সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঈদের আগেই মসলার বাজার গরম, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অযুহাত ব্যবসায়ীদের

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদের বাকি আছে আর এক মাস। পুরো বছরের তুলনায় এই সময় মশলার চাহিদা বেশি থাকে। আর এর মধ্যেই মসলার বাজার ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে এলাচির দাম বাড়ছে লাফিয়ে। এছাড়া অন্যান্য মসলার মধ্যে জিরা, দারুচিনি, লবঙ্গ, ধনিয়া, শুকনা মরিচ ও হলুদের দামও গত বছরের তুলনায় বাড়তি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মসলার দাম বৃদ্ধি ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আমদানি করা সব ধরনের মসলার দাম। তবে বাজার অস্থিতিশীল বলা যাবে না।

শনিবার (১৯ মে) দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি মসলার বাজার পুরান ঢাকার মৌলভীবাজার ও কয়েকটি খুচরা বাজার সরেজমিনে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেড় থেকে দুই মাসের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে এলাচির দাম। দুই মাস আগে প্রতিকেজি এলাচির দাম ছিল ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা। খুচরায় এখন তা বেড়ে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। তবে গত বছরের তুলনায় এলাচির দাম বেড়েছে ৬০ শতাংশের বেশি। জিরার দাম ছয় মাস আগে আরও বেশি ছিল। তখন প্রতিকেজি জিরার দাম হাজার টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে কিছুটা কমে পাইকারিতে ৭২০ টাকা, খুচরায় ৮২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে বছর দুয়েক আগেও ঢাকার বাজারে প্রতিকেজি জিরার দাম ছিল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। সেই পরিস্থিতিতে ফেরার মতো অবস্থা এখনো হয়নি।

এদিকে বাজারে হলুদ ও শুকনা মরিচের মতো পণ্যের দামও গত বছরের তুলনায় বাড়তি। এ দুটি মসলাজাতীয় পণ্য দেশেও কিছুটা উৎপাদন হয়। তাই পণ্য দুটির বাজার পুরোপুরি আমদানিনির্ভর বলা যাবে না। দেশে উৎপাদিত হলেও হলুদ ও শুকনা মরিচ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আমদানি হয় বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

মৌলভীবাজারে প্রতিকেজি জিরা ৬৩০ থেকে ৭২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা ১৫ দিন আগেও ছিল ৫৮০ থেকে ৬২০ টাকা। এলাচ প্রতিকেজি ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা, যা রোজার আগে ছিল ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা কেজি। দারচিনি ১০ কেজির কাটন ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৮০০ টাকা। সে হিসেবে প্রতিকেজি ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা। গত কয়েক মাস ধরে দাম একই রয়েছে। দুই মাস আগে প্রতিকেজি গোলমরিচের দাম ছিল ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৬০ থেকে ৮২০ টাকা কেজি। লবঙ্গ প্রতিকেজি ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে কমে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এটার দাম কমেছে।

এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতিকেজি ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকা। এক মাস আগে যেটা কেজিতে ২০ টাকা করে কম ছিল। আস্তো হলুদ প্রতিকেজি ২৬০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা দুই মাস আগে ছিল ২২০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি। ধনিয়া প্রতিকেজি ২৪০ টাকা থেকে কমে ১৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি আদা ২১০ থেকে ২৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাস আগেও ছিল ১৬৫ থেকে ১৮০ টাকা। রসুন প্রতিকেজি ১৬০ থেকে ১৮২ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি। পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৪ থেকে ৭০ টাকা কেজি।

