প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট অনুমোদন
চাকরিরত অবস্থায় কোন শিক্ষকের মৃত্যু হলে তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন, প্রতিবন্ধী বা তৃতীয় লিঙ্গের সন্তান থাকলে তাদের লেখাপড়ার খরচ ট্রাস্টের অর্থ থেকে পরিচালনা করা হবে। এমন বিধান রেখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০২২ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বুধবার (৫ এপ্রিল) সংসদ ভবনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাবিত আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিং-এ মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এই ট্রাস্ট হবে সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। এটা হবে আইনের মাধ্যমে। টাস্টের প্রধান কার্যালয় থাকবে ঢাকায়। প্রয়োজনে সরকারের পূর্বানুমতি নিয়ে দেশের যে কোন স্থানে শাখা বা কার্যালয় স্থাপন করা যাবে। ট্রাস্টের পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে ট্রাস্টি বোর্ডের উপর। ২১ সদস্য বিশিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। সদস্য সচিব হবেন মহাপরিচালক কর্তৃক মনোনীত একজন শিক্ষক। ট্রাস্টিগণ মনোনয়নের তারিখ থেকে তিন বছর পর্যন্ত ওই বোর্ডের সদস্য সদস্য থাকতে পারবেন।
তিনি জানান, তাদের একটা তহবিল থাকবে। সেই তহবিলের অর্থ বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত কোন তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এই তহবিল থেকে শিক্ষক ও পোষ্যদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহয্যে দেওয়া হবে। শিক্ষকের স্বামী বা স্ত্রী ও সন্তানের শিক্ষা সহায়তার জন্য এককালীন আর্থিক সহায়তা বা বৃত্তি দেওয়া হবে। শিক্ষকের স্বামী বা স্ত্রী ও সন্তানের জন্য বৃত্তিমূলক ও অন্যান্য পেশাগত প্রশিক্ষকণের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মারা যাওয়া শিক্ষকের সন্তান প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত এই সাহায্য দেওয়া হবে। এটি দেওয়া হবে এককালীন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যে তহবিল তৈরি করা হবে তার টাকা শিক্ষকদের কাছ থেকে কাটা হবে। চাঁদার হার বিধি ধারা নির্ধারিত হবে।
এনএইচবি/এএস