সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

দাম বৃদ্ধি পেয়ে বাজারে আটা

সরকার বলছে দেশে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাদ্য মজুতি রয়েছে, শঙ্কার কোনো কারণ নেই। তারপরও কয়েক দিন থেকে বাজারে আটা পাওয়া যাচ্ছে না। খুচরা ব্যবসায়ীরা নেই নেই বলার পর দাম একেবারে লাগামহীন হয়ে গেছে। এক লাফেই পুষ্টিসহ কয়েকটি কোম্পানির ২ কেজির ১২৬ টাকার আটা ১৪৪ টাকা হয়ে গেছে। বেড়েছে ১৮ টাকা বা ১৪ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে আটার দাম বেড়েছে ৭৯ শতাংশ।

বিভিন্ন বাজার ও সরকারি সংস্থা টিসিবি সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।

রাজধানীতে খাদ্যপণ্যের পাইকারি বাজার কৃষিমার্কেট। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সিটি এন্টারপ্রাইজের আবু তাহেরসহ অনেক বিক্রেতার কাছে আটার দাম কত— জানতে চাইলে তারা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আটা নেই। কয়েকদিন থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। ২ কেজি আগে ১২৬ টাকা বিক্রি করা হলেও পৃষ্টি, এসিআইসহ অন্যান্য কোম্পানির আটা পাওয়া যাচ্ছে না। কেন নেই এমন প্রশ্নের জবাবে সেদিন তারা বলেছিলেন, সয়াবিন তেল, চিনির দশা আটাতেও। দাম বৃদ্ধির কারণে পাওয়া যাচ্ছে না। ডিলাররা শুধু দিব দিচ্ছি করে দিচ্ছে না। তাই বিক্রি করতে পারছি না।

তবে শনিবার (১২ নভেম্বর) থেকে পাওয়া যাচ্ছে ২ কেজি ১৪৪ টাকা দরে। দাম বেড়েছে ১৮ টাকা বা ১৪ শতাংশ।

এদিকে রাজধানীর অপর পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজারেও একই দশা। গত কয়েক দিন থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, আটা নেই। কোম্পানি থেকে না দিলে আমরা কীভাবে বিক্রি করব। চিনির মতো হয়ে গেছে, বাজারে নেই।

এ সব দোকানে শনিবার সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ভিন্ন চিত্র। কিচেন মার্কেটের নিচতলার ভাই ভাই জেনারেল স্টোরের মালিক আবুল কাদের ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন ‘২ কেজির পুষ্টি আটা ১৪৪ টাকা। এত দাম কেন? উত্তরে বলেন, কয়েক দিন থেকে ছিল না আটা। আজ সকালে কোম্পানি থেকে দিয়েছে। তারা দাম বৃদ্ধি করেছে। আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে আগের দামের কয়েক প্যাকেট এসিআই আটা আছে ১৩২ টাকা। কালকে থেকে হয়ত তাদের নতুন রেটের ১৪৪ টাকার আটা আসবে।

এদিকে একই মার্কেটের জব্বার জেনারেল স্টোরের জব্বারও বলেন, ২ কেজির পুষ্টি আটা ১৪৪ টাকা। এরচেয়ে কম দামেরটা নেই। কয়েক দিন আগেই শেষ হয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাদ্য মজুদ আছে।’

শনিবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, সর্বশেষ ৯ নভেম্বর খাদ্য মজুদ ছিল ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৩২২ টন। এরমধ্যে চালের মজুদ ছিল প্রায় ১৩ লাখ ৬৪ হাজার টন। ধান ১৩ হাজার টন। আর গমের মজুদ ছিল দুই লাখ ১৩ হাজার টন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে গমের বার্ষিক চাহিদা ৭০ থেকে ৭৫ লাখ টন। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে গমের উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ টন। বাকি গম বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে চাহিদা মেটানো হয়। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬২ লাখ টন গম আমদানি হয়েছে। এই গম থেকে আটা-ময়দা তৈরি করে কয়েকটি কর্পোরেট শিল্প। এরমধ্যে বসুন্ধরা, সিটি, মেঘনা, টিকে, আকিজ এবং এসিআই। তারাই বেশি করে বিক্রি করছে বাজারে।