এদিকে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি জিরা ৮০০ টাকা, এলাচ ৩ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকা, দারচিনি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, গোলমরিচ ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা, শুকনা মরিচ ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, আস্তো হলুদ ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকা, ধনিয়া ২৪০ টাকা, আদা ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, রসুন ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা ও পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ভারতসহ যে-সব দেশ মসলাজাতীয় পণ্য রপ্তানি করে সেখানে খরার কারণে উৎপাদন কম হয়েছে। ফলে সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। একইসঙ্গে ডলারের দাম দিন দিন বাড়ছেই। যেহেতু মসলা আমাদের আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। তাই ডলারের দামের সঙ্গে পণ্যের দামও ওঠানামা করে। মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে এলাচ, জিরা, গোলমরিচের। অন্যান্য পণ্য সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। সামনে কোরবানির ঈদ মসলার চাহিদা বেড়ে যাবে। এদিকে আমদানি খরচও বেড়েছে সেই প্রভাব দেশের বাজারে পড়েছে। যদি শুল্কায়নের ক্ষেত্রে বছরব্যাপী একই নীতি অনুসরণ করা যায়, তাহলে মসলার বাজার আরও স্থিতিশীল হবে বলে মনে করেন এ ব্যবসায়ী নেতা।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরের তালিকা অনুযায়ী, ছোট আকারের এলাচির খুচরা দাম কেজি প্রতি ৩ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা। এক বছর আগে (গত কোরবানির ঈদ বাজারে) ছিল ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে বাজারে এলাচির দাম বেড়েছে ৬২ শতাংশ। বাজারে বড় আকারের এলাচির দাম আরেকটু বেশি। খুচরা বাজারে বড় আকারের প্রতিকেজি এলাচি সর্বোচ্চ ৪ হাজার ২০০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।

অন্য মসলার মধ্যে টিসিবির তালিকা অনুযায়ী, বাজারে প্রতিকেজি দারুচিনির দাম এখন ৫০০ থেকে ৫৮০ টাকা। এক বছর আগে যা ছিল ৪৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৫২০ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১১ শতাংশ। বর্তমানে লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়। গত বছরের এ সময়ে ছিল ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে লবঙ্গের দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ। বাজারে ধনিয়ার কেজি এখন ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। এক বছর আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা। সেই হিসেবে ধনিয়ার দাম এক বছরে বেড়েছে ৫২ শতাংশ। প্রতিকেজি তেজপাতার দাম এখন ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। গত বছরের তুলনায় যা ২৫ শতাংশ বেশি। প্রতিকেজি জিরার দাম এখন বাজারে সর্বোচ্চ ৮৫০ টাকা। গত বছরে একই সময়ে যা ছিল সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা।

টিসিবির হিসেবে, বাজারে প্রতিকেজি আমদানি করা শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ থেকে ৫০০ টাকায়। গত বছর এ সময়ে দাম ছিল ৪২০ থেকে ৪৬০ টাকা। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে শুকনা মরিচের দাম বেড়েছে ৭ শতাংশ। আর আমদানি করা হলুদের দাম গত বছর ছিল প্রতিকেজি ১৯০ থেকে ১৩০ টাকা। এবার তা বেড়ে হয়েছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ।

Header Ad

শেখ হাসিনার নতুন ফোনালাপ ফাঁস, প্রবাসীদের নিয়ে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র!

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের তোপে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। তবে বিদেশে থাকলেও কদিন পর পরই ফাঁস হচ্ছে অডিও কল রেকর্ড। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেশের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় তাকে। ফোন কলেই ছুড়ে দিচ্ছেন নানা রকম হুমকিও।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) আবারও শেখ হাসিনার ‘কণ্ঠে’ নতুন একটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই ফোনালাপে শেখ হাসিনার কণ্ঠের মতো একদল প্রবাসী নেতাকর্মীদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন।

অডিও থেকে জানা যায়, সুইডেন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেশটিতে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন দলটির নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ফোন কলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠান শেষে শেখ হাসিনাকে উপস্থিত বাবু সুভাষ ঘোষ, লিংকন মোল্ল্যা, খোকন মজুমদার, নঈম বাবু, মোহম্মদ শহীদ, মাহবুবুর রহমান, লিমন, কবির, সাব্বিরসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দের নাম ঘোষণা করতে শোনা যায়।

অডিওর শুরুতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং সমন্বয়কদের খুনি অ্যাখ্যা দিয়ে এসময় নেতাকর্মীদের ফোনকল রেকর্ড করার কথা বলা হয়। অডিওতে বলা হয়, এই অবৈধ সরকারের অত্যাচারে সারা দেশের মানুষ জর্জরিত। কৃষক-শ্রমিকরা বেকার হয়ে গেছেন। শ্রমিক আন্দোলন করেছেন, সঙ্গে সঙ্গে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে।

অডিওতে বলা হয়, এই অবৈধ সরকারের অত্যাচারে সারা দেশের মানুষ জর্জরিত। কৃষক-শ্রমিকরা বেকার হয়ে গেছে। শ্রমিক আন্দোলন করেছে, সাথে সাথে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে। চাকরির বয়স নিয়ে আন্দোলন করতে যমুনার সামনে গেলো, সাথে সাথে গুলি করলো। সেখানে একজন মারা গেলো এবং পিটিয়ে উঠিয়ে দিলো।

শেখ হাসিনা বলেন, ৭ জুলাই থেকে এই ছাত্ররা যখন আন্দোলন করে ১৪ জুলাই পর্যন্ত। তারা সহিংস হওয়ার আগে গায়ে একটা টোকাও পড়েনি। তাদের মতো তারা আসছে-বসছে, আমরা তো তাদের কিছুই বলিনি। পুলিশের কাছে কোনো মেটাল বুলেট ছিল না। নির্দেশ দিয়েছি কোনো গুলি করবা না। পুলিশ ব্যারিকেড উঠিয়ে তারা ইচ্ছে মতো আন্দোলন করেছে। শুরু থেকে তো অনেক কিছু করা যেতো, আমরা তো সেসব করিনি।

তিনি বলেন, এই কোটা তো আমিই বাতিল করে দিয়েছি। যেখানে কোনো কোটাই নাই, সেখানে আন্দোলনটা কিসের জন্যে ছিল? তারপর আমাদের মন্ত্রীরা তাদের বসে, তাদের সব দাবি মানা হয়। দাবি মানার পরে আবার এক দফা। শেখ হাসিনাকে খুন করো, এই তো কথা? তাদের টার্গেট ছিল আমাকে হত্যা করা।

তিনি আরও বলেন, এখান আবার হত্যা মামলা দিয়ে বলে গণহত্যার বিচার হবে। গণহত্যার বিচার আমার না, বিচার হবে ইউনূসের। এই সমস্ত খুনের দায়-দায়িত্ব ইউনূসকে নিতে হবে। সে যে হত্যার সাথে জড়িত, তার প্রমাণ তো পাওয়ায় যায়। কারণ জেলখানায় যত জঙ্গি আটক ছিল, তাদেরকে ইউনূস ছেড়ে দিয়েছে। তাদের সঙ্গে ইউনূসের একটা যোগসাজশ ছিল। বাংলাদেশটাকে সে একটা জঙ্গি দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেয়ার মার্কেটের টাকা উধাও, ব্যাংকে টাকা নাই। ব্যাংকের টাকা উধাও। সেসব টাকা গেরো কোথায়? ২০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য আমি রেখে আসছি। ১ কোটি পরিবারের জন্যে টিসিবি কার্ড দিয়েছি।

তিনি বলেন, দেশে যে অরাজকতা চলছে তার বিচার হবে ইনশাল্লাহ। এদের বিচার আমি করবোই ইনশাল্লাহ।

Header Ad

এস আলমের শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করবে ইসলামী ব্যাংক

এস আলমের শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করবে ইসলামী ব্যাংক। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

ইসলামী ব্যাংক পিএলসির যেসব শেয়ার বাংলাদেশ ব্যাংক জব্দ করেছে, সেগুলো বিক্রির পরিকল্পনা করছে ইসলামী ব্যাংক। এই শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে চায় ব্যাংকটি। এই শেয়ারগুলোর বেশিরভাগ ছিল বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এ তথ্য জানান। তিনি জানান, পাচার করা টাকা পুনরুদ্ধার কৌশলের অংশ হিসেবে এসব শেয়ার বিক্রি করা হবে।

ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, এস আলম ইসলামী ব্যাংকের ১৭টি শাখা থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। শুধু টাকা নেয়নি, আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ব্যাংকের যে সম্পর্ক ছিল, সেটাও ধ্বংস করে দিয়েছে। পাশাপাশি পুরোনো উদ্যোক্তা সৌদি প্রতিষ্ঠান আল রাজিকে আনার চেষ্টা চলছে। আইএফসিকেও যুক্ত করার চেষ্টা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, সব ব্যাংককে রক্ষা করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব। পরিচালনায় বদল এনেও যেসব ব্যাংক এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি, তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সব আমানতকারীকে রক্ষা করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ব্যাংকের পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, অনিয়মের মাধ্যমে যারা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছেন, সেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আলাদাভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কোনো প্রতিষ্ঠান মরতে দেওয়া হবে না। কারণ, সব প্রতিষ্ঠান জাতীয় সম্পদ। এর সঙ্গে ব্যাংকের বিনিয়োগ, উৎপাদন ও সরবরাহ জড়িত। এস আলমের শাস্তির জন্য আদালতে মামলা দায়ের হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে, তাদের কী হবে।

ইসলামী ব্যাংকের উন্নতি হচ্ছে জানিয়ে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ জানান, ৩ মাসে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা আমানত বেড়েছে। প্রবাসী আয় বাড়ছে। নতুন বিনিয়োগ দেওয়া বন্ধ আছে। ব্যাংকের ২ হাজার ৭০০ এজেন্ট পয়েন্টে তিনজন করে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা ব্যাংকের আমানত বাড়াতে ভূমিকা পালন করতে পারেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মালিকানা পরিবর্তনের পর ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ছাড়তে শুরু করেন। এস আলম গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে ইসলামী ব্যাংকের ৫০ শতাংশের বেশি মালিকানা বিদেশিদের হাতে ছিল। এখন যা কমে ১৩ শতাংশে নেমেছে।

এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ধীরে ধীরে শেয়ার ছেড়ে দেয় ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি), দুবাই ইসলামী ব্যাংক, ইসলামিক ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড করপোরেশন দোহা, ইসলামিক ব্যাংকিং সিস্টেম ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিং লুক্সেমবার্গ, শেখ আহমেদ সালেহ জামজুম, শেখ ফুয়াদ আবদুল হামিদ আল-খতিব, আল-রাজি গ্রুপ, কুয়েতের সরকারি ব্যাংক কুয়েত ফাইন্যান্স হাউস, সৌদি কোম্পানি আরবসাস ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিস্ট এজেন্সিসহ বেশির ভাগ বিদেশি উদ্যোক্তা ও সাধারণ শেয়ারধারী প্রতিষ্ঠান।

Header Ad

অন্তর্বর্তী সরকার যত বেশি সময় নেবে, তত বেশি সমস্যা তৈরি হবে: মির্জা ফখরুল

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকার সময় যত বেশি নেবে, তত বেশি সমস্যা তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (১৮ নভেম্বর) মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এই সরকার নির্বাচিত নয়। তাই সরকারকেই সেটি চিন্তা করতে হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বর্তমান সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি এবং দেব। তবে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনও বসে আছে। তারা সংস্কার করতে দেবে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখছি না। এগুলো দৃশ্যমান করুন।

দেশ একটি ক্রান্তিকাল পার হচ্ছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল (রোববার) আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রেখেছেন, ভালো হয়েছে। অনেকে আশান্বিত হয়েছেন, আমি একটু আশাহত হয়েছি। আমি আশা করেছিলাম, প্রধান উপদেষ্টা তার সমস্ত প্রজ্ঞা দিয়ে সমস্যাটা চিহ্নিত করে নির্বাচনের একটি রূপরেখা দেবেন। আমি কেন বার বার নির্বাচনের কথা বলছি। কারণ নির্বাচন দিলে অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। বিএনপি ক্ষমতায় যাক, না যাক, সেটা বড় বিষয় নয়। কিন্তু আজকে যারা দেশের ক্ষতি করতে চাচ্ছে, দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাচ্ছে, দেশকে সংঘাতে জড়াতে চাচ্ছে, তারা তখন পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবে। কারণ ওই সরকারের পেছনে জনগণের সমর্থন থাকবে। এটা চিন্তা করতে হবে।

