বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

পুনরায় যোগদান করলেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষক

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেছিলেন দোলনচাঁপা হলের প্রভোস্ট সিরাজুম মনিরাসহ চারজন হাউস টিউটর। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) তারা পুনরায় যোগদান করে তাদের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন।

জানা গেছে, বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ছাত্রীদের জন্য উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের আয়োজন করে দোলনচাঁপা মহিলা হল কর্তৃপক্ষ। খাবারের জন্য পোলাওয়ের চাল ও খাসি কেনা হয়। খবর পেয়ে ‘কথা মতো’ আয়োজন না করায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব প্রভোস্টসহ চারজনকে ‘হুমকি-ধামকি ও চরম অপমান’ করেন। এমন অভিযোগ এনে গত বুধবার প্রভোস্টসহ চারজন হাউস টিউটর একযোগে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।

পদত্যাগের পর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এবং আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু নীলদল জড়িতদের তিন কর্মদিবসের মধ্যে শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের দোলনচাঁপা হলের প্রাধ্যক্ষসহ ৫ শিক্ষকের পদত্যাগ
ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কলা অনুষদের ডিন আহমেদুল বারীকে সভাপতি এবং আইন ও বিচার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মুহাম্মদ ইরফান আজিজকে সদস্যসচিব করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আগেই সোমবার পুনরায় যোগদান করেন পদত্যাগকারী পাঁচ শিক্ষক।
বিষয়টি জানার জন্য দোলনচাঁপা হলের প্রভোস্ট সিরাজাম মুনিরার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সঙ্গে যোগদান করা না করার কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে যোগদান করেছেন সুষ্ঠুভাবে হল পরিচালনা করার জন্য।

একে/এএন

Header Ad
Header Ad

নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ, নাম ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’

নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে নতুন ছাত্রসংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ নামে আত্মপ্রকাশ করে সংগঠনটি।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ ঘটে।

বিস্তারিত আসছে...

Header Ad
Header Ad

চেষ্টা সত্ত্বেও কিছু ব্যাংক রক্ষা করা সম্ভব নয়: গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর

গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, দেশের ব্যাংক খাতের সমস্যা সবারই জানা। সুশাসন ফিরিয়ে আনতে এবং ব্যাংকগুলোকে পুনর্বাসনের জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে জোর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কিছু ব্যাংককে বাঁচানো সম্ভব হবে না। কারণ, কিছু ব্যাংক থেকে একটি মাত্র পরিবার বিপুল পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করেছে, যার ৮৭ শতাংশই ফেরত আসার সম্ভাবনা নেই।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ টাস্কফোর্স’ সম্মেলনের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর এসব কথা বলেন। দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন আয়োজনে সহযোগিতা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ বিষয়ক টাস্কফোর্স।

গভর্নর বলেন, যেসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে সুশাসনের অভাব ছিল, সেগুলোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ও ইউসিবি কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ফলে, তাদের ওপর আরোপিত কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে। আকার বিবেচনায় এ দুটি ব্যাংকের উত্তরণ মানে দেশের সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোর ৬০ শতাংশ সমস্যার সমাধান।

তিনি আরও বলেন, সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর সম্পদের গুণগত মান যাচাই করা হচ্ছে। আগামী এপ্রিলের মাঝামাঝি এ সংক্রান্ত রিপোর্ট পাওয়া যাবে, তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় আমানত বীমা স্কিমের আওতায় প্রতিটি আমানতকারীর জন্য অর্থ ফেরতের পরিমাণ ১ লাখ থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের রক্ষায় সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোর জন্য সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

নতুন আইনের মাধ্যমে ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রাখা হচ্ছে বলে জানান গভর্নর। এর ফলে ঋণখেলাপি কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ক্ষমতা পাবে ব্যাংকগুলো, যা ঋণগ্রহীতাদের সতর্ক করবে। এছাড়া অর্থঋণ আদালতের সংখ্যা বাড়ানো এবং রিট কমানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন গভর্নর। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অপ্রয়োজনীয় কিছু বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং আপাতত ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হবে না।

ব্যাংক খাতের সংকট নিয়ে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ী নেতারাও মতামত দেন। ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, “গভর্নর যখনই বলেন যে কিছু ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাবে বা দুর্বল অবস্থায় আছে, তখনই আমানতকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এটি বন্ধ করতে হবে।”

ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিএবি’র চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার বলেন, “যেকোনো নীতি প্রণয়নের আগে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত, কিন্তু সেটি হচ্ছে না।”