এদিকে আটার বাজারের অস্থিরতা সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর ওয়েবসাইডেও দেখা যায়।

টিসিবির তথ্য বলছে, এক বছরের ব্যবধানে প্রতি কেজি খোলা আটার দাম বেড়েছে ৭৯ শতাংশের বেশি। কারণ গত বছরের ১২ নভেম্বর এক কেজি খোলা আটার দাম ছিল ৩৩ থেকে ৬৫ টাকা। বর্তমানে তা ৬০ থেকে ৭২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর এক বছর আগের ৩৮ টাকা থেকে ৪৫ টাকার প্যাকেট আটা শনিবার বিক্রি করা হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। যেখানে চিকন চাল মিনিকেট ও নাজিরশাইল বিক্রি করা হচ্ছে ৭২ টাকা।

কিন্তু বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে দুই কেজির আটা বিক্রি করা হচ্ছে ১৪৪ টাকা বা এক কেজির দাম ৭২ টাকা। অর্থাৎ বর্তমানে চাল ও আটার দাম এক হয়ে গেছে।

তবে আটার চেয়ে ময়দা কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। সেই চিত্র টিসিবিও বলছে। খোলা ময়দা ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি ও প্যাকেট ময়দা ৭৮ থেকে ৮০ টাকা কেজি। এক বছর আগে খোলা ময়দা ছিল ৪২ থেকে ৫৫ টাকা ও প্যাকেট ময়দার কেজি ৪৮ থেকে ৫২ টাকা। বছরের ব্যবধানে ময়দার কেজিতে বেড়েছে ৭৯ শতাংশ।

খুচরা ব্যবসায়ীরা এই প্রতিবেদককে জানান, সয়াবিন তেল ও চিনির দশা হয়ে গেছে আটা ও ময়দায়। প্রথমে তারা বিভিন্ন অজুহাতে দিব দিচ্ছি বলে দিচ্ছে না। তারপরও দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে আমাদেরও খারাপ লাগছে।

সার্বিক ব্যাপারে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ভোক্তাদের স্বার্থে বাজারে কাজ করছি। তাই প্রতিনিয়ত সারাদেশে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি বাজার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানে গেলেই বিচিত্র চেহারা দেখা যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যে যার মতো করে দাম আদায় করছেন। অভিযানে তারা ধরা পড়ছেন। তাদের জরিমানা করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে পণ্যের আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। এই অজুহাতে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতি মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে।

আর সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহা বলেন, আমরা প্রয়োজন মতো বাজারে আটা-ময়দা বিক্রি করছি। যে যা চাচ্ছে তা দেওয়া হচ্ছে। কারওয়ানবাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হয়ত স্টক কমে গেছে। ডিলাররা চাইলে সরবরাহ করা হচ্ছে।

জেডএ/আরএ/

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ভারত এখন পাকিস্তানে সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যে বিশ্বের এক ডজনেরও বেশি দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং দিল্লিতে কূটনৈতিকদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন। তবে এসব আলোচনা মূলত অভিযানের যৌক্তিকতা তুলে ধরতেই হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

কাশ্মির সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে গুলিবিনিময় অব্যাহত রয়েছে। কাশ্মিরে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে এবং শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অতীতের সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার ইতিহাস তুলে ধরলেও এবারকার হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ এখনো প্রকাশ করেনি। পাকিস্তান সরকার সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, যেহেতু ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পরমাণু শক্তিধর দেশ, তাই সামরিক সংঘাত বড় ধরনের বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে।

ইরান ও সৌদি আরব মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন জানালেও, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতি তাদের মনোযোগ সীমিত বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৯ সালের ঘটনার তুলনায় এবার প্রমাণের স্বচ্ছতা কম, আর “রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট” নামে একটি অজ্ঞাত গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করলেও ভারত এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠনের ছায়া গোষ্ঠী বলে মনে করছে।

ভারতীয় সরকারের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ রয়েছে এবং মোদি সরকার “বড় ধরনের কিছু” করার পরিকল্পনায় এগোচ্ছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