তিনি বলেন, এখন যে পরিবর্তন এসেছে তা বুঝতে হবে। বুঝতে হবে, ছেলেরা কি বলছে। আমরা ১৫ বছর ধরে লড়াই-সংগ্রাম করেছি, যান দিয়েছি, প্রাণ দিয়েছি, মামলা খেয়েছি, জেলে গেছি। তারপরও শেষ লাথিটা গোলে কে মেরেছে? ছাত্ররা মেরেছে।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমরা (বিএনপি) যখন সারা দেশে বিভাগীয় সমাবেশ করছি, তখন আমি আমার বক্তব্যে একটা কথা খুব জোর দিয়ে বলতাম। কোথায়, আমরা তো নবীনদের দেখতে পাচ্ছি না, তরুণদের দেখতে পাচ্ছি না, ছাত্রদের দেখতে পাচ্ছি না। ছাত্র-তরুণরা যদি সঙ্গে না আসে, তাহলে বুক পেতে গুলি নেবে কে? বুক পেতে গুলি নেয়ার প্রতীক ছাত্র, তরুণ, যুবক। যার পিছুটান নেই, যে ভ্যানগার্ড। আমরা মধ্য বয়সী, বয়স্করা পরিবারের কথা চিন্তা করি। আমরা ছেলে-মেয়েদের কথা চিন্তা করি। আমি যদি আজ গুলি খেয়ে পড়ে যাই, আমার পরিবারের কি হবে সেই চিন্তা করেছি- তাই না? কিন্তু বুক পেতে দাঁড়িয়ে থাকা, সাঈদ রংপুরে যেভাবে দাঁড়ালো, দ্যাট ওয়াজ দ্য টার্নিং পয়েন্ট অব মুভমেন্ট। এ বিষয়টি আমাদের চিন্তা করতে হবে। সুতরাং, ছাত্রদের সঙ্গে আমাদের কখনোই দূরত্ব সৃষ্টি করা যাবে না।

তিনি বলেন, দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্য দ্রুত নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। কারণ এ ধরনের সরকার (অন্তর্বর্তী সরকার) যতদিন বেশি থাকে, তত সমস্যা তৈরি হবে। কারণ এর তো ম্যান্ডেট নেই। এ তো নির্বাচিত সরকার নয়। এর পেছনে শক্তিটা কোথায়? এ জন্যই এই সরকারকে চিন্তা করতে হবে, যত দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্ভব, প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে নির্বাচন দিতে হবে। আমরাও সংস্কার চাই, তবে তা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে করতে হবে। এমন সময় যেন না নেয়, যে সময় নিতে গেলে জনগণের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা হয়, যে আপনি (অন্তর্বর্তী সরকার) থেকে যেতে চাইছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, হাসিনা পালিয়ে গেছে কেন? হাসিনা পালিয়ে গেছে, তিনি চিন্তা করতে ভুল করেছেন। আমরা বার বার বলেছি, দেয়ালের লিখন পড়েন, মানুষের চোখের ভাষা বোঝেন। মানুষ এখন আর আপনাদের চায় না। আপনারা দেশটাকে ধ্বংস করেছেন। আমাদের কথা তারা শোনেনি। না শুনে উল্টো নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করেছে এবং শেষ পর্যন্ত পালিয়ে গেছে। আমরা কেউ যেন এমন কাজ না করি, যা দেশকে আবার অনিশ্চয়তা, অস্থিরতার দিকে নিয়ে যাবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনার নতুন ফোনালাপ ফাঁস, প্রবাসীদের নিয়ে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র!
এস আলমের শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করবে ইসলামী ব্যাংক
অন্তর্বর্তী সরকার যত বেশি সময় নেবে, তত বেশি সমস্যা তৈরি হবে: মির্জা ফখরুল
ট্রেলারেই রেকর্ড গড়ল ‘পুষ্পা ২’
হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন জুনাইদ আহমেদ পলক
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা হাসান আরিফ, করলেন কবর জিয়ারত
ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই: প্রধান উপদেষ্টা
সরকার চাইলে তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে সহায়তা করবে যুক্তরাজ্য
সৌদি আরবে কনসার্ট করবেন জেমস
৩০ দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে অডিও বার্তা, পত্নীতলায় সুমন হত্যা ঘিরে রহস্য
গিলেস্পিই থাকছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ
প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখা কিসের ইঙ্গিত?
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
অগ্রাহায়নের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
শীতকালে যেসব ইবাদতের কথা বলেছেন নবীজি (সা.)
প্রেমের টানে বিয়ের দাবিতে ভারতীয় তরুণী বাংলাদেশে
মাল্টিপ্লেক্সে রেকর্ড আয় করল শাকিবের ‘দরদ’
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ১৩ জন ট্রাইব্যুনালে হাজির