সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপে ২২ জেলায় অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড শনিবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রকাশ করা হয়েছে। নির্ধারিত ওয়েবসাইটে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে পারছেন। অ্যাডমিট কার্ডে পরীক্ষার্থীদের জন্য ১৯ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিন ধাপে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম ধাপে দেশের ২২টি জেলায় আগামী ২২ এপ্রিল, দ্বিতীয় ধাপে ২০ মে ও তৃতীয় ধাপে ৩ জুন এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ২২ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নিজ নিজ জেলায় এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২২টি জেলায় এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২২টি জেলার মধ্যে ১৪টির সব উপজেলা এবং ৮টি জেলার কয়েকটি উপজেলার পরীক্ষা হবে।
জানা গেছে, প্রার্থীদের আবেদনে উল্লিখিত মোবাইল নম্বরে যথাসময়ে ০১৫৫২-১৪৬০৫৬ নম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস পাঠানো হবে।
আগামী ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষার প্রার্থীরা নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (admit.dpe.gov.bd) ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে বা এসএসসির রোল, বোর্ড ও পাসের সন দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে রঙিন প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।
প্রার্থীদেরকে অবশ্যই প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট এবং নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র সঙ্গে আনতে হবে। ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশাবলী এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এবং প্রবেশপত্রে উল্লেখ থাকবে।
প্রার্থীরা এই লিংকে প্রবেশ করে অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
প্রার্থীদের জন্য নির্দেশনা
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে ১৯ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-
১. লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য প্রবেশপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে
২. পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা আগে প্রার্থীকে নির্ধারিত আসন গ্রহণ করতে হবে ও পরীক্ষা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না।
৩. প্রবেশপত্র ছাড়া কোনো পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটিব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি ও যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। যদি কোনো পরীক্ষার্থী উল্লিখিত দ্রব্যাদি সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন, তাহলে তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৪. পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কক্ষে অবস্থানকালে অবশ্যই উভয় কান উন্মুক্ত রাখতে হবে।
৫. আবেদনপত্রে পরীক্ষার্থীর দেয়া ছবি হাজিরা শিটে থাকবে ও ইনভিজিলেটর এই ছবি দিয়ে পরীক্ষার্থীকে যাচাই করবেন। ভুয়া পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৬. আবেদনপত্রে প্রার্থীর দেয়া স্বাক্ষরের সঙ্গে পরীক্ষার হাজিরা শিটে ও ওএমআর শিটে দেয়া স্বাক্ষরসহ সব তথ্যে মিল থাকতে হবে।
৭. পরীক্ষার্থীকে উত্তরপত্রে অবশ্যই কালো বলপয়েন্ট কলম ব্যবহার করতে হবে।
৮. একজন পরীক্ষার্থীর জন্য এএমআার ফরমের সেট কোড পূর্বনির্ধারিত থাকবে, পরীক্ষার্থীর জন্য নির্ধারিত ওএমআর ফরমের সেট কোডটি এ প্রবেশপত্রে উল্লেখ করা আছে।
৯. পরীক্ষার হলে যে ওএমআর ফরমটি দেয়া হবে, সেখানে সেট কোডের ঘরে প্রবেশপত্রে উল্লিখিত কোডটির বিপরীতে বৃত্ত ভরাট করতে হবে।
১০. পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের সেট কোড ও ওএমআর ফরমের সেট কোড ভিন্ন হবে। পরীক্ষার্থীর ওএমআর সেট কোডের বিপরীতে কোনো সেট কোডের প্রশ্ন পাবেন তা পরীক্ষা শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে কক্ষ পরিদর্শক জানিয়ে দেবেন। পরীক্ষার্থী সঠিক কোডের প্রশ্নটি পেলেন কি না তা নিয়ে নিশ্চিত হবেন।
১১. প্রবেশপত্রে নির্ধারিত ওএমআরের সেট কোড ছাড়া অন্য সেট কোডে পরীক্ষা দিলে উত্তরটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
১২. রোল বা সেট কোডের বৃত্ত পূরণে কোনো ভুল হলে উত্তরপত্রটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
১৩. হাজিরা শিটের সঠিক স্থানে পরীক্ষার্থীকে স্বাক্ষর করতে হবে ও হাজিরা বৃদ্ধটি পূরণ করতে হবে। তা না হলে উত্তরপত্রটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
১৪. ওএমআর ফরমের উপরিভাগের নির্ধারিত সব টেক্সটবক্স নির্দেশনা অনুযায়ী পূরণ করতে হবে, অন্যথায় উদ্ভবপরটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
১৫. পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে আপনার আসন কোন কক্ষে তার তালিকা টাঙিয়ে দেয়া হবে।
১৬. লিখিত পরীক্ষায় বা মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ চাকরির নিশ্চয়তা প্রদান করে না।
১৭. চূড়ান্ত ফলে প্রতিটি উপজেলা বা শিক্ষা থানার জন্য নিয়োগযোগ্য মেধাতালিকা ব্যতীত কোনো অপেক্ষমান তালিকা বা প্যানেল প্রস্তুত করা হবে না।
১৮. লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ করা হবে না।
১৯. পরীক্ষা সব তথ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এপি/