বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪ | ২০ আষাঢ় ১৪৩১
Dhaka Prokash

ভারত-পাকিস্তানের পাশাপাশি দুবাইয়ে ৩৯৪ বাংলাদেশির ৬২১ বাড়ি রয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

গতকাল ফাঁস হয়ে যায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাতে হাজার হাজার বিদেশী ধনীদের সম্পদের গোপন তথ্য। তথ্যে জানা যায় ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ধর্নীরা দুবাইয়ে ব্যবসা করছেন। তাদের সবার রয়েছে সেখানে বাড়ি-গাড়ি। শত শত কোটি টাকার সম্পতি রয়েছে একেক জনের নামে। এই তথ্য ফাঁসের পর ভারত-পাকিস্তানে তোলপাড় চলছে। পরে জানা গেল বাংলাদেশী ২৯৪ জনের নাম। যদিওবা তাদের নাম-ঠিকানা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

জানা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আবাসন খাতে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা। তাদের তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশি নাগরিকও। ৩৯৪ বাংলাদেশির ২ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা মূল্যের ৬৪১টি সম্পত্তি রয়েছে দুবাইয়ে। সম্পত্তির মালিকের এ তালিকায় আরও রয়েছেন বিভিন্ন দেশের বড় ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এমনকি বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তি, অর্থ পাচারকারী ও অপরাধীরাও সেখানে বিপুল সম্পদের মালিক।

তথ্যসূত্রের জানা যায়, একটি বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্প মঙ্গলবার এ তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানির পাশাপাশি রয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির পরিবারের সদস্যরা। তালিকায় দেখা গেছে, দুবাইয়ে সবচেয়ে বেশি সম্পদ রয়েছে ভারতীয়দের। সেখানে ৩৫ হাজার প্রপার্টির মালিক ২৯ হাজার ৭০০ ভারতীয়। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানিরা। দেশটির ১৭ হাজার নাগরিকের দুবাইয়ে ২৩ হাজার প্রপার্টি রয়েছে। এর মূল্য ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলার।

আর জানা যায়, বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে সংবাদে যে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশিদের সংখ্যা, সম্পদের পরিমাণ এবং দাম রয়েছে। তাদের নিয়ে পৃথক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

‘দুবাই আনলকড’ শীর্ষক এ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্পের সমন্বয় করেছে অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোর। এ প্রকল্পে অংশ নিয়েছে ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যম। প্রতিবেদনটি ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

দুবাইয়ের ভূমি দপ্তরসহ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। এতে বিশেষ করে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিদেশিদের সম্পদের মালিকানার বিস্তারিত চিত্র উঠে আসে।

এসব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ। প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সংঘাত নিয়ে গবেষণা করে থাকে। পরে এসব তথ্য-উপাত্ত ই-টোয়েন্টিফোর এবং ওসিসিআরপির সঙ্গে ভাগাভাগি করে প্রতিষ্ঠানটি।

এই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অংশ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বসও। সব মিলিয়ে ফোর্বস ২২ ধনকুবের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৬০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের ৭৬টি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে। বিশ্বের চারটি মহাদেশের ১০টি দেশ থেকে এসেছেন তারা।

ফোর্বসের প্রতিবেদনে শুরুতেই রয়েছে ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির নাম। দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ কৃত্রিম দ্বীপে তাঁর আনুমানিক ২৪ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। দেশটির আরেক নাগরিক এম এ ইউসুফ আলি ও তাঁর পরিবারের পাম জুমেইরাহ, দুবাই মেরিনা ও ইন্টারন্যাশনাল সিটিতে ৭ কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ রয়েছে।

যুক্তরাজ্য, মিসর, সাইপ্রাসের নাগরিকদেরও সম্পদ রয়েছে দুবাইয়ে। দুবাইয়ে গোপনে সম্পদ গড়া ব্যক্তিদের এ তালিকায় রয়েছে দারিদ্র্যপীড়িত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের অন্তত সাত নাগরিকের নামও। তাদের মধ্যে ছয়জন রাজনৈতিক ও একজন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি।

