প্রাথমিকের সমাপনী নিয়ে সরকার সিদ্ধান্তহীনতায়: প্রতিমন্ত্রী
চলতি বছর প্রাথমিকের সমাপনী নিয়ে সরকার এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, ‘চলতি বছর প্রাথমিকের সমাপনী নিয়ে আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি।’
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জাকির হোসেন এ কথা জানান।
পরীক্ষা অনুষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ের দুই-তিন মাস আগে সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে, যোগ করেন গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাকির হোসেন বলেন, ‘গত দুই বছর শিখন ঘাটতি ছিল। আমরা চাচ্ছি এই ঘাটতি পূরণ করে তারপর এই পরীক্ষার চিন্তা-ভাবনা করব। আমরা চাচ্ছি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করুক।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমে এই পরীক্ষাটি (প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী) নেই।’
এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চান নতুন যে পাঠ পরিকল্পনা করা হয়েছে সেখানে কি এই পরীক্ষা ধরে পরিকল্পনা করা হয়েছে, নাকি কেবল ঘাটতি পূরণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে?
এর জবাব দিতে গিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘আমাদের লেখাপড়া পরীক্ষা কেন্দ্রীক নয়। শিক্ষাক্রমের শিখন যোগ্যতা অজর্নের জন্য শিশুরা পড়াশোনা করে। গত দুই বছরে বিভিন্নভাবে সেই যোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়েছে। তারপরও সশরীরে যেহেতু আসতে পারেনি, তাই শিখন ঘাটতি রয়েই গেছে। তাই যে সময়সূচি দেওয়া হয়েছে সেখানে শিখন ঘাটতি পূরণে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি। এখন যদি আমরা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার চাপে ফেলে, শুধুমাত্র পরীক্ষায় কোন প্রশ্ন আসবে, না আসবে, কোচিং এ সমস্ত ব্যস্ততায় আমরা ফেলতে চাই না। তারা যেন শিখন ঘাটতি পূরণ করে, যোগ্যতা যেন অজর্ন করতে পারে। সেজন্যই আমরা আপাতত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার টেনশন আর দিতে চাই না।’
তিনি বলেন ‘নতুন শিক্ষাক্রমে ভবিষ্যতে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণি পযর্ন্ত পরীক্ষাই থাকবে না। ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়নে যাবে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের বাড়তি টেনশন দিতে চাচ্ছি না। আস্তে আস্তে তারা অভ্যস্ত হয়ে যাবে।’
তখন সাংবাদিকেরা জানতে চান, তাহলে তো প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হবে কি না সেটি বলে দিলেই পারেন? কারণ সিদ্ধান্তটি না জানানোর কারণেই তো টেনশনে আছে?
এই প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি। কারণ বড়দের ঘাটতি পূরণ আর ছোটদের ঘাটতি পূরণের প্রক্রিয়া এক না। তাই পরীক্ষা বিষয়কে সামনে এনে, বিতর্ক করে আমরা এই স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং শিক্ষার প্রতি আগ্রহটিকে ধরতে চাই না। তারা পড়াশোনা করবে। যদি পরীক্ষা দিতে হয় দেবে, আর যদি পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে দেবে না। তাই এ নিয়ে এত আগে মন্তব্য করা উচিত নয়।’
অন্য প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, পরীক্ষা না বলে মূল্যায়ন হচ্ছে। সেটি নিয়মিত মূল্যায়ন, সাপ্তাহিক মূল্যায়ন হবে, ত্রৈমাসিক, ষাণ্মাষিক ও বার্ষিক মূল্যায়ন হবে। অর্থাৎ আমরা এই মুহুর্তে পরীক্ষা শব্দটি বলতে রাজি নই। আমরা শিক্ষার্থীদের টেনশন দিতে চাচ্ছি না। তারা মূল্যায়িত। পঞ্চম শ্রেণি শেষ করার পর যে যোগ্যতা অর্জন করার কথা সেই লেখাপড়ার যোগ্যতা যেন অর্জন করে। এখন যদি বলে দেই তাহলে ঘাটতি পূরণের উদ্যোগ নেবে না। পরীক্ষায় কোনো প্রশ্ন আসবে সেই হিসাব-নিকাশ করবে। তাই পাঠ্যসূচিতে যা আছে সবই যেন শিক্ষার্থীরা পড়ে। সেভাবেই এগোচ্ছি। যেহেতু মূল্যায়ন করব, তাই একটা পর্যায়ে গিয়ে ঘোষণা দেব।’
সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে অভিভাবকদের জানাতে চাই, এই পরীক্ষাকেন্দ্রীক চিন্তা এবং এ নিয়ে অস্থিরতা করার কোনো প্রয়োজন নেই। সবার পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষার তিন মাস আগে বলতে পারব।’
গত দুই বছর শিখণ ঘাটতি ছিল। আমরা চাচ্ছি এই ঘাটতি পূরণ করে তারপর এই পরীক্ষার চিন্তা-ভাবনা করব। আমরা চাচ্ছি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করুক।
আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমে এই পরীক্ষাটি (প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী) নেই।’
এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চান নতুন যে পাঠ পরিকল্পনা করা হয়েছে সেখানে কী এই পরীক্ষা ধরে পরিকল্পনা করা হয়েছে, নাকি কেবল ঘাটতি পূরণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে?
