মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মধ্যবিত্তরাও এখন টিসিবির লাইনে

‘প্রায় এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। জীবনে প্রথম আসা। তারপর ১৮ নম্বর সিরিয়াল (ক্রমিক নম্বর) পেয়ে আড়াইটায় পেলাম টিসিবির পেঁয়াজ, চিনি, তেল ও ডাল। ব্যাগে ভরে নিচ্ছি। কারণ অফিস হয়ে বাসায় যাব।’ প্রচণ্ড রোদে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকায় পিপাসা লেগেছে। তাই পানি পান করতে করতে এভাবেই ট্রাকসেলের পাশে বসে মনির হোসেন কম দামের পণ্য কেনার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানান। আর ৯৪ নম্বর সিরিয়াল পাওয়া শাহজাহান বলেন, ‘অনেক লম্বা লাইন। পাব তো? দোকান বন্ধ করে এসেছি। তেলের দাম এতো বেশি যে বাইরে কেনা সম্ভব না। তাই বাধ্য হয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছি।’ বেসিক ব্যাংকের মো. শহিদুল ইসলামেরও একই শঙ্কা। বলেন, প্রায় এক ঘণ্টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, শেষে পাব তো?

মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ট্রাকসেল থেকে টিসিবির পণ্য কিনতে শুধু এই তিন জনই নয়, সোমবার ( ৭ মার্চ) টিসিবির পণ্য পেতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ট্রাকসেলের একই দশা চোখে পড়ে। তবে ডিলাররা বলছেন, টিসিবি থেকে যা দেওয়া হয়েছে, তা শেষ হয়ে গেলে আমরা চলে যাব। আবার কালকে আসব। কেউ না পেলে আমাদের করার কিছু নেই।

সারা দেশে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপকভাবে বেড়েছে টিসিবির পণ্যের চাহিদা। মাঝপথে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সাত দিন বন্ধ থাকার পর রবিবার ( ৬ মার্চ) থেকে আবার শুরু হয়েছে পণ্য বিক্রি। কিন্তু দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে পণ্য পাচ্ছেন না। জীবনে প্রথমবারের মতো এসেও অনেকে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন।

সার্বিক ব্যাপারে জানতে চাইলে টিসিবির মুখপাত্র মো. হুমায়ন কবির ঢাকাপ্রকাশকে জানান, ‘সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সারাদেশে এক কোটি পরিবারকে এই নিত্যপণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাজারের চেয়ে টিসিবির পণ্যের অনেক কম দাম। তাই ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু আমাদের সিস্টেমে এসব পণ্য দেওয়া হচ্ছে। এর বেশি দেওয়া এ মুহূর্তে সম্ভব নয়।

লাইনে দাঁড়ানো মানুষদের হাতে সিরিয়ল দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা টিসিবি থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে বিশৃঙ্খলা এড়াতে হয়ত কোনো কোনো ডিলার এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন।’ এটা ভালো দিক উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘গত রোজার চেয়ে এবার তিন গুণ বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। আগে না থাকলেও এবার শুধু ঢাকা শহরের দুই সিটিতে ১৫০টি ট্রাকসেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর ঢাকার বাইরে জেলা প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী ডিলারের মাধ্যমে ৮৮ লাখ পরিবারকে তেল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

টিসিবি বলছে, সকাল ১০টার পর থেকেই নির্ধারিত স্থানে ১৫০টি ট্রাকসেলে ডিলাররা সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। গোডাউন থেকে মালামাল তুলে তারা বিক্রি করবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। সকাল ১০টা থেকে কম দামে কয়েকটি পণ্য নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ালেও দেখা মেলে না ট্রাকের। নিম্ন আয়ের সঙ্গে মধ্যবিত্তরাও অফিসের এক ফাঁকে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। তারপরও পাচ্ছেন না তেল, ডাল, চিনি পেঁয়াজ।

মতিঝিলের শাপলা চত্বরে বেসিক ব্যাংকের মো. শহিদুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘জীবনে এই প্রথম এসেছি। বাজারে চিনি, পেঁয়াজ, তেল, ডালের দাম অনেক বেড়ে গেছে। তাই কম দামে পাওয়ার আশায় লাইনে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাব কিনা শঙ্কায় আছি।’

একই কথা বলেন, রুপনগর থেকে আসা চায়ের দোকানদার শাহজাহান। তিনি বলেন, ‘বেশি দামে তেল কেনা সম্ভব নয়। তাই দোকান বন্ধ করে লাইনে দাঁড়িয়েছি। ৪৭ নম্বর সিরিয়াল পেয়েছি। পাইলে তো ভালো, না পেলে সব বরবাদ হয়ে যাবে।’

শুধু পুরুষই নয়, সময় বুঝে কম দামে পণ্য পেতে মহিলারাও দাঁড়াচ্ছেন লাইনে। কমলাপুর থেকে আসা তানজিলা আক্তার বলেন, ‘স্বামী বেকার। ২ ছেলে-মেয়ে রেখে কম দামে পাব বলে লাইনে দাঁড়িয়েছি। সামনে অনেক ভিড়। সিরিয়াল দিয়েও অনেকে উঁকি দিচ্ছেন। তাই ভয়ে আছি পাব কি না?

