মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘আমি ব্যবসায়ী সন্দেহ নেই, কিন্তু এ ধরনের ব্যবসা আমি করি না’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘দেখেন আমি তো ব্যবসায়ী। তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমার চরিত্র , আমার পরিচয় তো বদলানো যাবে না। কিন্তু এ ধরনের ব্যবসা আমি করি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যা করি তা সরকারের সঙ্গে...আমি অ্যাবসুলেটলি গার্মেন্টস পণ্য এক্সপোর্ট করি। দ্যাট’স মাই বিজনেস। তবে এটুক যখন দেখছেন সঙ্গে এটাও বলেন যে ৫১ মিলিয়ন ডলারের টার্গেট ফিক্সআপ করছি, সেটা অর্জন করতে যাচ্ছি। সে সফলতার কথাও বলেন। শুধুমাত্র এইটা বলবেন, ওইটা বলবেন না এটা কিন্তু ঠিক হবে না।’

রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে ঢাকাপ্রকাশের প্রশ্ন ছিল সাধারণ মানুষ বলছেন বাণিজ্যমন্ত্রী একজন ব্যবসায়ী। এ কারণে তিনি সব সময় ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখছেন, তিনি জনমানুষের স্বার্থ দেখছেন না। জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তেলের ব্যাপারটা আপনারা সবাই জানেন যে, আন্তর্জাতিক বাজারে যেটা ছিল আজ থেকে এক বছর আগে এখন সেটা ডাবলেরও বেশি। এখন যদি আমরা না বাড়াই বা বাড়তে পারবে না বলি তাহলে তারা (ব্যবসায়ীরা) ইমপোর্ট করবে না। আর ইমপোর্ট যদি না করে তাহলে আরও বড় ক্রাইসিস হয়ে যাবে। এখন সত্যি কথা যে মানুষের তো কষ্ট হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তো সেটা বেড়ে যাওয়ার কারণে আমাদের তো কোনো পথ নেই।’

আপনি বললেন দাম না বাড়ালে ব্যবসায়ীরা যদি ইমপোর্ট বন্ধ করে দেয় তাহলে কী হবে? প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে ব্যবসায়ীরা কি সরকার থেকে শক্তিশালী?

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কখনো না। সরকার থেকে শক্তিশালী হবে কেন। সরকার তো ব্যবসা করে না। ব্যবসায়ীরাই ব্যবসা করবেন। আমরা দেখব যেটা সেটা হচ্ছে তাদের প্রাইস যথার্থ কি না। সেটা আমরা চেষ্টা করি। তারপরও যে কোথাও না কোথাও ব্যত্যয় হচ্ছেনা তা কিন্ত নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব, ভোক্তা অধিকারসহ সরকারি সংস্থা দিয়ে সেটা কন্ট্রোল করা। আর সরকার নিজে এসে বাজারে বিক্রি করবে তাতো সম্ভব নয়। তারপরও সরকার টিসিবির মাধ্যমে দিচ্ছে। সেটা কিন্তু সরকার ইমপোর্ট করছে। ভুর্তুকি দিয়ে দিচ্ছে।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে। আমাদের দেখা দরকার সে ন্যায্য ব্যবসা করছে কি না। ব্যবসায়ীরা দেখে যদি সে এনে লোকসান করবে তাহলে তো তাকে দিয়ে আমরা ব্যবসা করাতে পারব না। তারা তাদের লাভ নেবে। সেটা রিজনেবল কি না, আমাদের দেখার বিষয়। অসাহায়ত্বের কোনো ব্যাপার নয়।’

ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণের পর দিনই নতুন দামের ট্যাগ লাগানো তেল বাজারে গেল, সেটা কীভাবে গেল?