পাকিস্তানের দৈনিক ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া নথি অনুযায়ী, দুবাইয়ে ১৭ হাজার পাকিস্তানি সম্পদের মালিক। তবে তথ্য-উপাত্ত ও অতিরিক্ত সূত্র ব্যবহার করে এ সংখ্যা ২২ হাজারের মতো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

এ তালিকায় নাম রয়েছে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, বাখতাওয়ার ভুট্টো জারদারি ও আসিফা ভুট্টো জারদারি; স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভির স্ত্রী মিসেস আশরাফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছেলে হুসাইন নওয়াজ এবং আলোচিত সাবেক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার ছেলে সাদ সিদ্দিক বাজওয়ারের।

দেশটির সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মোশাররফসহ বহু সাবেক জেনারেলের সম্পদ থাকার তথ্য তুলে ধরেছে ডন।

এ ছাড়া তালিকায় চীন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের পাশাপাশি ইয়েমেন, নাইজেরিয়া ও কেনিয়ার মতো দেশের নাগরিকরাও রয়েছেন। আরও রয়েছেন নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা মিয়ানমারের একজন অস্ত্র ব্যবসায়ী।

এদিকে গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক তালিকায় দেখা গেছে, আমিরাতে বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন নিবন্ধিত কোম্পানির সংখ্যা বাড়ছে। ওই বছরের কেবল প্রথমার্ধেই (জানুয়ারি থেকে জুন) দুবাই চেম্বার অব কমার্সে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সদস্যপদ নেওয়ার হার ৪৭ শতাংশ বেড়েছে।

ছয় মাসে বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন ১ হাজার ৪৪টি কোম্পানি দুবাই চেম্বারের সদস্যপদ নিয়েছে। তাতে দুবাই চেম্বারের সদস্যপদ পাওয়া বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন কোম্পানির মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৯৭৫টি। দুবাইয়ে বহু বাংলাদেশির অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে মনে করা হয়।

Header Ad

বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রবেশ ফি একলাফে ২০ থেকে ১০০ টাকা

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেন বা জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে প্রবেশ ফি একলাফে বাড়িয়ে পাঁচ গুণ করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) থেকে উদ্যানে প্রবেশের জন্য দর্শনার্থীদের জনপ্রতি ১০০ টাকা ফি দিতে হবে। আগে ফি ছিল ২০ টাকা।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন অধিশাখা-১ থেকে গত ২১ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপনে ফি বাড়ানোর এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ১২ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে জনপ্রতি ১০০ টাকা প্রবেশ ফি দিতে হবে। আর এর চেয়ে কম বয়সীদের জন্য প্রবেশে ফি হবে ৫০ টাকা।

তবে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের দল বোটানিক্যাল গার্ডেনে গেলে, ১০০ জনের একটি দলের জন্য ১ হাজার টাকা ফি দিতে হবে। দলে শিক্ষার্থী সংখ্যা এর চেয়ে বেশি দল হলে ফি দিতে ১ হাজার ৫০০ টাকা।

প্রজ্ঞাপনে বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশ ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের প্রতিজনে ফি দিতে হবে ১ হাজার টাকা বা সমমূল্যের মার্কিন ডলার।

 

শরীরচর্চার জন্য উদ্যানে যাঁরা নিয়মিত হাঁটতে যান, তাঁদের জন্য বার্ষিরিক প্রবেশ কার্ড করতে হবে। এর বিপরীতে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা। প্রাতর্ভ্রমণের জন্য সময়ও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সকাল ৬টা ৩০ মিনিট থেকে ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত উদ্যানে অবস্থান করতে পারবেন এই কার্ডধারীরা। আর এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাসে অবস্থান করা সকাল ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত। অর্থাৎ শরীরচর্চা বা প্রাতর্ভ্রমণের জন্য উদ্যানে অবস্থান করা যাবে মাত্র এক ঘণ্টা। যেখানে শরীরচর্চার জন্য আগে উদ্যানে প্রবেশে কোনো ফি দিতে হতো না। কার্ড পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উদ্যানের ইজারাদার বরাবর আবেদন করতে হবে।

