মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আইসিবি-পদ্মা-বেসিক ব্যাংকের অর্ধেকের বেশি খেলাপি ঋণ

করোনার ধকল থেকে ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে মাত্র দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ নবায়নসহ বিভিন্নভাবে সুবিধা দিয়েছে সরকার। তারপরও লাগামহীন খেলাপি ঋণ। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতে মোট ঋণ স্থিতির ১৩ লাখ এক হাজার ৭৯৭ কোটি টাকার মধ্যে খেলাপি ঋণ হয়েছে এক লাখ তিন হাজার ২৭৩ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণ হয়েছে বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ৬৬২ কোটি টাকা বা ৭৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। কারণ এর মোট ঋণস্থিতি ৮৪৩ কোটি টাকা। আর নতুন প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংকের খেলাপি ৩ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা বা ৬৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। এর ঋণস্থিতি ৫ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা।

খেলাপি ঋণের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে বহু আলোচিত সরকারি বেসিক ব্যাংকের ৭ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা বা ৫৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। কারণ এর ঋণস্থিতি হলো ১৪ হাজার ২৩১ কোটি টাকা। বাংলাদেশ কর্মাস ব্যাংকের খেলাপি হয়েছে এক হাজার ৯৬ কোটি টাকা বা ৪৭ দশমিক ৬০ শতাংশ। এর ঋণস্থিতি হলো ২ হাজার ৩০২ কোটি টাকা। আর খেলাপির ৫ম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংক ৭২৮ কোটি টাকা বা ৩৬ শতাংশ। কারণ এর ঋণস্থিতি হলো ২ হাজার ৪৪ কোটি টাকা। এছাড়া বিদেশি ৯টি ব্যাংকের মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংক পাকিস্তানের খেলাপি ঋণ হয়েছে এক হাজার ৩৭২ কোটি টাকা বা ৯৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এর মোট ঋণস্থিতি হলো এক হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব না হওয়ায় মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

যোগাযোগ করা হলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আহসান এইচ মনসুর ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘সরকার সুযোগ দিলেও সরকারি ব্যাংকের মতো বেসরকারি ব্যাংকেরও খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এভাবে চলতে পারে না। সরকার ঠিকমতো কৌশল বের করতে পারেনি বলেই পদ্মা ব্যাংকেরও খেলাপি বাড়ছে। বেসরকারি পদ্মা ব্যাংকে বিনিয়োগ করে বাঁচার কৌশল ভুল ছিল। এতে সরকারেরই লোকসান হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে হয় কারো সঙ্গে মার্জ ( যুক্ত) করতে হবে না হলে বন্ধ করে দিতে হবে। এভাবে লোকসানে চলতে থাকা ব্যাংকের দরকার নেই।’

সূত্র মতে, খেলাপি ঋণের বিপরীতে আমানতকারীদের অর্থ সুরক্ষায় প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। কিন্তু তা পূরণ করতে পারেনি ৮টি ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর ওই সময়ে প্রভিশন ঘাটতি হয়েছে প্রায় সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের মার্চে করোনা শুরু হলে গত দুই বছর ধরে ঋণ আদায়ে নানাভাবে ছাড় দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যবসায়ীদের রক্ষা করতে ২০২০ সালের শুরু থেকেই মাত্র দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ নবায়নে ছাড় দেওয়া হয়। কারণ বিদ্যমান নীতিমালা ছিল, ঋণ নবায়ন করতে হলে বকেয়া ঋণের ১৫ শতাংশ এককালীন পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু এ নীতিমালা শিথিল করে ওই বছরের শুরু থেকে মাত্র দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে বিপুল অঙ্কের ঋণ নবায়ন করা হয়। এতে সুদহারের ওপর শিথিলতা আনা হয়। ঋণ আদায়ের ওপরই ঢালাও ছাড় দেওয়া হয়। এক টাকা পরিশোধ না করলেও খেলাপি ঋণ করা হবে না। এ সুবিধা দেওয়ায় গত ২০২০ সাল শেষে খেলাপি ঋণ বাড়েনি। বরং কমে বছর শেষে খেলাপি ঋণ কমে হয় ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। এরই ধারাবাহিকতায় বিদায়ী বছরেও (২০২১ সাল) ঋণ আদায়ের ওপর শিথিলতা ছিল। সর্বশেষ বলা হয়, মোট বকেয়া কিস্তির মাত্র ১৫ শতাংশ পরিশোধ করলে ঋণ নিয়মিত হয়ে যাবে। এসব সুবিধা দেওয়ার পরেও ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ কমেনি, বরং এক বছরে বেড়েছে ১৪ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শিথিলতা না থাকলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও বেড়ে যেত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত ডিসেম্বর শেষে ৬১টি ব্যাংকের মোট ঋণস্থিতি ছিল ১৩ লাখ এক হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ হয়েছে এক লাখ তিন হাজার ২৭৩ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। খেলাপি ঋণের মধ্যে ছয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকেরই ৪৪ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা, যা ব্যাংক ছয়টির মোট ঋণের ১৮.০৬ শতাংশ। তবে বরাবরই সরকারি ব্যাংকগুলোর চেয়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ কম ছিল। কিন্তু এবার তা বেড়ে হয়েছে ৪৩ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। তবে শতকরা হিসাবে সরকারি ব্যাংকগুলোর চেয়ে কম অর্থাৎ ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

