অক্টোবরেও রপ্তানি আয় লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ
বাংলাদেশে ডলারের সংকটে রপ্তানি আয় ভরসা থাকলেও চলতি অর্থবছরে প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। বরং ঋণাত্মক হয়েছে সোয়া তিন শতাংশ। তবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ শতাংশ। অপরদিকে সেপ্টেম্বরের মতো অক্টোবরেও লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। লক্ষ্য থেকে পিছিয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। একই সঙ্গে গত মাসে প্রবৃদ্ধিও কম হয়েছে প্রায় ৮ শতাংশ।
বুধবার (২ নভেম্বর) প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত অক্টোবরে ৫০০ কোটি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৪৩৫ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়; যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ কম। কারণ গত বছরের অক্টোবরে রপ্তানি হয়েছিল ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের পণ্য।
তবে টানা দুই মাসে রপ্তানি আয় কমলেও সামগ্রিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের এ খাত ইতিবাচক ধারায় আছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৭৪২ কোটি। তাতে ১ হাজার ৬৮৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। কমেছে ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। তবে এটা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি। কারণ ওই সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছিল ১ হাজার ৫৭৫ কোটি ডলার।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে তৈরি পোশাকের রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। তবে লক্ষ্যমাত্রা কম অর্জন হয়েছে দশমিক ৭৪ শতাংশ। কারণ লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৪০৫ কোটি ৬১ লাখ ডলার। অর্জন হয়েছে ১ হাজার ৩৯৫ কোটি ২৩ লাখ ডলার। হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। তবে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, কেমিক্যাল পণ্য, হ্যান্ডিক্রাফটস, হিমায়িত খাদ্য, পাট ও পাটজাত পণ্যসহ প্রায় পণ্যের রপ্তানি আয় কমেছে এই চার মাসে। ফলে লক্ষ্যের কাছে নেই।
উল্লেখ্য, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫ হাজার ২০৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। তাই চলতি অর্থবছরে বেশি করে লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ধরা হয়েছে।
এসএন