বাণিজ্যমেলায় ৪০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি
ছবি: সংগৃহীত
এবারের বাণিজ্যমেলায় আনুমানিক ৪০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে, যা গতবছরের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি।এছাড়া বাণিজ্য মেলায় আনুমানিক প্রায় ৩৫.৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (৩৯১.৮২ কোটি টাকা) রপ্তানি আদেশ এসেছে বলে জানিয়েছেন মেলার পরিচালক বিবেক সরকার।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার (বিবিসিএফইসি) হলে সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা নামে মাসব্যাপী চলা এ মেলার।
গত ২১ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবারের মেলায় মোট ৩০৪টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করছে। মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ৫টি দেশের ৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। অংশ নেওয়া ৪১টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করেছে মেলা কর্তৃপক্ষ।
এবার মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন, রেস্টুরেন্ট ও স্টলে বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক্স অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্সস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসজ্জা ও গৃহস্থালি সামগ্রী, চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারি, ওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য ইত্যাদি নানাবিধ পণ্য প্রদর্শন করা হয়েছে। যা দেশের আমদানি ও রফতানি পরিধিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। ভবিষ্যতে এই মেলার পরিধি আরও বাড়িয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, আগামী বছর বাণিজ্য মেলা দ্বিতল করা হবে। প্যাভিলিয়ন স্টলের পাশাপাশি অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সেমিনার আয়োজন করা হবে। সেমিনারে বিদেশি বায়ার ও রাষ্ট্রদূতদের সম্পৃক্ত করে রফতানিমুখী পণ্যের পরিধি বাড়ানো হবে।
উল্লেখ, দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল হতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজন করা হচ্ছে। মেলার ২৫টি পর্ব আয়োজিত হয়েছে শের-ই-বাংলা নগরের উন্মুক্ত মাঠে। তবে যানজট এড়াতে তৃতীয়বারের মত ঢাকার পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজন করা হয়েছে।