একইভাবে ওয়ারীর বলধা গার্ডেনেও একই পরিমাণ প্রবেশ ফি দিতে হবে।

ব্যয় কমাতে সরকারের নতুন নির্দেশনা, কী করা যাবে-করা যাবে না

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকারি খরচ কমাতে নতুন পরিপত্র জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এই পরিপত্রে বিদেশ-ভ্রমণ থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ করা অর্থের ব্যয় সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকারের নিজস্ব অর্থে সকল প্রকার বৈদেশিক ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ, সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

সেই সঙ্গে সকল প্রকার যানবাহন কেনা বন্ধ থাকবে। এছাড়া গ্যাস ও জ্বালানি ব্যয় কমানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং আওতাধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় বিদেশ ভ্রমণ ও যানবাহন ক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের উপসচিব মো. হেলাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকারের নিজস্ব অর্থে সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে। পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি অর্থায়নে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের দেওয়া স্কলারশিপ বা ফেলোশিপের আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অংশ নেওয়া ছাড়া জরুরি ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে কিছু ক্ষেত্রে বিদেশে ভ্রমণ করা যাবে।

যেসব ক্ষেত্রে বিদেশভ্রমণ করা যাবে সেগুলো হলো: পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি অর্থায়নে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, দেশ কর্তৃক প্রদত্ত স্কলারশিপ, ফেলোশিপ-এর আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নের জন্য বিদেশ ভ্রমণ। বিদেশি সরকার, প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ।

প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন (পিএসআই), ফ্যাক্টরি অ্যাকসেপট্যান্স টেস্টের (এফএটি)-এর আওতায় বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি-এর চলতি বছরের ২ জানুয়ারি ১ নম্বর স্মারকে জারি করা পরিপত্র কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। তবে একান্ত অপরিহার্য বিবেচনায় পিএসআই, এফএটি -এর আওতায় বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

পরিচালন বাজেটের আওতার ব্যয়: সব ধরনের থোক বরাদ্দ (কোড নং ৩৯১১১১১ ও ৪৯১১১১১) হতে ব্যয় বন্ধ থাকবে। ‘৩২১১১১৩-বিদ্যুৎ’, ‘৩২৪৩১০১-পেট্রোল, অয়েল ও লুব্রিকেন্ট’ ও ‘৩২৪৩১০২-গ্যাস ও জ্বালানি’ খাতে বরাদ্দ করা অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।

পরিচালন বাজেটের আওতায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ব্যতীত নতুন আবাসিক (৪১১১১০১)/অনাবাসিক (৪১১১২০১)/ অন্যান্য ভবন স্থাপনা (৪১১১৩১৭) নির্মাণ বন্ধ থাকবে। তবে চলমান নির্মাণ কাজ ন্যূনতম ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়ে থাকলে অর্থ বিভাগের অনুমোদনক্রমে ব্যয় নির্বাহ করা যাবে।

সব ধরনের যানবাহন ক্রয় (‘৪১১২১০১-মোটরযান’, ‘৪১১২১০২-জলযান’, ‘৪১১২১০৩- আকাশযান’) খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। তবে ১০ বছরের অধিক পুরোনো টিওএন্ডইভুক্ত যানবাহন প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদনক্রমে ব্যয় নির্বাহ করা যাবে। ‘৪১৪১১০১-ভূমি অধিগ্রহণ’ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে।

উন্নয়ন বাজেটের আওতার ব্যয় : ‘৩২১১১১৩-বিদ্যুৎ’, ‘৩২৪৩১০১-পেট্রোল, অয়েল ও লুব্রিকেন্ট’ ও ‘৩২৪৩১০২-গ্যাস ও জ্বালানি’ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। সব প্রকার যানবাহন ক্রয় (‘৪১১২১০১-মোটরযান’, ‘৪১১২১০২-জলযান’, ‘৪১১২১০৩- আকাশযান’) বন্ধ থাকবে। ‘৪১৪১১০১-ভূমি অধিগ্রহণ’-এর ক্ষেত্রে অধিগ্রহণ কার্যক্রমের সব আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালনপূর্বক অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন গ্রহণ সাপেক্ষে ব্যয় করা যাবে।