এ দিকে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বেড়েছে মন্দ ঋণের পরিমাণ। এ আদায় অযোগ্য মন্দ ঋণ বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে ঝুঁকির পরিমাণ। এক লাখ তিন হাজার ২৭৩ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের মধ্যে ৯১ হাজার ৫৮ কোটি টাকাই মন্দ (ব্যাড) ঋণ, যা মোট খেলাপি ঋণের ৮৮.১৭ শতাংশ।

মন্দ ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোর প্রভিশন ঘাটতিও বেড়ে যাচ্ছে। সাধারণ গ্রাহকের আমানত সুরক্ষা রাখতে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের প্রকারভেদে ২০ শতাংশ থেকে শতভাগ প্রভিশন সংরক্ষণ করা হয়। এ প্রভিশন সংরক্ষণ করা হয় ব্যাংকগুলোর আয় থেকে অর্থ নিয়ে। কিন্তু ডিসেম্বর শেষে ৮ ব্যাংক তাদের আয় দিয়ে প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণ করতে পারেনি। এই ৮ ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি হয়েছে প্রায় সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তিন ব্যাংকেরই প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা। প্রভিশন ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় বেড়ে যাচ্ছে ঝুঁকির পরিমাণ।

বিদায়ী বছরে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা। কারণ গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ (সাবস্টান্ডার্ড, ডাউটফুল ও ব্যাড/লস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ তিন হাজার ২৭৩ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণের মধ্যে আদায় অযোগ্য মন্দ (ব্যাড/লস) ঋণ বেড়ে হয়েছে ৯১ হাজার ৫৮ কোটি টাকা, যা মোট খেলাপি ঋণের ৮৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।

জেডএ/আরএ/

Header Ad

শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে হত্যা, গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর হেফাজত ইসলামের নেতা জুনায়েদ আল হাবিব এ অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ বিষয়ে মামলা হলে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এর আগে, মুফতি হারুন ইজহারের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক এমপি হাজী সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহমেদ, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, নির্মূল কমিটির সদস্য অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার ও এনএসআইয়ের মো. মনজুর আহমেদ।

Header Ad

এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ

ফাইল ছবি

জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছিনা, এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের উপরে মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কেন এ ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এটি জনগণের কাছে স্পষ্ট করা দরকার। তবে কোনো গণমাধ্যম অফিসে ভাঙচুর হলে সেটা সরকার দেখবে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, শুধুমাত্র ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দিয়ে সবকিছু উড়িয়ে দিতে চাই না। বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হবে। ক্ষোভ থেকে আন্দোলন হতে পারে। তবে আইন শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের পর্যায়ে গেলে সেটি দেখা হবে।

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সব ধরনের পরিবেশ নিশ্চিত করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তবে এটা কতটা বিকশিত হবে সে দায়িত্ব সাংবাদিকদের- এ কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সংবাদমাধ্যমে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার সুযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কম। এখানে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সংবাদকক্ষগুলোকে। তাৎক্ষণিক ভোল পাল্টানো সমাধান নয়, সত্য স্বীকারের মাধ্যমে জাতীয় পুনর্মিলন সম্ভব।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, জনগণ যেভাবে প্রত্যাশা করে সেভাবে গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছি না। এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে। আমরা চাই না, আগের আমলের মত পুলিশ জনতার বুকে গুলি চালাক। তবে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ অবশ্যই কঠোর হবে, সেভাবে পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন করা হচ্ছে।

মূলত বিশ্বের প্রতিটি বিপ্লবের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এরকম অবনতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, কোনো পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর করা, পত্রিকা বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করা সরকার সমর্থন করে না। এ ধরনের ঘটনা পরবর্তীতে ঘটলে টলারেট (সহ্য) করা হবে না।

তিনি আরও বলেন, দৈনিক প্রথম আলো নিয়ে একটি উত্তেজনা দেখতে পাচ্ছি কয়েক দিন ধরে। গতকালও এ রকম উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল অফিসের সামনে। আজকে রাজশাহীতে তাদের অফিসে ভাঙচুর হয়েছে এবং চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। আমাদের বক্তব্যটি হচ্ছে, কোনো গণমাধ্যম বা পত্রিকার বিরুদ্ধে যদি জনগণের কোনো অংশের অভিযোগ থাকে, ক্ষোভ থাকে, তারা সেটি প্রকাশ করতে পারে, তবে সেটি অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের আহ্বান থাকবে, ক্ষোভ থাকলে শান্তিপূর্ণভাবে যাতে প্রকাশ করে। মানুষের সভা সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তারা আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারে। আমরা আহ্বান জানাব, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে যেন জনগণ অংশ না নেয়। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, এমন কাজ থেকে যেন আমরা বিরত থাকি।

Header Ad

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধর্মের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তারপর দিবাগত রাত ১২টার বিশেষ স্কটে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয় রাখা হয়। ‌চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা রয়েছে। সে মামলায় তাকে আজ দুপুরে আদালতে তোলা হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। কয়েক দিন এই জোট আট দফা দাবিতে রংপুরে সমাবেশ করেছে।

পুনশ্চ, অন্যদিকে সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বহিষ্কার করেছে ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ সৌদির
লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি
ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি কমলো স্বর্ণের দাম
সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
গাজায় একদিনে ২৪ জন নিহত
৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি