‘বণ্টন ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে চিনির বাজার অস্থিতিশীল’
বণ্টন ব্যবস্থাপনার ত্রুটির কারণেই চিনির বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উটেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম শফিকুজ্জামান।
তিনি বলেছেন, উৎপাদনে তেমন সমস্যা না থাকলেও বণ্টন ব্যবস্থাপনার ত্রুটির কারণে চিনির বাজার অস্থিতিশীল হয়ে গেছে। মিল মালিকরা আস্বস্ত করেছেন, তিন মাসের চিনির স্টক আছে। তাই চিনির আর কোনো সমস্যা হবে না। রাত থেকেই চিনির বাজার স্বাভাবিকের দিকে যাবে। কারণ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও গভীরভাবে দেখতে বলা হয়েছে। গ্যাসের সংকটও দূর হয়ে যাবে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) কারওরান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানান তিনি। সভায় উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন রিফাইনারি মিলমালিকদের প্রতিনিধি, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী নেতারা।
ভোক্তা অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, সরকার ও মিল মালিকরা মূল্য নির্ধারণ করার পরও চিনির বাজার অস্থির হয়ে গেছে। ৯০ টাকার চিনি ১০৫-১১০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। গত শুক্রবার ও শনিবার খোলা বাজার থেকে শুরু করে পাইকারি সব জায়গায় দেখা হয়েছে। পাঁচ রিফাইনারিতেও অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কারণ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে থেকে চিনির ব্যাপারটা গভীরভাবে দেখতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে চিনির কোনো ঘাটতি নেই। সমস্যা সরবরাহের।
তিনি বলেন, মিল মালিকরা আশ্বস্ত করেছেন রসুগারের যা স্টক আছে তাতে তিন মাস চলবে। তারপরও ৯০ টাকার চিনি ১১০ টাকা হয়ে গেছে কেন- এটা দেখা হবে। কারণ মিল থেকে চিনির বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে না। সমস্যা হচ্ছে এসও (বিক্রয় আদেশ)। আইনে থাকলেও তারা পাকা ভাওচার দেয় না খুচরা বিক্রেতাদের। তারা এ কাজ করলে মানে পাকা রশিদ দিলে ৮০ ভাগ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, শুধু মৌলভীবাজারে সীমাবদ্ধ না থেকে এলাকাভিত্তিক ডিলার দিতে হবে। যার যার চিনি লাগবে তা দেওয়া হবে। তবে মিলের দামের থেকে কম দামের চিনি নিয়ে যাতে কোনো কারসাজি না হয়।
এই অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিনির উৎপাদন বৃদ্ধি করতে যা যা করা দরকার তাই করা হবে। যাতে সাপ্লাই চেইনের কোনো সমস্যা না হয়। তাই পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানকেও বলা হয়েছে চিনির কলে চাহিদা মোতাবেক গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করতে।
এসএন