয়টি জানা যায়।
ঘটনার বর্ণনার নিজস্ব ফেসবুক পেজে তিনি বলেন, ”আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্রী। আজকে (২৮শে জুন) সকাল ৭:১০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের ২য় বগিতে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
আজ সকাল ৭:৩০টার ট্রেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে গমনের উদ্দেশে সকাল ৭:০০টার দিকে ২য় বগিতে উঠি। বগিতে সামনের দরজার কাছাকাছিতে দুইজন বহিরাগত ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। আরেকজন বগিতে হাঁটাহাঁটি করছিল। তার উদ্দেশ্য অসৎ অনুমান করে আমি ৭:০৫ মিনিটে আমার সহপাঠীকে ফোন করি এবং পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করে দ্রুত আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করি কিন্তু ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। ঠিক সেই মুহূর্তেই যে বহিরাগত হাঁটাহাঁটি করছিল সে আমার মুখ চেপে ধরে এবং আমার বুকে হাত দেয় এবং সামনে থেকে দুই হাত দিয়ে চেপে ধরে। আত্মরক্ষার্থে আমি তাকে লাথি মারি এবং চিৎকার করি। ঠিক ওই মুহূর্তে লোকটি তার হাত আমার মুখ থেকে সরিয়ে নেয় এবং তখন আমি চিৎকার করি তখনই বগি থেকে লোকটি দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। তখন সামনে যে
দুইজন ঘুমন্ত ছিল আমার চিৎকার শুনে লোকটিকে ধরতে যায়। আমি ট্রেন থেকে নেমে চিৎকার করতে থাকি। তখন স্টেশনে অবস্থানরত একজন আমাকে জানায় যে লোকটিকে ধরা হয়েছে। লোকটিকে ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ধরা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টার ট্রেনের প্ল্যাটফর্মের সামনে লোকটিকে আনা হয়। লোকটিকে রেলওয়ে পুলিশের লোকজন মারধর করে। আমি ভিডিও ধারণ করার সময় পুলিশ আমাকে বাঁধা দেয়। তারপর লোকটিকে রেলওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় কর্মরত কোনো অফিসার ছিল না। তাদের ফোন করে আনা হয়। পুলিশ আমার লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করবে বলে নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর জিজ্ঞেস করে। এরপর পুলিশ আমাকে ঘটনাটির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাতে নিষেধ করে।
পুলিশের ভাষ্যমতে, এতে আপনার মানহানি হতে পারে। এই ব্যাপারে আপনার সিক্রেসি মেন্টেইন করা উচিত। এটা আপনার মান-সম্মানের ব্যাপার। তারপর তারা আমাকে এজাহার করে যেতে বলে কিন্তু পরবর্তীতে আমার থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ বা স্বাক্ষর নেয়নি।
আমি একই দিনে অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করি। প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর উনারা আমাদের মামলা করে আসতে বলেন।“
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়ে থানায় ওসির সঙ্গে কথা বলি। ওখানে ভুক্তভোগীও আছে। রেলওয়ে থানায় আমরা আমাদের একজন সহকারী প্রক্টরকে সঙ্গে সঙ্গে পাঠাই। তার বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিব।
এসআইএইচ