অধ্যাপক আবু আহমেদ দাবি করেন, “আইএমএফের শর্ত মেনে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ করা হয়েছে। ৪.৭০ বিলিয়ন ডলারের ঋণের জন্য এত কঠোর শর্ত মানার প্রয়োজন ছিল না, কারণ এটি মাত্র দুই মাসের রেমিট্যান্সের সমান।”

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান মনে করেন, ব্যাংক খাতের সংকট ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের মালিকানা পরিবর্তনের পর থেকেই শুরু হয়েছে। তার মতে, সরকার ঘোষিত খেলাপি ঋণের হার ৩০ শতাংশ বলা হলেও বাস্তবে তা ৫০ শতাংশেরও বেশি।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, “২০১২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত খেলাপি ঋণ ছয় গুণ বেড়েছে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আইন শিথিল করার সংস্কৃতি থেকে বের হতে না পারলে ব্যাংক খাতের সংকট আরও বাড়বে।”

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক ড. মনজুর হোসেন বলেন, “অবকাঠামোগত উন্নয়ন জরুরি, তবে এ খাতে অতিরিক্ত ব্যয় ও দুর্নীতির কারণে সামাজিক সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ হচ্ছে না।”

ব্যাংক খাতের সংকট কাটিয়ে তুলতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, কাঠামোগত সংস্কার এবং রাজনৈতিক প্রভাব কমানো ছাড়া দীর্ঘমেয়াদে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। সুশাসন নিশ্চিত করা না গেলে ব্যাংক খাতে আরও বড় বিপর্যয় আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

বিরামপুরে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শামসুল আলম ওরফে আলমকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শামসুল আলম ওরফে আলম (৫২) বিরামপুর উপজেলা হরিকৃষ্ণপুর (বাধনসখা) গ্রামের মৃত ইসমাইল মোল্লার ছেলে।

থানা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আনুমানিক একটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিরামপুর উপজেলা হরিকৃষ্ণপুর (বাধনসখা) গ্রামে বিরামপুর থানার এএসআই লিটন মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি ফোর্স সাজাপ্রাপ্ত আসামি শামসুল আলম ওরফে আলমের বাড়িতে অভিযান চালান। এসময় স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল মামলা ৬৮/৯৪ এর ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শামসুল আলম ওরফে আলমকে গ্রেফতার করেন।

এ বিষয়ে বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আলমকে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ, নাম ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’
চেষ্টা সত্ত্বেও কিছু ব্যাংক রক্ষা করা সম্ভব নয়: গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর
বিরামপুরে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার
কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রমজানে ঢাবির ক্যান্টিনে খাবারের মান বৃদ্ধিতে মনিটরিং সেল গঠনে ছাত্রদলের আবেদন
৬০ কোটি টাকায় মার্কিন নাগরিকত্ব বিক্রি করবেন ট্রাম্প
পরকীয়ার জেরে ভাঙতে যাচ্ছে ৩৭ বছরের সংসার, যা বললেন গোবিন্দ
ছাত্রদের নতুন দল থেকে সরে দাঁড়ালেন নাগরিক কমিটির জুনায়েদ ও রিফাত
‘শুধু রণাঙ্গণের যোদ্ধারাই হবেন মুক্তিযোদ্ধা, বাকিরা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’
স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির আয়োজনে আন্তর্জাতিক ছাত্র সম্মেলন
৬ মাসে যেভাবে অর্থনীতি কামব্যাক করেছে সেটা মিরাকল: প্রেস সচিব
নতুন তথ্য উপদেষ্টা হচ্ছেন মাহফুজ আলম
টাঙ্গাইলে শিক্ষা সফরের ৪ বাসে ডাকাতি, বাঁধা দেওয়ায় শিক্ষকসহ দুইজনকে মারধর
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ চুক্তিতে সম্মত ইউক্রেন  
ছোট অপরাধ বাড়লেও কমেছে বড় অপরাধ: আসিফ মাহমুদ  
নায়িকার মামলায় জাজের আজিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা  
মধুর ক্যান্টিনে বিকেলে যাত্রা শুরু করবে সমন্বয়কদের নতুন ছাত্রসংগঠন
১৩ মার্চ ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব  
গোল উৎসবে নিষ্প্রাণ বার্সার রক্ষণ, সেমিফাইনালের প্রথম লেগ ড্র
ইসরায়েলি কারাগারে কমপক্ষে ৫৯ ফিলিস্তিনি বন্দির মৃত্যু