আইএমএফ যেখানে যায় বৈষম্য আরও বাড়ে
আইএমএফ যেখানে যেখানে যায় আয় বৈষম্য বেড়েছে উল্লেখ করে নাগরিক প্লাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, আইএমএফ যখন কোনো দেশে যায় তারা বিভিন্ন শর্ত দিয়ে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে। এজন্য আয়ের সময় আরও বেড়ে যায়।
সোমবার (১৫ মে) এক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। “আইএমএফের সময় অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের কথা জাতীয় বাজেটে কীভাবে প্রতিফলিত হতে পারে”- শীর্ষক এ সংলাপ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। এর আয়োজন করে সিপিডি ও নাগরিক প্লাটফর্ম। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় বলেন, খানা জরিপেও বাংলাদেশে বৈষম্য যে বেড়েছে তা দেখানো হয়েছে। গত ৫/৬ বছরের তিন শতাংশের বেশি বৈষম্য বেড়েছে। এটা শহরে বেশি। শুধু আয় বৈষম্য নয়, ভোগ বৈষম্যও বেড়েছে দেশে। এ বৈষম্য তীব্র আকার ধারণ করায় গ্রামের মানুষ শহরে চলে আসছে।
তিনি আরও বলেন, আইএমএফ এর সময়কালে এ বৈষম্য আরও বেড়ে যাবে। কারণ তারা যেখানে যেখানে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে সেখানে বৈষম্য বেড়ে গেছে। এ ছাড়া আইএমএফ যে কর্মসূচি দেখাচ্ছে সেখানেও বৈষম্য দেখা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা চিন্তিত। উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা রাজনৈতিক ব্যক্তিরা প্রকাশ করে না। তাদের মুখে শুনি না। বাজেটে ভালো ভর্তুকি বাড়িয়ে খারাপ ভর্তুকি কমাতে হবে। সার, কীটনাশকে ভর্তুকি বাড়াতে হবে।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, আইএমএফ জিডিপির দশমিক পাঁচ শতাংশ রাজস্ব বাড়াতে বলেছে। কিন্তু এটা কার কাছ থেকে আসবে। কারণ যাদের সামর্থ্য আছে অনেকেই কর দেয় না। আবার সরকার বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময় বড় বড় করপোরেটদের কর ছাড় দিয়েছে। তা যৌক্তিকিকরণ করা উচিত। শুল্ক সামঞ্জস্যকরণ করতে হবে। তবে এ কাজ করতে গিয়ে যাতে অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থায় প্রভাব না পড়ায় সেদিকেও ভাবতে হবে।
এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ও কর্মসংস্থানে নজর দিতে হবে। নিত্য পণ্যের দাম কমাতে না পারলে কম দামে কম আয়ের মানুষের সুবিধা বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, সরকার নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য দারিদ্র্যবান্ধব কর্মসূচি নিলেও মানুষ অবগত না। রাজনৈতিকভাবে তা প্রচার করা হয় না। আইএমএফ কর্মসূচি নেওয়ার আগে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। না হলে আয় বৈষম্য আরও বাড়বে।
জেডএ/এসএন