এছাড়া পরিকল্পনা কমিশনের অনুকূলে ‘বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা’ খাতে জিওবি বাবদ সংরক্ষিত এবং মন্ত্রণালয়/বিভাগের অনুকূলে ‘থোক বরাদ্দ’ হিসেবে সংরক্ষিত জিওবির সম্পূর্ণ অংশ অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন গ্রহণ সাপেক্ষে ব্যয় করা যাবে।

টাঙ্গাইলে বিনামূল্যে দিনব্যাপি সেনাবাহিনীর মেডিকেল ক্যাম্প

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের মধুপুরে পাহাড়ি এলাকায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মাঝে দিনব্যাপি বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে ঘাটাইল শহীদ সালাহ উদ্দিন সেনানিবাসের সেনাবাহিনী।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দিনব্যাপি সেনাবাহিনীর গ্রীষ্মকালীন প্রশিক্ষণ চলাকালে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করে ওই সেবা দেওয়া হয়। ১৯ পদাতিক ডিভিশন ও ঘাটাইল এরিয়ার আয়োজনে ৩০৯ পদাতিক ব্রিগেডের (৫৮ ইবি) ব্যবস্থাপনায় ওই মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।

জানা যায়, মধুপুর উপজেলার পাহাড়ি এলাকার কুড়াগাছা ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের একটি কমিউনিটি সেন্টারে মেডিকেল ক্যাম্প স্থপন করে স্থানীয় মমিনপুর, পীরগাছা, ধরাটি, আঙ্গারিয়াসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের পিছিয়ে পড়া অসহায় দুস্থ আদিবাসী ও মুসলিম নারী-পুরুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে স্থানীয় গারো জাতিগোষ্ঠীসহ অন্যান্য জাতি গোষ্ঠীর নারী-পুরুষরা সকাল থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে মেডিকেল ক্যাম্পে ভীর জমায়। লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে চিকিৎসা সেবা পেয়ে স্থানীয়রা বেজায় খুঁশি।

ঘাটাইল শহীদ সালাহ উদ্দিন সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ মাসীহুর রহমান ওই মেডিকেল ক্যাম্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ৩০৯ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল কাদের, এডিএমএস কর্নেল ফজলে ই এলাহী ও ৫৮ ইস্ট বেঙ্গলের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আব্দুল্লাহ আল আমিন প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ

বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রবেশ ফি একলাফে ২০ থেকে ১০০ টাকা
ব্যয় কমাতে সরকারের নতুন নির্দেশনা, কী করা যাবে-করা যাবে না
টাঙ্গাইলে বিনামূল্যে দিনব্যাপি সেনাবাহিনীর মেডিকেল ক্যাম্প
শুধু নাসিরই নয়, আগে আরও এক বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী চমক!
সব স্থলবন্দরে ডিজিটাল সেবা চালু হবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
ওমানের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বাংলাদেশি জনশক্তি : প্রধানমন্ত্রী
জমি রক্ষায় কাফনের কাপড় ও বিষের বোতল নিয়ে কৃষকের প্রতিবাদ
ছাগলকাণ্ড : মতিউর পরিবারের ১০১৯ শতাংশ জমি ও ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ
মারা গেলেন 'মডেল গার্ল' অভিনেত্রী স্মৃতি বিশ্বাস
কোয়ার্টার ফাইনালে মেসি খেলবেন কি না, জানালেন কোচ স্কালোনি
যমুনার পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই, বিলীন হচ্ছে নদীপাড়ের বসতভিটা
মালয়েশিয়ায় যেতে না পারাদের টাকা ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ
আন্দোলন করে কি রায় পরিবর্তন করা যায়, প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির
কোটা বাতিলের দাবিতে আজও উত্তাল শাহবাগ, যানচলাচল বন্ধ
কোটা বাতিলের দাবিতে কুবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, ১০ কি.মি. যানজট
গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
ভোট দিলেন ঋষি সুনাক ও তার স্ত্রী
পাকিস্তানে বোমা হামলায় সাবেক সিনেটরসহ নিহত ৫
‘দুইটা ডিভোর্স হওয়ার পরে চমককে বিয়ে করেছি এটা কি আমার অপরাধ?’
আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠক স্থগিত