মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পাঁচ বছরে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ: সিপিডি

ছবি: সংগৃহীত

২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে পাঁচ বছর ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ। একই সময়ে মিনিকেট চালের দাম ১৭ শতাংশ ও পাইজামের দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ।

রোববার (২ জুন) গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২৩-২৪: তৃতীয় অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারা সরকারের জন্য বড় ধরনের ব্যর্থতা। ২০১৯ সাল থেকে খাদ্যমূল্য বিবেচনা করলে মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিক। আয় কম, কিন্তু খাবারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হয়। ধনী ও গরিবের মধ্যে বৈষম্য বেড়েছে। গরিবের আয় বাড়েনি। জিডিপিতে জাতীয় আয় বাড়ছে। কিন্তু কর্মসংস্থানের ভূমিকা রাখতে পারছে না।

গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, মূল্যস্ফীতিতে আমরা ৯ ও ১০ শতাংশে অবস্থান করছি। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার চেয়েও বেশি।

তিনি জানান, তাদের পর্যালোচনা দেখা গেছে, গত ৫ বছরে মসুর ডাল ৯৫, আটা ৪০-৫৪, ময়দা ৬০, খোলা সয়াবিন ৮৪, বোতলজাত সয়াবিন ৫৬ ও পামওয়েলে দাম ১০৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গরুর মাংসের দামও বেশি। ব্রয়লার মুরগি ৬০ ভাগ, চিনির ১৫২ ভাগ, গুঁড়া দুধ ৪৬-৮০, পেঁয়াজ ১৬৪, রসুন ৩১০ ও শুকনা মরিচের দাম ১০৫ ভাগ বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ হয়েও বিলাসী দেশে পরিণত হয়েছে। আমরা আয় করি কম। কিন্তু খাবারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হয়, যার ভুক্তভোগী গরিব ও সাধারণ মানুষ।

ধনী ও গরিবের বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে মাথাপিছু অভ্যন্তরীণ আয় ২৬৭৫ মার্কিন ডলার, আর মাথাপিছু জাতীয় আয় ২৭৮৪ ডলার। মাথাপিছু গড় আয় যতটুকু পেয়েছি, মূলত উচ্চ আয় যারা করেন তাদের কারণে। গরিব মানুষদের কথা বিবেচনা করলে তাদের আয় কমে গেছে। এখানে বৈষম্য বেড়েছে। তাদের উন্নতি হয়নি। বেসরকারি বিনিয়োগ দেখা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে সরকারের নেওয়া অতিরিক্ত ঋণ একটি বড় কারণ। বিষয়টি সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সরকারের যে সাড়ে ৭ শতাংশ বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা তা অর্জিত হবে না বলে মনে করছি।

Header Ad
Header Ad

ঢাবি থেকে সাত কলেজকে আলাদা করতে কমিশন ও শিক্ষার্থীদের বৈঠক বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজকে আলাদা করে তাদের জন্য স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা তৈরি করতে উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে সরকার। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আগামীকাল (৮ জানুয়ারি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একটি পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভাটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিআরইএন) কনফারেন্স রুমে দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটির সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ মনোনীত বিভিন্ন বর্ষের ও অনুষদের ন্যূনতম ১০ থেকে ২০ জন ছাত্র প্রতিনিধি সভায় অংশ নেবেন। সভার মূল উদ্দেশ্য হলো সাত কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে তাদের স্বতন্ত্র সত্ত্বা বজায় রেখে একটি নতুন কাঠামো গড়ে তোলা এবং এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণ করা।

গত ডিসেম্বর মাসে সরকার চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন ইউজিসির চেয়ারম্যান। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য এবং ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. তানজিমউদ্দিন খান। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সাত কলেজের কার্যক্রম আরও কার্যকর ও স্বতন্ত্রভাবে পরিচালনার পথ সুগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ৯৮ কোটি টাকার অনুদান সংগ্রহ

ছবি: সংগৃহীত

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে এখন পর্যন্ত ৯৮ কোটি ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ২০৩ টাকা অনুদান জমা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে ২৩৮টি চেক, পে-অর্ডার এবং ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে এ অনুদান গ্রহণ করেছেন।

মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক, অস্ট্রেলিয়ার অল ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকার একটি চেক গ্রহণ করেন।

চেক গ্রহণের সময় উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অস্ট্রেলিয়ান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানান।

ত্রাণ তহবিলে উল্লেখযোগ্য এ অনুদান দেশের বন্যা দুর্গত মানুষের পুনর্বাসন ও সাহায্য কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেছেন।

Header Ad
Header Ad

এবার শাহীনকে ধরা হলো বিমানবন্দরে! আদালতে সোপর্দ

ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালানোর অভিযোগে আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা মো. শাহীন আলমকে বিদেশ পালানোর চেষ্টা করার সময় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে সৌদি আরবে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। এর পর লক্ষ্মীপুর সদর থানার কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

শাহীন আলম লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন এবং সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে।

গত ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় শাহীন আলম এজাহারভুক্ত আসামি। সেদিনের হামলায় চার শিক্ষার্থী নিহত এবং দুই শতাধিক আহত হন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে শাহীনকে অস্ত্র হাতে গুলি চালাতে দেখা যায়।

লক্ষ্মীপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ঝলক মোহম্ত জানান, শাহীন আলমের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশনে আগেই সতর্কবার্তা পাঠানো ছিল। এ কারণে বিদেশে পালানোর চেষ্টার সময় তাকে আটক করা সম্ভব হয়।

৪ আগস্টের ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের মাদাম ব্রিজ এবং তমিজ মার্কেট এলাকায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। সেদিনের ঘটনায় দায়ের করা মামলাগুলোতে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বহু নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে বহুল আলোচিত এ মামলায় এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ঘটল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাবি থেকে সাত কলেজকে আলাদা করতে কমিশন ও শিক্ষার্থীদের বৈঠক বুধবার
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ৯৮ কোটি টাকার অনুদান সংগ্রহ
এবার শাহীনকে ধরা হলো বিমানবন্দরে! আদালতে সোপর্দ
হৃদয়-মেয়ার্সের জুটিতে বরিশালের সহজ জয়
‘ফিরোজা’ থেকে বিমানবন্দরের পথে খালেদা জিয়া
কানাডার অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে তাঁদের দেশকে দেখতে চান: ট্রাম্প
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল
পাঁচদশক আড়ালে থাকা মেজর ডালিম বাংলাদেশে ফিরছেন!
সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই মৃদুল গ্রেপ্তার
জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ন্যায়বিচার দেখতে চান প্রধান বিচারপতি
আবারও বাড়বে শীতের দাপট, ঘন কুয়াশার সঙ্গে থাকবে ঠাণ্ডা বাতাস
পরিবারসহ নাফিজ সারাফতের বাড়ি, জমি ও ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ
শিবগঞ্জ-মালদা সীমান্তে কাঁটাতার দেয়া নিয়ে বিজিবি-বিএসএফের উত্তেজনা
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত: দায় নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা পরিবহনমন্ত্রীর
ভারতের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৯০ বাংলাদেশি চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন
টাঙ্গাইলে রাতের আঁধারে গুড়িয়ে দেওয়া হলো বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল (ভিডিও)
রোজার আগে পণ্যে শুল্ক আরোপ করা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
ভারতের দখল থেকে কোদলা নদীর ৫ কিলোমিটার উদ্ধার করল বিজিবি
রাতেই লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, বিমানবন্দরে পাবেন ভিআইপি প্রটোকল
হাসিনার বিশেষ সহকারী শিখর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা