প্রাথমিকে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু শুক্রবার
সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শূন্য পদে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে। আগামীকাল শুক্রবার (২২ এপ্রিল) থেকে তিন ধাপে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২১এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রথম ধাপে আগামীকাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২২ জেলায়। এরমধ্যে ১৪টি জেলা সম্পূর্ণ এবং ৮ জেলার আংশিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২০ মে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জেলায়। এরমধ্যে ৮ জেলার সবকটিতে এবং ২২ জেলার আংশিক পরীক্ষা হবে।
সর্বশেষ ও তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জুন। শেষ ধাপের পরীক্ষা হবে ৩১ জেলায়। তখন ১৭ জেলার সবকটিতে এবং ১৪ জেলায় আংশিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
জাকির হোসেন জানান, বর্তমানে সারাদেশে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুমোদিত শিক্ষকের সংখ্যা ৪ লাখ ২৮ হাজার ৭০১টি। কিন্তু বিরাট সংখ্যক সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় এবং সম্প্রতি আরও অন্তত ১০ হাজার শিক্ষক অবসরে চলে যাওয়ায় শূন্য পদের এই সংখ্যা আরও বেড়েছে। সবমিলিয়ে এই সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। যার ফলে বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়নি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা হয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় অসাধু চক্র যেন এ নিয়োগ পরীক্ষাকে কোনোভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, সারাদেশে মোট ১ হাজার ৮১১টি কেন্দ্রে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যাক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। মহিলা কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক মহিলা পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হ্যান্ড মেটালডিটেক্টর দ্বারা পরীক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করা হবে। যাতে কেউ কোনোরকম ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে। শুধু কেন্দ্র সচিব একটি এনালগ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষা চলাকালীন ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে।
এনএইচবি/টিটি