প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অর্থ লেনদেনে সতর্কতা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। এই পরীক্ষার ফলাফলে প্রভাব বিস্তারের কোনো সুযোগ নেই। ফলে কোনো প্রকারের আর্থিক লেনদেন না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২০-এর ২য় ও ৩য় ধাপের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২০ মে ও ৩ জুন ২০২২ অনুষ্ঠিত হবে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জেলায় এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম নিয়োগ বিধি অনুসরণপূর্বক সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সাথে সম্পন্ন করা হয়। প্রার্থীদের রোল নম্বর, আসন বিন্যাস, প্রশ্নপত্র প্রেরণ ও মুদ্রণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল প্রস্তুতসহ যাবতীয় কাজ সফটওয়ারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন ধরণের অবৈধ হস্তক্ষেপের কোন সুযোগ নেই। এমতাবস্থায়, দালাল বা প্রতারক চক্রের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে কোন প্রকার অর্থ লেনদেন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো। অর্থ লেনদেন বা অন্য কোন অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাবার কোন সুযোগ নেই। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকুরী হবে। কেউ অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখালে তাকে নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করা অথবা থানা বা গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।’
এপি/