এমন প্রশ্নর জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেখেন একটা বিষয় বলি। এই ব্যবসায়ীরা আরও ১৫ দিন আগে তেলের দাম বাড়ানোর জন্য আমাদেরকে চাপ দিচ্ছিল। আমরা কিন্তু বাড়াইনি। আমি বলছি বাড়াব না। কিন্তু তারা এই দাম মাথায় রেখে নিজেরা সেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু আমরা বলেছি যত লেভেলই লাগান না কেন, দাম ফিক্সড করার আগে এই দামে বিক্রি করতে পারবেন না। এঁরা ১৫ দিন আগে দাম বাড়িয়ে রেখে দিয়েছিল।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘আমরা যেটা পারি, পারছি বা চেষ্টা করছি সেটা হল সরকারের তরফ থেকে সাবসিডাইস (ভুর্তুকি) দিয়ে সাধারণ মানুষেকে পণ্য দেওয়া হচ্ছে। আমরা চিন্তা করেছিলাম যে, চারশ ট্রাকে টিসিবির মাধ্যমে সারাদেশে নিত্যপণ্য দিচ্ছি সেটা দরকার হলে ৮০০ ট্রাক করে দেব।

এরপর আমরা চিন্তা করলাম রমজান মাস সামনে রেখে ৫০ লাখ মানুষকে দেওযা যায় কি না। সেটা অবশ্য ট্রাকের মাধ্যমে নয়। আমাদের তৃণমূলে যে সরকার আগে যাদের আড়াই হাজার করে টাকা দিয়েছিল তাদের কাছে পৌঁছে দেব। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ৫০ লাখ নয়, এক কোটি মানুষকে সেটা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। সরকারিভাবে আমরা চেষ্টা করছি রমজান মাসকে সামনে রেখে সেই এক কোটি মানুষকে নিত্য পণ্য দেব সাশ্রয়ী মূল্যে।

এক কোটি মানুষের কাছে কিভাবে সেটা পৌঁছে দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেকানিজমটা হচ্ছে আগের সিস্টেমটা তো আছে। আগে যেভাবে আমরা টাকা পাঠিয়েছি সেই লিস্টটা তো আছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিটা ইউনিয়নে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য পাঠানো হবে। সেখান থেকে তারা কালেক্ট করে নিবে।

বর্তমানে যে চারটি পণ্য দেওয়া হচ্ছে তার সঙ্গে আরও দুটি পণ্য যোগ হবে। এগুলো হচ্ছে-তেল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ। এরসঙ্গে যুক্ত হবে খেজুর ও ছোলা।

কি পরিমান পণ্য দেবেন-এমন প্রশ্নের জবাব বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এখন যেভাবে দেওযা হচ্ছে সেই পরিমানই দেওয়া হবে। তবে ১৫ দিন পর পর মাসে দুই বার দেওয়া হবে।

পেঁয়াজের দাম একদিনে কেন ২৫ টাকা বাড়ল কেন এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যদি উল্টো প্রশ্নটা করি পেঁয়াজের দাম ২৫ টাকা হয়ে গেল কেন?’

কৃষকরা বলছে, তারা কিন্তু পেঁয়াজ রাস্তায় ফেলে দেবে। ‘এটা সাপ্লাই এর ব্যাপার... এটা কাঁচামাল তো বুঝতে হবে ট্রান্সপোর্ট কোনো কারণে বন্ধ থাকে, দুইদিন যদি মাল না আসতে পারে কাঁচামালের দাম কিন্তু বেড়ে যাবে।’

‘আমাদের একটা কষ্ট কৃষি মন্ত্রণালয় দিয়েছে যে, প্রতি কেজিতে ১৮ থেকে ২০ টাকা কৃষকদের খরচ জায়গা ভেদে। অন্তত ২৫ টাকা দরে তাদেরকে বিক্রি করতে হবে। ২৫ টাকা দরে যদি কৃষকরা কুষ্টিয়া, রাজবাড়ি বা ফরিদপুরে বিক্রি করে তাহলে হাত ঘুরে সেটা ঢাকায় এসে ৪০ টাকা হবে। এখন সেটা কমে গিয়ে যখন ঢাকাতে ২৫ টাকা হয়েছিল তখন কৃষিমন্ত্রী আমাকে বললেন, আমরা সমস্ত ইমপোর্ট বন্ধ করে দেব, কৃষকরা তো কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে। এইটা হচ্ছে গিয়ে আমাদের সমস্যা।

তিনি বলেন, ‘যখন কমে যায় তখন কৃষকরা বলে আমাদের কী হবে? আবার যখন বেড়ে যায় তখন ভোক্তারা বলে আমাদের দাম বেড়ে গেছে। তবে হঠাৎ করে যে অন্যায্য দাম বেড়ে যায় সেটা ঠিক নয়।’

এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad

শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে হত্যা, গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর হেফাজত ইসলামের নেতা জুনায়েদ আল হাবিব এ অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ বিষয়ে মামলা হলে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এর আগে, মুফতি হারুন ইজহারের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক এমপি হাজী সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহমেদ, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, নির্মূল কমিটির সদস্য অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার ও এনএসআইয়ের মো. মনজুর আহমেদ।

Header Ad

এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ

ফাইল ছবি

জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছিনা, এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের উপরে মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কেন এ ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এটি জনগণের কাছে স্পষ্ট করা দরকার। তবে কোনো গণমাধ্যম অফিসে ভাঙচুর হলে সেটা সরকার দেখবে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, শুধুমাত্র ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দিয়ে সবকিছু উড়িয়ে দিতে চাই না। বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হবে। ক্ষোভ থেকে আন্দোলন হতে পারে। তবে আইন শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের পর্যায়ে গেলে সেটি দেখা হবে।

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সব ধরনের পরিবেশ নিশ্চিত করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তবে এটা কতটা বিকশিত হবে সে দায়িত্ব সাংবাদিকদের- এ কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সংবাদমাধ্যমে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার সুযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কম। এখানে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সংবাদকক্ষগুলোকে। তাৎক্ষণিক ভোল পাল্টানো সমাধান নয়, সত্য স্বীকারের মাধ্যমে জাতীয় পুনর্মিলন সম্ভব।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, জনগণ যেভাবে প্রত্যাশা করে সেভাবে গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছি না। এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে। আমরা চাই না, আগের আমলের মত পুলিশ জনতার বুকে গুলি চালাক। তবে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ অবশ্যই কঠোর হবে, সেভাবে পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন করা হচ্ছে।

মূলত বিশ্বের প্রতিটি বিপ্লবের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এরকম অবনতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, কোনো পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর করা, পত্রিকা বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করা সরকার সমর্থন করে না। এ ধরনের ঘটনা পরবর্তীতে ঘটলে টলারেট (সহ্য) করা হবে না।

তিনি আরও বলেন, দৈনিক প্রথম আলো নিয়ে একটি উত্তেজনা দেখতে পাচ্ছি কয়েক দিন ধরে। গতকালও এ রকম উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল অফিসের সামনে। আজকে রাজশাহীতে তাদের অফিসে ভাঙচুর হয়েছে এবং চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। আমাদের বক্তব্যটি হচ্ছে, কোনো গণমাধ্যম বা পত্রিকার বিরুদ্ধে যদি জনগণের কোনো অংশের অভিযোগ থাকে, ক্ষোভ থাকে, তারা সেটি প্রকাশ করতে পারে, তবে সেটি অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের আহ্বান থাকবে, ক্ষোভ থাকলে শান্তিপূর্ণভাবে যাতে প্রকাশ করে। মানুষের সভা সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তারা আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারে। আমরা আহ্বান জানাব, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে যেন জনগণ অংশ না নেয়। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, এমন কাজ থেকে যেন আমরা বিরত থাকি।

Header Ad

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধর্মের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তারপর দিবাগত রাত ১২টার বিশেষ স্কটে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয় রাখা হয়। ‌চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা রয়েছে। সে মামলায় তাকে আজ দুপুরে আদালতে তোলা হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। কয়েক দিন এই জোট আট দফা দাবিতে রংপুরে সমাবেশ করেছে।

পুনশ্চ, অন্যদিকে সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বহিষ্কার করেছে ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ সৌদির
লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি
ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি কমলো স্বর্ণের দাম
সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
গাজায় একদিনে ২৪ জন নিহত
৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি