জবির হলের সমস্যা দূর করতে ছাত্রীদের সহযোগিতা চান প্রভোস্ট
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হলের সমস্যা ধীরে ধীরে দূর হবে বলে জানিয়েছেন বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম। এসব সমস্যা দূরীকরণে ছাত্রীদের সহযোগিতার কথা জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) ঢাকাপ্রকাশের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম বলেছেন, ধীরে ধীরে ছাত্রী হলের সব সমস্যা দূর হবে। এর জন্য ছাত্রীদেরও আমাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে। একার পক্ষে কখনোও হলের সুযোগসুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, 'নতুন হল চালু হয়েছে। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ছাত্রীরাও সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীদেরও আমাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে।'
হল প্রভোস্ট আরও বলেন, '৫-৬ জন করে সদস্য রেখে আমরা ইতোমধ্যে তিনটি কমিটি করেছি। একটা ক্যান্টিন ও ডাইনিং ম্যানেজমেন্ট এর জন্য। সেখানে হাউস টিউটর ও সহকারী হাউস টিউটররা আছেন। যারা খাবারের মেনু থেকে শুরু করে সবকিছু দেখাশোনা করবেন। আরেকটি কমিটি করেছি ইলেক্ট্রিক সব সমস্যা সমাধানের জন্য। সেখানে আমাদের চিফ ইঞ্জিনিয়ারকেও রেখেছি। আরও দুইজন ইঞ্জিনিয়ারও আছেন। আরেকটি কমিটি করেছি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য। যারা হলের পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য সার্বিক তদারকি করবেন।'
অধ্যাপক শামীমা বেগম আরও বলেন, 'গরমের জন্য ছাত্রীদের লিফটে যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছিলো। ইতোমধ্যে লিফটে দুইটি ফ্যান লাগানো হয়েছে। আরও দুইটি লাগানো হবে। একটা হুইল চেয়ার কিনেছি। যাতে কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে গেলে আনা নেওয়ায় সুবিধা হয়। আগে হলের কিচেনে এগজস্ট ফ্যানগুলো ছোট ছিল। চুলা বেশি হওয়ায় সেগুলো কাজ করছিলো না। গরমের কারণে ক্যাটারাররাও ঠিকভাবে রান্নার কাজ করতে পারছিল না। এখন বড় বড় এগজস্ট ফ্যান লাগানো হয়েছে। সেজন্য আগের থেকে খাবারের মানও ভালো হচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা প্রতিবার ২৫ হাজার টাকা করে একটা প্রাক্কলন পাই। সেটার মধ্য থেকেই আমাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে হয়। সেটা তো একদম ফিক্সড। বড় এমাউন্ট আমাদের একাউন্টে দিলে সেটা থেকে প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করতে সুবিধা হয়। এমন অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। তারপরেও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।'
হলের ক্যান্টিনে শিক্ষার্থীদের জন্য ইউজিসির ভর্তুকির বিষয়ে হল প্রভোস্ট বলেন, 'আমি ভিসি স্যারকে চিঠি দিয়েছি। যাতে বাজেটে সেটা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাকিটা তিনি দেখবেন।'
উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হলটি চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে ছাত্রী তুলার মাধ্যমে চালু হয়। হল চালু হওয়ার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা নানান বিষয়ে অভিযোগ করে আসছিলেন। নিম্নমানের খাবার, খাবারের দাম বেশি রাখা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশসহ নানান বিষয়ে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।