ঠিক সময়ে না আসার কথা স্বীকার করে শাপলা চত্বরে মিন্জু এন্টারপ্রাজের বিক্রয়কর্মী হাসান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, দুপুর ১টার সময় এসেছি। এটা সেটা করতে গিয়ে দেরি হয়ে গেছে। লাইনে অনেক মানুষ। সবাইকে দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। আবার কালকে আসব।’

কম দামে পণ্য পেতে প্রেসক্লাব, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড, কৃষি মার্কেটসহ বিভিন্ন জায়গায় একই চিত্র দেখা গেছে। সকাল ১০টা থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন ভোক্তারা। কিন্তু ঠিক সময়ে আসে না ট্রাক। কোথায়ও ১২টা, কোথায় আবার ১টার পর আসছে ট্রাক। এ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ হুড়োহুড়ি করছেন। অনেকে সিরিয়াল নম্বর নিয়েও চেষ্টা করছেন কীভাবে আগে নেওয়া যায়।

আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারকে দুবার করে কম দামের পণ্য দেওয়ার জন্য রবিবার থেকে (৬ মার্চ) ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করেছে টিসিবি। রাজধানীতে ১৫০টি ট্রাকে এই পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তালিকা করে ২৪ মার্চ পর্যন্ত চলবে। তবে শুক্রবার বন্ধ থাকবে। এরপর দুই দিন বন্ধ থাকার পর ২৭ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত আবারও এসব পণ্য বিক্রি করা হবে রাজধানীতে। আর ঢাকার বাইরে শুরু হবে ১৫ মার্চ থেকে।

টিসিবি জানায়, এবার একজন ভোক্তা ৩০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি পেঁয়াজ, ৫৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি করে চিনি, ১১০ টাকা দরে দুই লিটার তেল এবং ৬০ টাকা দরে এক কেজি মশুর ডাল কিনতে পারবেন। প্রতি ট্রাকে ৫০০ থেকে এক হাজার কেজি চিনি, ডাল, পেঁয়াজ বরাদ্দ দেওয়া হবে। এছাড়া সয়াবিন তেল ৫০০ থেকে এক হাজার লিটার বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ডিলারদের।

জেডএ/আরএ/

Header Ad

শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে হত্যা, গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর হেফাজত ইসলামের নেতা জুনায়েদ আল হাবিব এ অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ বিষয়ে মামলা হলে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এর আগে, মুফতি হারুন ইজহারের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক এমপি হাজী সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহমেদ, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, নির্মূল কমিটির সদস্য অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার ও এনএসআইয়ের মো. মনজুর আহমেদ।

Header Ad

এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ

ফাইল ছবি

জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছিনা, এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের উপরে মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কেন এ ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এটি জনগণের কাছে স্পষ্ট করা দরকার। তবে কোনো গণমাধ্যম অফিসে ভাঙচুর হলে সেটা সরকার দেখবে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, শুধুমাত্র ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দিয়ে সবকিছু উড়িয়ে দিতে চাই না। বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হবে। ক্ষোভ থেকে আন্দোলন হতে পারে। তবে আইন শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের পর্যায়ে গেলে সেটি দেখা হবে।

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সব ধরনের পরিবেশ নিশ্চিত করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তবে এটা কতটা বিকশিত হবে সে দায়িত্ব সাংবাদিকদের- এ কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সংবাদমাধ্যমে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার সুযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কম। এখানে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সংবাদকক্ষগুলোকে। তাৎক্ষণিক ভোল পাল্টানো সমাধান নয়, সত্য স্বীকারের মাধ্যমে জাতীয় পুনর্মিলন সম্ভব।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, জনগণ যেভাবে প্রত্যাশা করে সেভাবে গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছি না। এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে। আমরা চাই না, আগের আমলের মত পুলিশ জনতার বুকে গুলি চালাক। তবে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ অবশ্যই কঠোর হবে, সেভাবে পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন করা হচ্ছে।

মূলত বিশ্বের প্রতিটি বিপ্লবের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এরকম অবনতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, কোনো পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর করা, পত্রিকা বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করা সরকার সমর্থন করে না। এ ধরনের ঘটনা পরবর্তীতে ঘটলে টলারেট (সহ্য) করা হবে না।

তিনি আরও বলেন, দৈনিক প্রথম আলো নিয়ে একটি উত্তেজনা দেখতে পাচ্ছি কয়েক দিন ধরে। গতকালও এ রকম উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল অফিসের সামনে। আজকে রাজশাহীতে তাদের অফিসে ভাঙচুর হয়েছে এবং চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। আমাদের বক্তব্যটি হচ্ছে, কোনো গণমাধ্যম বা পত্রিকার বিরুদ্ধে যদি জনগণের কোনো অংশের অভিযোগ থাকে, ক্ষোভ থাকে, তারা সেটি প্রকাশ করতে পারে, তবে সেটি অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের আহ্বান থাকবে, ক্ষোভ থাকলে শান্তিপূর্ণভাবে যাতে প্রকাশ করে। মানুষের সভা সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তারা আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারে। আমরা আহ্বান জানাব, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে যেন জনগণ অংশ না নেয়। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, এমন কাজ থেকে যেন আমরা বিরত থাকি।

Header Ad

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধর্মের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তারপর দিবাগত রাত ১২টার বিশেষ স্কটে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয় রাখা হয়। ‌চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা রয়েছে। সে মামলায় তাকে আজ দুপুরে আদালতে তোলা হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। কয়েক দিন এই জোট আট দফা দাবিতে রংপুরে সমাবেশ করেছে।

পুনশ্চ, অন্যদিকে সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বহিষ্কার করেছে ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ সৌদির
লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি
ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি কমলো স্বর্ণের দাম
সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
গাজায় একদিনে ২৪ জন নিহত
৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি