শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানি শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার

ছবি: সংগৃহীত

চালের মজুত বাড়ানো এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার চাল আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, কাস্টমস আইন, ২০২৩ (৫৭ নং আইন) এর ধারা ২৫-এর উপ-ধারা (১) অনুযায়ী, এনবিআরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে জনস্বার্থে সিদ্ধ চাল এবং সিদ্ধ ছাড়া আতপ চাল আমদানির ক্ষেত্রে সকল কাস্টমস শুল্ক এবং রেগুলেটরি শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, ২০ অক্টোবর এনবিআর চালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, রেগুলেটরি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনে এবং আগাম কর ৫ শতাংশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে।

তবে ২৯ অক্টোবর, চাল উৎপাদনে বন্যার নেতিবাচক প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে চালের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন চাল আমদানির ওপর প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহারের সুপারিশ করে। কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে চাল উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় আসন্ন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চালের সরবরাহে সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুল্ক প্রত্যাহারের মাধ্যমে আমদানির পরিমাণ বাড়ানো হলে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে, পাশাপাশি এটি স্থানীয় চাষিদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।

সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে চালের বাজারে স্বস্তি ফেরার আশা করছে সাধারণ মানুষ।

Header Ad

পাঠ্যবইয়ে ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ জিয়াউর রহমান, যুক্ত হচ্ছে সাঈদ-মুগ্ধের অবদান

ছবি: সংগৃহীত

৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা। পাশাপাশি অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে ১৯৯০-এর গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ছাত্রনেতা আবু সাঈদ ও মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের অবদান। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, ইতোমধ্যে বইয়ের পরিমার্জনের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে, যা আগামী সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে।

পূর্বের শেখ হাসিনা সরকারের টানা তিন মেয়াদের শাসনামলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের একতরফা উপস্থাপনের অভিযোগ করেছেন ইতিহাসবিদরা। তাদের মতে, স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা বহু বীরকে যথাযথ সম্মান দেওয়া হয়নি। তবে সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পাঠ্যবইয়ের পরিমার্জন প্রক্রিয়া শুরু হয়।

পরিমার্জনের খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রথমবার স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। পরের দিন ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে তিনি পুনরায় স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে তাজউদ্দিন আহমেদ, মাওলানা ভাসানীসহ মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা অন্যান্য নেতার ভূমিকাও এই বইয়ে তুলে ধরা হবে।

এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান বলেন, “বহু গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তিত্বদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। আবার অনেকের অতি মূল্যায়ন হয়েছে। প্রকৃত ইতিহাস সঠিকভাবে উপস্থাপন করতেই এই পরিমার্জন।”

এছাড়া মাধ্যমিকের বাংলা সাহিত্য বইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ ও মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের অবদানও অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। নতুন সংস্করণের কিছু বইয়ের প্রচ্ছদে এবং কিছু অংশে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের গ্রাফিতি বা দেয়ালচিত্রও স্থান পাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান আরও বলেন, “আমাদের পরিমার্জনের কাজ প্রায় শেষ। এখন শুধু কিছু সামান্য ঘষামাজা চলছে, যা ৭ নভেম্বরের মধ্যে শেষ হবে।”

শিক্ষা গবেষকরা বলেছেন, পাঠ্যবইয়ের পরিমার্জনে বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ত করা জরুরি, যাতে ইতিহাস সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, “ইতিহাসের প্রকৃত রূপ চর্চাকারী ও গবেষকদের মাধ্যমে এ কাজটি করানো উচিত, যেন সত্যিকার ইতিহাস তুলে ধরা যায়।”

নতুন সংস্করণে পাঠ্যবইয়ের শেষের পাতায় থাকা শেখ হাসিনার ছবি ও উদ্ধৃতিগুলো বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিবর্তে সেখানে চিরন্তন কিছু বাণী সংযোজন করা হচ্ছে।

Header Ad

কাকরাইল ও আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করল ডিএমপি

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কাকরাইল ও এর আশপাশের এলাকায় যে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা বা বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে জনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সম্ভাব্য সংঘাত এড়াতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্সের (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) ২৯ ধারার আওতায় আগামীকাল শনিবার (২ নভেম্বর) থেকে কাকরাইলের পাইওনিয়ার রোড এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় যে কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল ও বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ থাকবে।

গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয় সংলগ্ন বিজয়নগর এলাকায় ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা’ মশাল মিছিল করে। এ সময় মিছিলকারীদের সাথে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। এতে পাইওনিয়ার রোডে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এ পরিস্থিতির মধ্যে শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুর ২টায় কাকরাইলে মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় পার্টি। দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ নেতাদের নামে ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। একই সময় ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা’ তাদের গণপ্রতিরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়।

উদ্বেগজনক এ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ডিএমপি এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

Header Ad

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের জন্মদিন উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের জন্মদিনে নেতা-কর্মীদের ভালোবাসায় ভাসলেন। ছবি: সংগৃহীত

১ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের জন্মদিন উপলক্ষে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের উপস্থিতিতে উদযাপনমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ উপলক্ষে স্থানীয় বিএনপি কর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা ও নানা আয়োজনের মাধ্যমে তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।

সকালে স্থানীয় এক মিলনায়তনে নেতা-কর্মীরা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ফুল দিয়ে বরণ করেন। তাঁরা বলেন, “গয়েশ্বর ভাই আমাদের মা, মাটি ও মানুষের নেতা। তিনি সব সময় জনগণের পক্ষে কথা বলেন এবং তাদের সমস্যা সমাধানে কাজ করে চলেছেন।” জন্মদিন উদযাপনে কেক কাটার পাশাপাশি গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের রাজনৈতিক অবদান ও জীবনের উপর আলোকপাত করা হয়। নেতা-কর্মীরা তাঁর দীর্ঘায়ু ও সফল রাজনৈতিক জীবনের জন্য দোয়া করেন।

বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির এই প্রবীণ সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন অন্যতম বিশিষ্ট নেতা। তিনি ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১৯৫১ সালের ১ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম জ্ঞানেন্দ্র চন্দ্র রায় এবং মাতার নাম সুমতি রায়। ছাত্রজীবন থেকেই প্রগতিশীল রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে তিনি দেশের রাজনীতিতে অবদান রেখে চলেছেন।

১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি এই সংগঠনে যোগ দেন এবং পরবর্তীতে যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি টেকনোক্র্যাট কোটায় তৎকালীন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরবর্তীতে তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত হন।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৩ আসন থেকে তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ৭৮,৮১০ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের নসরুল হামিদের কাছে পরাজিত হন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে পুনরায় তিনি বিএনপির মনোনয়ন লাভ করেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের জন্মদিনে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ প্রমাণ করে, তিনি জনগণের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করেছেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাঠ্যবইয়ে ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ জিয়াউর রহমান, যুক্ত হচ্ছে সাঈদ-মুগ্ধের অবদান
কাকরাইল ও আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করল ডিএমপি
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের জন্মদিন উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত
ঢাকায় আবার ভিসা সেন্টার চালুর পরিকল্পনা জানালো অস্ট্রেলিয়া
মেট্রোরেলের এমআরটি পাস রেজিস্ট্রেশন বন্ধ
বাসায় ঢুকে লুটপাটের চেষ্টা, গ্রেপ্তার ১৩
চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানি শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার
যে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের জরুরি সতর্কতা জারি
পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে রবিবার থেকে অভিযান
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় ১৯ ভারতীয় প্রতিষ্ঠান, ২ নাগরিক অভিযুক্ত
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছে আদানি
বাজারে শীতকালীন সবজি, কমেছে দাম
বিএনপি কেন চুপ্পুকে রাখতে চায় যুক্তি খুঁজে পাই না: ফরহাদ মজহার
লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৫২ বাংলাদেশি
আওয়ামী সরকারের কোনো অপকর্মে জড়িত ছিলাম না: জি এম কাদের
আজ থেকে কাঁচাবাজারেও নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ
এবার ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালানোর নির্দেশ খামেনির
বিশ্বজয়ী হাফেজ মুয়াজ মাহমুদকে ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা
জুমার দিন ভুলেও যে পাঁচটি কাজ করা যাবে না
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মসজিদের ইমাম ও সেনা সদস্য নিহত