এর জবাব দিতে গিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, আমাদের লেখাপড়া পরীক্ষাকেন্দ্রীক নয়। শিক্ষাক্রমের শিখন যোগ্যতা অজর্নের জন্য শিশুরা পড়াশোনা করে। গত দুই বছরে বিভিন্নভাবে সেই যোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়েছে। তারপরেও সশরীরে যেহেতু আসতে পারেনি, তাই শিখন ঘাটতি রয়েই গেছে। তাই যে সময়সূচি দেওয়া হয়েছে সেখানে শিখন ঘাটতি পূরণে সবোর্চ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি। এখন যদি আমরা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার চাপে ফেলে, শুধুমাত্র পরীক্ষায় কোন প্রশ্ন আসবে, না আসবে, কোচিং এ সমস্ত ব্যস্ততায় আমরা ফেলতে চাই না। তারা যেন স্বতস্ফুর্তভাবে শিখন ঘাটনি পূরণ করে, যোগ্যতা যেন অজর্ন করতে পারে। সেজন্যই আমরা আপাতত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার টেনশন আর দিতে চাই না।’
তিনি বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমে ভবিষ্যতে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণি পযর্ন্ত পরীক্ষাই থাকবে না। ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়নে যাবে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের বাড়তি টেনশন দিতে চাচ্ছি না। আস্তে আস্তে তারা অভ্যস্ত হয়ে যাবে।’
তখন সাংবাদিকেরা জানতে চান, ‘তাহলে তো প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হবে কি না সেটি বলে দিলেই পারেন? কারণ সিদ্ধান্তটি না জানানোর কারণেই তো টেনশনে আছে?’
এই প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি। কারণ বড়দের ঘাটতি পূরণ আর ছোটদের ঘাটতি পূরণের প্রক্রিয়া এক না। তাই পরীক্ষাকেন্দ্রীক বিষয়কে সামনে এনে, বিতর্ক করে আমরা এই স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং শিক্ষার প্রতি আগ্রহটিকে ধরতে চাই না। তারা পড়াশোনা করবে। যদি পরীক্ষা দিতে হয় দেবে, আর যদি পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে দেবে না। তাই এ নিয়ে এত আগে মন্তব্য করা উচিত নয়।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, পরীক্ষা না বলে মূল্যায়ন হচ্ছে। সেটি নিয়মিত মূল্যায়ন, সাপ্তাহিক মূল্যায়ন হবে,ত্রৈমাসিক, ষার্ন্মাষিক এবং বার্ষিক মূল্যায়ন হবে। অর্থাৎ আমরা এই মুহুর্তে পরীক্ষা শব্দটি বলতে রাজি নই। আমরা শিক্ষার্থীদের টেনশন দিতে চাচ্ছি না। তারা মূল্যায়িত। পঞ্চম শ্রেণি শেষ করার পর যে যোগ্যতা অর্জন করার কথা সেই লেখাপড়ার যোগ্যতা যেন অর্জন করে। এখন যদি বলে দেই তাহলে ঘাটতি পূরণের উদ্যোগ নেবে না। পরীক্ষায় কোন প্রশ্ন আসবে সেই হিসাব-নিকাশ করবে। তাই পাঠ্যসূচিতে যা আছে সব্ই যেন শিক্ষার্থীরা পড়ে। সেভাবেই এগোচ্ছি। যেহেতু মূল্যায়ন করব, তাই একটা পর্যায়ে গিয়ে ঘোষণা দেব। '
সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে অভিভাবকদের জানাতে চাই, এই পরীক্ষাকেন্দ্রীক চিন্তা এবং এ নিয়ে অস্থিরতা করার কোনো প্রয়োজন নেই। সবার পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষার তিন মাস আগে বলতে পারব।’
এনএইচবি/এমএমএ/